Alapon

ব্যাংকগুলো এখন প্রতারণার ফাঁদ



ইসলামী ব্যাংক তাদের একবছরের মুনাফা দেখিয়েছে ২৭৮১ কোটি টাকা। এত বিশাল টাকা দেখলে মনে হবে ইসলামী ব্যাংক ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তাদের অনেক লাভ হয়েছে। বাস্তবে এটা ভুল কথা।

দুঃখজনক ব্যাপার হলো, এর মধ্যে ২২২০ কোটি টাকাই কোটি গ্রাহকের পকেট কাটার টাকা। এগুলো ব্যবসালব্ধ আয় নয়। বিভিন্ন সার্ভিসের নামে মোটা অংকের টাকা জনগণের একাউন্ট থেকে সরিয়ে নিয়ে এই লাভ দেখানো হয়েছে।

ইসলামী ব্যাংক ব্যবসা করে আয় করেছে মাত্র ৫৬১ কোটি টাকা। ইসলামী ব্যাংকে মানুষের আমানত রয়েছে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। অংকের হিসেবে ইসলামী ব্যাংকের আয় মাত্র ০.৩৮% টাকা। এটা আসলে কোনো আয়ই হয় নাই। এই বিশাল অর্থ দিয়ে ব্যাংক কোনো ব্যবসা করতে পারে নি। ব্যবসা করবে কী করে! জনগণের টাকা দিয়ে ব্যবসা না করে পাচার করাই হলো ইসলামী ব্যাংকের পরিচালকদের কাজ।

আর এই ব্যংক লুটের মূল চালিকা শক্তি হলো সরকার। এস আলম গ্রুপসহ অন্যান্য লুটেরারা জনগণের আমানত সরিয়ে নিয়ে ব্যাংকে তারল্য সংকট তৈরি করছে। এর ফলে তারল্য সংকট তৈরি হচ্ছে। আবার তারল্য সংকটের জন্য আমানতকারীরা যাতে ব্যাংকে টাকা রাখা বন্ধ না করে দেয়, ব্যাংকের ওপর আস্থা রেখে যাতে আরো আমানত রাখে এজন্য আবার সরকার টাকা ছাপিয়ে ব্যাংকগুলোকে ঋণ দিচ্ছে।

আজকে খবর পাওয়া গেল ইসলামী ব্যাংকসহ ৭টি ব্যাংকে ২২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অথচ ব্যাংকের রুটিন কার্যক্রম হিসেবে এই ব্যাংকগুলোকে তাদের তারল্য সংকট কাটানোর জন্য ২০ দিনের সময় বেঁধে দেয়। লুটপাট না বন্ধ হওয়ায় তারল্য সংকট দূর হয় নাই উপরন্তু আরো বেড়ে গিয়েছে। নতুন করে ছাপিয়ে ২২০০০ কোটি টাকা দিয়েছে। ফলশ্রুতিতে আবারো ব্যাপক হারে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাবে।

৭ জানুয়ারির নির্বাচন নাটকের আর মাত্র কয়েকটি দিন। সরকার একদিকে যেমন টিকে থাকার সকল সম্ভাব্য উপায় উপকরণ গ্রহণ করছে একইসাথে দেশ থেকে সম্পদ পাচারের সকল সুযোগ তাদের লোকদের দিচ্ছে। যাতে পতন হলেও দেশের সম্পদের ওপর ভর করে টিকে থাকা যায়।

পঠিত : ১৮১ বার

মন্তব্য: ০