Alapon

খায় জাহাঙ্গীর মোটা হয় আলমগীর

কি শিরোনাম পড়ে হতভম্ব। হাসবেন নাকি এড়িয়ে যাবেন বুঝতে পারছেন নাহ।কিছুই করার দরকার নেই। আপনাকে দাতা দেশ আর সংগঠন গুলোর ঋণের ফাঁদে ট্রান্সজেন্ডার ও সমকামীতার এজেন্ডা বাস্তবায়ন নিয়ে লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

সবাইকে দেখলাম যে একমুখী। ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে খুব বেশি ব্রাক কে বর্জন করা হচ্ছে। এই কর্পোরেট মোঘলের সকল কিছু বর্জন করার জন্য আমজনতা সোশ্যাল মিডিয়া কাঁপাচ্ছে। কিন্তু বর্জনের এই বিষয়টার লাভ ক্ষতি কি আদৌ তাদের কিছু করতে পারবে ? মনে হচ্ছে নাহ।আবার যেকোন ইস্যু চলে আসবে সিউর। হতে পারে, পিএম/ শিক্ষা মন্ত্রী মাহতাব স্যারকে ডেকে কোন কিছু একটা দিয়ে খুশি করবে।

কিন্তু ভাই আমি যেটা বলতে চাই তা হলো সরকার যে হাজার হাজার কোটি টাকা লোন নিচ্ছে, তা আসে কোথা থেকে। উত্তর নিশ্চয়ই উত্তর আমেরিকার কিছু কল্যাণ রাষ্ট্র (যেমন: ডেনমার্ক, কানাডা, আমেরিকা), আইএমএফ,বিশ্বব্যাংক,চীন, জাপান ইত্যাদি ইত্যাদি । আচ্ছা, এবার বলবেন তারা লোন দেয় তো ভালো কথা, আমরা চলতে পারতেছি।কিন্তু বিষয় টা এত সহজ নাহ।এই লোন প্রদানকারী সংগঠন কিংবা রাষ্ট্র গুলো যাকে তাকে লোন দেয় নাহ।এরা কিন্তু যমের দোসর ভাই।কেন বলছি জানেন, কয়েক বছর আগেই আফ্রিকার দেশগুলো খুবই কষ্টে জীবন যাপন করছিল। তখন এরা বিশ্ব মোড়লদের কাছে সাহায্য চেয়েও পায়নি। ঘটনা হলো, তারা আবার শর্ত দেয় যে তোমার দেশে যদি সমকামী কিংবা ট্রান্সজেন্ডার আইন চালু করতে হবে। এরা তখন বিপদের মুখে পড়েও নিতে হয়।আমাদের দেশের বেলায়ও এরকমই হচ্ছে।


আপনারা অবাক হবেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার কি পরিমাণ ঋণ যে বিগত বছরগুলোতে নিয়েছে। প্রথম আলো পত্রিকার তথ্য মতে, বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে। সংস্থাটির কাছ থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ৮১৬ কোটি ডলার। বিশ্বব্যাংকের পরের স্থানে আছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। সংস্থাটির কাছে ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ৩২৮ কোটি ডলার। এরপর আছে যথাক্রমে জাপান, রাশিয়া ও চীন।
বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু জাপানের কাছ থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে ৯২৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া রাশিয়া ও চীনের কাছে ঋণের পরিমাণ যথাক্রমে ৫০৯ কোটি ডলার ও ৪৭৬ কোটি ডলার। আইএমএফের কাছে ঋণের পরিমাণ ৯৮ কোটি ডলার। নতুন করে সংস্থাটির কাছ থেকে আরও ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ নিচ্ছে বাংলাদেশ।

এবার আপনারা প্রিয় স্বদেশে কি একার ক্ষেত্রে ব্রাক কেই দায়ী করছেন ট্রান্সজেন্ডার বা সমকামিতা কে বিস্তার লাভের ক্ষেত্রে।

তবে, মূল কাহিনী কিন্তু "শরীফ থেকে শরীফা" হওয়ার গল্প নিয়ে। আচ্ছা সেটাতো শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ভাইরাস টা ছড়িয়েছে। নতুন শিক্ষা মন্ত্রীকে নিয়ে কিছু বলব নাহ কারন পোলাটার আকাম কুকাম নাও জানতে পারেন। কিন্তু প্যাচ আগেই লেগে ছিল। তা হলো মাননীয় দীপু আপা থেকে। এই দীপু আপার আত্মীয় হলো বর্তমান শিক্ষা মন্ত্রীর আত্মীয়। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশে সমকামী / ট্রান্সজেন্ডারদের পত্রিকা 'রুপবান' ১৩ কিংবা ১৪ সাল থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে সমকামিতা ও ট্রান্সজেন্ডারের হঠাৎ একটা ঢেউ আসবে তা বিগত বছরগুলোতে আন্দাজ করতে পারছিলাম। এখন করার কিছু নাই ভাই, ব্র্যাককে ব্যবহার করা হচ্ছে।


যেটা শুরু করল, ফজলে হাসান আবেদ। লোকটা ব্রিটিশ দের কাছ থেকে নাইট উপাধি পেয়েছে। এবার বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের ভেতর এটাই ছিল পাথক্য। আপনি যদি পশ্চিমাদের কালচার আর মিশনের এজেন্ডা গুলো নিয়ে মাতামাতি করে পক্ষে থাকেন। তাহলে, আপনিও পাবেন নোবেল পুরষ্কার, নাইটউপাধি, মন্ত্রীত্ব এবং যা আপনার চাহিদ।আমাদের কবি সম্পদ নজরুল ইসলামের কি কোন যোগ্যতার কমতি ছিল।

এবার তাহলে মূল পয়েন্টে আসা যাক, এই রাষ্ট্রের সমকামিতা আর ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে শুধু ব্র্যাককে নিয়েই বলবেন নাহ। তাহলে আসল কলকাঠি যারা নাড়ে তারা বাহিরেই থেকে যায়।এইযে হোচিমিন ইসলাম আর রুপবান পত্রিকা কিংবা পাঠ্যপুস্তকে সমকামিতা আর ট্রান্সজেন্ডার নামক বিষাক্ত বিষ ঢেলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে, তারা কিন্তু সেই আবার পাঁচ বছরের জন্য প্রতিষ্ঠিতই রয়ে গেল।

সমকামিতা আর ট্রান্সজেন্ডার বিশ্ব মানবতার জন্য ভয়াবহ হুমকি স্বরুপ। খোদ আমেরিকা আর পশ্চিমা বিশ্বের এই জঘন্য পরিস্থিতি দেখে, আমেরিকার বিখ্যাত চলচ্চিত্র বিশারদ জিমি সোয়াগার্ট আর্তনাদ করে বলেছিলেন,,,সমকামিতা, ধর্ষণ, হত্যা, রাহাজানি আর পাশবিক কর্মকান্ডের জন্য আল্লাহ তায়লা এই জাতিকে ধ্বংস না করলে আদ, সামুদ, তাসিম আর জাদিস জাতিকে ধ্বংস করার জন্য আল্লাহকেই তাদের নিকট ক্ষমা চাইতে হবে। তাই, এসব বিকৃত ক্রিয়াকলাপ থেকে বের হতে না পারলে বর্তমান জাতির ধ্বংস অনিবার্য।।

তাই আমি আবার বলতে চাই, বই বানালো এনসিটিভি।বই ছিড়লো আসিফ স্যার।দোষ হইলো ব্র্যাকের।বয়কট হলো বিকাশ।আর শিক্ষার পরিবর্তন চায় ডামি নির্বাচনে এমপি হওয়া ডামি শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে। যে কিনা ইসকনের সরাসরি এজেন্ট।তাই বলি কি, গলৎটা কোথায় এবার বুঝলেন তো?গোড়ায় পানি না ঢেলে আগা নিয়ে টানাটানি করলে সারাজীবন বয়কটের উপরই থাকতে হবে।আর গণভবনে এক মহিলার ডামি চেহারা সারাজীবনই দেখতে হবে।

অতএব, শুরুর কথাটা আবার বলে শেষ না করলে পাপ হতে পারে, "খায় জাহাঙ্গীর মোটা হয় আলমগীর"।।

তথ্যসূত্র
০১. প্রথম আলো পত্রিকা।
০২. Bi monthly paper Perspective.
০৩.মোরা বড় হতে চাই।
০৪. বাশেরকেল্লা

পঠিত : ৩২৯ বার

মন্তব্য: ১

২০২৪-০১-২৫ ১৩:৪৫

User
Md. Abdul Ohab Babul

চমৎকার উপস্থাপন

submit