Alapon

নৈতিক অবক্ষয় রোধে রাসূল সাঃ এর আদর্শ। পর্ব :০২

মহান আল্লাহ তায়ালা আরো ইরশাদ করেন, "আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে তোমাদের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট আদর্শ" (সুরা আল আহযাব,২১)

বর্তমান সমাজ নৈতিক অবক্ষয়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেছে। সর্বত্রই চলছে অনৈতিকতা।মোটা দাগে বলতে গেলে ধর্ষণ, ইভটিজিং, সন্ত্রাস, মাদক, অবৈধ সম্পদ অর্জন, শ্রমজীবী মানুষের সাথে তামাশা,স্বজনপ্রীতি, বিচারহীনতা, ক্ষমতার অপব্যবহার, পদের লোভ,গুজব রটানো,সংখ্যালঘু নির্যাতন, মিথ্যা সাক্ষী ইত্যাদিতে পুরো সমাজ নিমজ্জিত।
এসব থেকে উত্তরণের জন্য আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ সা. এর আদর্শ অনুসরণের বিকল্প নেই।


★ধর্ষণ, ইভটিজিং প্রতিরোধে রাসূল সা. এর আদর্শ:-
ইভটিজিং এখন সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। নারীরা রাস্তায় নামলেই বখাটেদের কটুকথা, ভেংচি কাটা,খারাপ দৃষ্টি, শীষ বাজানো শুরু হয়ে যায়। এসব বখাটেরা নিজেদের মা-বোনের কথা ভুলে যায়। নৈতিক সত্তার মৃত্যু হলে এসব ঘটা স্বাভাবিক হয়ে যায়। নারীদের কে ইভটিজিং থেকে বাচঁতে হলে করনীয় কী?এ সম্পর্কে মহান আল্লাহর নির্দেশনা হলো:-
"হে নবী,আপনি আপনার স্ত্রী, কন্যা এবং মুমিনাদের কে বলুন তারা যেন গায়ে ওড়না টেনে নেয়। এতে তাদেরকে সহজে চেনাও যাবে এবং তারা উত্যক্তও হবে না।আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু" (সুরা আল আহযাব,৫৯)।

আল কুরআনের নির্দেশনা হলো ধর্ষণ নয়,এর নিকটেও যাওয়া যাবে না। আল্লাহ ইরশাদ করেন, "যিনার কাছেও যাওয়া যাবে না। এটা ফাহেশা কাজ ও নিকৃষ্ট পথ"।(সুরা বনী ঈসরায়েল, ৩২)
নারীর প্রতি কু-দৃষ্টি দেয়া,কুপ্রস্তাব দেয়া,কুপ্রবৃত্তি কামনা করাও যেনার অন্তর্ভুক্ত। এ ব্যাপারে হাদিসের নির্দেশনা:" হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্নিত।রাসূল সা. ইরশাদ করেন, নিশ্চয় আল্লাহ বনি আদমের জন্য যেনার একটা নির্ধারিত করে রেখেছেন। সে তাতে অবশ্যই জড়িত হবে।চোখের যেনা হলো দেখা,জিহ্বার যেনার হলো কথা বলা,কুপ্রবৃত্তি কামনা করা ও খায়েশ সৃষ্টি করা।এবং যৌনাঙ্গ তার সত্য মিথ্যা প্রমাণ করে।(সহীহ বুখারী,৬২৪৩)

সত্যিই আজ আমরা কুরআন সুন্নাহের অনুশাসন থেকে অনেক দূরে সরে গেছি। যার কারণে নৈতিক অধঃপতন।তাই ইভটিজিং, ধর্ষণ প্রতিরোধ করতে হলে রাসূল সা. এর আদর্শকে গ্রহণ করতে হবে।

পঠিত : ১৭০ বার

মন্তব্য: ০