Alapon

নৈতিক অবক্ষয় রোধে রাসূল(সা.)এর আদর্শ পর্ব :০১

বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার সাথে তাল মিলিয়ে মানুষ সভ্য থেকে সভ্যতর হচ্ছে। সেকেলে ধারা বিদায় দিয়ে প্রগতি কে আলিঙ্গন করছে। আধুনিক জীবন যাপনের লক্ষ্যে একের পর এক রীতি নীতি তৈরি হচ্ছে।এসব নীতি মানবজীবন সাজাতে গিয়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে মানবতা।মানুষ তার মনুষ্যত্ব ভুলে নীতি তৈরির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রে সর্বত্রই হাহাকার চলছে। সভ্যতার অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা কে এইসব নীতি এগিয়ে নিলেও মানবতাকে গভীর সংকটে নিক্ষেপ করছে।সে সংকট হলো নৈতিকতার।নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে আজ সমাজে অশান্তি, অনাচার বেড়ে গেছে।আরো চৌদ্দশত বছর আগে পৃথিবীতে এরকম অরাজকতা ছিল।ইতিহাস বলে, সে সময়কার শক্তিধর সভ্যতা বলে পরিচিত মিশর,ব্যবিলন,নিনোভা,গ্রীক ইত্যাদি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল। শুধু রোম ও পারস্য সভ্যতার পতাকা উড়ছিল। কিন্তু উভয় সভ্যতার চাকচিক্যময় পরিবেশ সবার নজর কেড়ে নিলেও এর অভ্যন্তরে চলতো লোমহর্ষক জুলুম নির্যাতন। রাজা বাদশাহরা প্রভূর অবতার না হয়ে প্রভূ হয়ে বসেছিল।তাদের তাবেদারী করে ধর্মযাজক শ্রেণী সাধারণ জনগনকে চুষে খেত।
তখনো আরবে সভ্যতার সূর্য উদিত হয়নি।সেখানে জাহেলিয়াত বিদ্যমান ছিল। মানবতার এমন দুর্দিনে মহান আল্লাহ তায়ালা বিশ্ববাসীর জন্য প্রেরণ করলেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। সেই নক্ষত্র হলো মুহাম্মদ সা.। যার আগমনের মধ্য দিয়ে পৃথিবী শান্ত হলো।দূর হলো অরাজকতা। আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ সা. কে যে উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছেন তার বর্ণনা দিয়েছেন মহা গ্রন্থ আল কুরআনে।আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন:
"হে নবী,আমি আপনাকে পাঠিয়েছি একজন সাক্ষী বানিয়ে, সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারী হিসেবে। এবং আল্লাহর আদেশে তার দিকে আহবানকারী ও উজ্জ্বল প্রদীপ হিসেবে। (সুরা আহযাব:৪৫-৪৬)

পঠিত : ২২৫ বার

মন্তব্য: ০