উম্মাহ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে, কোন পথে মুক্তি ?
তারিখঃ ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪, ২৩:২২
ট্রান্সজেন্ডার, সমকামিতা বা শিক্ষাব্যবস্থায় ইসলাম বিদ্বেষ কোনোটাই হঠাৎ পুশ করা কোনো এজেন্ডা নয়। বরং এসব সুপরকল্পিত ষড়যন্ত্রের সামান্য বাহ্যিক বহিঃপ্রকাশ মাত্র। এসব ইস্যুর আড়ালে মূলত মুসলিম উম্মাহকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমরা এসব জাহেলিয়াতের সবচেয়ে ঘৃণ্য আক্রমণের শিকার হয়েছে।
এসকল ইস্যুর মধ্যে প্রধান বিষয়গুলো, যা ধীরে ধীরে আমাদেরকে চরম আঘাতের দিকে নিয়ে গেছে-
১. হারাম প্রেমকে নরমালাইজ করা
২. অশ্লীল সংস্কৃতির সয়লাব
৩. শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করা
৪. মুসলিমদের চেতনা ভুলিয়ে রাখা
৫. বস্তুবাদী চিন্তার প্রসার
মোটাদাগে এই কয়টা বিষয় গোটা উম্মাহর জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রান্সজেন্ডার, সমকামিতা, লাভ জিহাদ, নাস্তিক্যবাদ, বস্তুবাদের শিকার হচ্ছে একের পর এক প্রজন্ম। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে মুসলিমদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সভ্যতা, গৌরব, সবকিছু।
এই ব্যাপারে তরুণদের সজাগ হতে হবে। সচেতন করতে হবে নিজ পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে। এই ব্যাপারে ভূমিকা পালন করতে হবে ইমাম, খতিব, ওয়ায়েজিন, শিক্ষক ও সমাজের সচেতন প্রভাবশালী অংশকে।
আর যথাসম্ভব প্রচারের সকল উপায় অবলম্বন করে সাধারণ থেকে সাধারণ পর্যায়ে সবাইকে সচেতন করতে হবে।
তবে এ সবই সাময়িক পদক্ষেপ মাত্র। এই সমস্যা মূল থেকে উপড়ে ফেলতে হবে। তার জন্য চাই নেতৃত্বের আমূল পরিবর্তন। প্রয়োজন সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন। এর জন্য নিজেদেরকে ইসলামী আন্দোলন তথা জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর কাজে ব্যাপৃত করতে হবে। প্রস্তুত করতে হবে উম্মাহর জন্য।
অন্যথায় প্রতিবাদ, অপপ্রাচার রোধে সচেতনতা কার্যক্রম বা এগুলো বন্ধের দাবি তোলা, এসবই ব্যাথার ঔষধের মতো হয়তো কিছু সময় ভালো বোধ করা যাবে, কিন্তু সমস্যার মূলে আঘাত হানা যাবে না। তা এক সময় মাথাচাড়া দিয়ে উঠবেই। দংশন করতে থাকবে হৃদয়ের গভীর থেকে। একের পর এক প্রজন্ম জাহেলিয়াতের অতল গহ্বরে নিমজ্জিত হবে চোখের সামনেই। সভ্যতার নিদর্শন মুছে যাবে মাটির উপর-নিচ, এমনকি আমাদের হৃদয় থেকেও...
মন্তব্য: ০