Alapon

ইফতার মাহফিল



ব্যাপারগুলো নিয়ে একটু সময় নিয়ে ভাবুন।

(১) রমাদানে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার প্রজ্ঞাপন জারি এবং বাৎসরিক রুটিনে রমাদানজুড়ে বন্ধ থাকার কথা থাকলেও পরবর্তীতে রমাদানে স্কুল-কলেজ খোলা রাখা।

(২) এক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহরিতে গরুর গোশত রান্নার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা।

(৩) একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার মাহফিল, ইফতার পার্টি নিষিদ্ধ করা।

(৪) ঢাবির এক সিনেট ভবনে দাঁড়িয়ে, সম্মানের সহিত ভারতের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া।

(৫) অবশেষে আজকে প্রোডাক্টিভ রমাদান নামক অনুষ্ঠানে ছাত্রদেরকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা।

আজকে মাত্র দ্বিতীয় রমাদান গেল। এই কয়েকদিনের মধ্যেই এতগুলো বড় ঘটনা, ষড়যন্ত্রের বাস্তবায়ন হয়ে গেল এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায়। আমাদেরকে কোণঠাসা করতে করতে এখন সামান্য কুরআন তিলাওয়াতের ছোটখাটো অনুষ্ঠানও এক বিশেষ চেতনার লোক সহ্য করতে পারছে না।

বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক ষড়যন্ত্র ছাড়াও ব্রাজিল থেকে আমদানিকৃত চিনির গুদামে আগুন, খেজুরকে বিলাসী দ্রব্য হিসেবে অভিহিত করে চড়া শুল্ক আরোপসহ মুসলিমদের জন্য রমাদান মাসটাকে কঠিন করে দেয়ার পেছনে কাদের হাত আছে? একটু ভেবে দেখুন, ভাবার চেষ্টা করুন!

সামনের দিনগুলো ভয়াবহ হতে যাচ্ছে। অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে চুপচাপ বসে থেকে পার পেয়ে যাবেন এমনটা ভাবলে আপনিই সবার আগে মারা পড়বেন! ভারতের অঙ্গরাজ্যে আপনাকে ফুলের মালা দিয়ে স্বাগতম জানানো হবে এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই!

লেখা: Mayraj Hossain ভাই

পঠিত : ৮০ বার

মন্তব্য: ০