Alapon

জমে উঠুক ইসলামি বইমেলা


রাজধানী ঢাকায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে মাস ব্যাপী ইসলামি বইমেলার উদ্বোধন হয়েছে।মেলার আয়োজক ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। প্রতিবছর দুইবার ইসলামি বইয়ের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে সরকারের ধর্মীয় ও প্রকাশনা সংস্থা ইসলামিক ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ এ মেলার আয়োজন করে থাকে।প্রতি বছরের ন্যায় পবিত্র মাহে রমজান মাসে মাস ব্যাপী ও পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসে অর্ধমাস /মাসব্যাপী বইমেলার আয়োজন হয়ে থাকে।স্থানঃজাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেইট।

আমরা যদি লক্ষ্য করি যে,বাংলা একাডেমির বইমেলায় যে পরিমাণ মিডিয়া কভারেজ ও প্রচার হয়ে থাকে তা ইসলামি বইমেলায় মোটে ও হচ্ছে না।কোণ মতে দায়সারা ভাবে ইসলামিক ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ বইমেলার আয়োজন করে থাকে।বাংলা একাডেমি প্রতিবছর উৎসবের আমেজে ভাষার মাসে অমর একুশে বইমেলার আয়োজন করেন।উদ্বোধন করে থাকেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সুবিশাল জায়গায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সহ বইমেলা আয়োজন হয়ে থাকে।প্রায় ছয়শত প্রকাশনা সংস্থা এতে অংশনেয়।অমর একুশে বইমেলা কে নিয়ে সংবাদপত্র সমুহের প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠায় বিশেষ আয়োজন করে থাকে।কিন্তু দুঃখজনক হলে ও সত্য যে ইসলামি বইমেলা মিডিয়া থেকে একেবারে উপেক্ষিত। ইফা'র আয়োজনে রাজধানীতে যে একটি বইমেলা হচ্ছে তা,দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষের অজানা।ইসলামি বই ও ইসলামি বইমেলা যেন অবহেলার পাত্র।

ইসলামি বইমেলার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা সবাই জানি যে,বাংলা একাডেমি দেশের সনামধন্য ও মানসম্মত প্রকাশনী সংস্থা গুলো "মানহীন"তোকমা দিয়ে স্টল বরাদ্দ দেয়নি। অথচ মানহীন প্রকাশনা গুলো মানসম্মত প্রকাশনী সংস্থা হিসেবে স্টল বরাদ্দ পাচ্ছে। এক কথায় বলতে গেলে বাংলা একাডেমির অমর একুশে বইমেলায় ইসলাম পন্থী প্রকাশনা সংস্থা অনেকটায় উপেক্ষিত।তাই আলাদা ভাবে ইফার আয়োজনে ইসলামি বইমেলার প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

রাজধানীর জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেইটে ইসলামি বইমেলা প্রচার ও প্রসার এর অভাবে পাঠক মুখর হচ্ছে না।প্রচার করবে কে?মেলার আয়োজক ইসলামিক ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ শুধু মেলা আয়োজন করে বসে থাকলে হবেনা,পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রচার করতে হবে।প্রয়োজনে জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ছাপাতে হবে।পত্রিকা ও টেলিভিশনে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে মিডিয়া কভারেজ দিতে হবে।ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর শীর্ষ কর্মকর্তাদের কে নিয়মিত পরিদর্শন করতে হবে।

সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করলাম যে বাংলা একাডেমির মতো ইসলামিক ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ ও স্টল বরাদ্দ নিয়ে বৈষম্য করছে। পবিত্র মাহে রমজান মাসে গার্ডিয়ান পাবলিকেশন এর মত মানসম্মত ও পাঠক প্রিয় প্রকাশনা সংস্থা কে লটারি অজুহাতে স্টল দেওয়া হয়নি।যায়হোক বর্তমানে যে বইমেলা চলছে,তাতে পরিবেশক হিসেবে থাকার সুযোগ দিয়েছে।সর্বোপরি বলব, কোণ বইমেলায় যাতে রাজনীতির পাত্র না হোক।বইমেলায় কোণ স্টল বরাদ্দ নিয়ে বৈষম্য বাংলা সাহিত্যের পাঠকরা চায় না।

চলমান ইফা'র ইসলামি বইমেলায় ও স্টল বরাদ্দ পায়নি পাঠক প্রিয়,বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার, আধুনিক প্রকাশনী, খায়রুন প্রকাশনী সহ অনেকে।তবুও আমরা ইসলামি বইমেলার সফলতা কামনা করি।ইসলামি সাহিত্য ছড়িয়ে পডুক সর্বত্র। পাঠকের বুকসেলপে শোভা পাক ইসলামি সাহিত্য। সম্মানিত পাঠক,ইসলামি সাহিত্য কে অবহেলায় নয়,প্রচারে এগিয়ে আসুন।মূলধারার গণমাধ্যম প্রচার না করুক,আমরা সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার করার সুযোগ তো আছে।যারা রাজধানী ঢাকা অথবা আশেপাশের জেলায় থাকেন,বইমেলায় আসা সম্ভব তারা একবার হলে ও আসুন।আপনার অপেক্ষায় স্টল কর্তৃপক্ষ তাকিয়ে আছে।

অমর একুশে বইমেলার মতো ইসলামি বইমেলা ও জমজমাট হউক।জমে উঠুক প্রানের মেলা।ইসলামপন্থী পাঠক,আলেম উলামা,লেখক গবেষক,দাঈয়ী-রাজনীতিবীদ,শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে।তবেই অবহেলিত ইসলামী বইমেলা পাঠকমুখর হয়ে উঠবে।প্রিয় পাঠক,আপনি ও ইসলামি বইয়ের প্রচার-প্রসারে এগিয়ে আসুন।
আপনার জন্য শুভকামনা।
আজ এই পর্যন্ত। আল্লাহ হাফেজ

যোগাযোগ ও পরামর্শ জানাতেঃ
[email protected]

পঠিত : ৩৬৩ বার

মন্তব্য: ২

২০২৩-১০-০৫ ১৭:০০

User
Mehrab Hasan

ইসলামী জ্ঞান চর্চায় ইসলামী বই মেলার গুরুত্ব অধিক। আমাদের সবার উচিত বই মেলায় অংশ নেওয়া।

submit

২০২৪-০১-২৫ ১৩:৪৮

User
Md. Abdul Ohab Babul

আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ

submit