Alapon

বাংলাদেশে ইজরায়েলের চর কারা? - জোহেব শাহরিয়ার


ছবিঃ এটিএন বাংলা নিউজ

ফিলিস্তিনের পক্ষে ঢাকায় সমাবেশ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সে সমাবেশে হুট করে অনুপ্রবেশ করা এক যুবক ইজরায়েলের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকে, সে সময় সমাবেশে যোগ দেয়া তাওহিদি জনতা তাকে ব্যাপক ভাবে মারধর করে। এর থেকে একটা জিনিশই বুঝা যায় যে বাংলাদেশের মাঝে ইজরায়েলের সমর্থক আছে, কেউ প্রকাশ্যে আসে, আবার কেউ আসে না।

হামাস যেদিন ইজরায়েলে আক্রমণ চালায়, সেদিন পুরো মুসলিম বিশ্ব ছিলো আনন্দে আত্মহারা, কারণ নির্যাতিত মুসলিমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ক্যাম্পাসে গিয়ে বন্ধুদের মাঝে দেখলাম আনন্দের ঢেউ। তবে একই সাথে দেখলাম, যারা সেক্যুলার-লিবারেল, প্রগতিশীল ও বামপন্থি ছেলে পেলেদের মুখ কালো। বুঝতেই পারছিলাম যে হামাসের আক্রমণে ইজরায়েল বাঁশ খাচ্ছে দেখে এদের বুক ফেটে যাচ্ছে। ক্লাস শুরু হলো, এক সেক্যুলার স্যারের ক্লাস, এসেই তিনি হামাসের বিরুদ্ধে বিষোদগার শুরু করলেন।

এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই দেখা গেলো তাকে হামাসের বিরুদ্ধে নিজের মনের বিষ ঝাঁড়তে, তার সাথে যোগ দেয় ক্লাসের সেক্যুলার-লিবারেল, প্রগতিশীলেরাও। সরাসরি ইজরায়েলকে সমর্থন না করলেও বুঝা যায় যে এদের সমর্থন ইজরায়েলের পক্ষে।

এভাবে এক সপ্তাহ যেতেই বুঝে যাই যে, বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ হামাসের পক্ষে ও ইজরায়েলের বিপক্ষে হলেও বাংলাদেশের মাঝে একটা অংশ আছে ইজরায়েল সমর্থক। এদের বড় একটা অংশই হলো বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর সেক্যুলার, লিবারেল, বামপন্থি, প্রগতিশীলরা।

এই তীব্র ইসলামোফোব গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মুসলিমদের উচিত রুখে দাঁড়ানো। আজ এরা ফিলিস্তিনের মুসলিমদের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের পক্ষ নিচ্ছে, কাল কোনো আগ্রাসী শক্তি বাংলার ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালালে এরা একে সমর্থন দিবে। সব সময় তো তাই করে এসেছে। এরাই মুসলিমদের এক মাত্র শত্রু, আমাদের উচিত শত্রুদের চিনে রাখা।

পঠিত : ১২৬ বার

মন্তব্য: ০