Alapon

আওয়ামীলীগার প্রতি আহবান



শেখ হাসিনার ক্ষমতা দখল হয়েছে ক্রমান্বয়ে। যুদ্ধ করে নয়। আর শেখ মুজিব ক্ষমতা দখল করেছে যুদ্ধ করে। মূর্তি পূজারীরা যুদ্ধ করে শেখ মুজিবকে ক্ষমতায় এনেছে। তাই শেখ মুজিবের একশন ছিল দ্রুত। শেখ মুজিব ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েই হাজার হাজার ইসলামপন্থী রাজনীতিবিদ, আলেম ওলামা, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও মাদরাসা শিক্ষকদের হত্যা করেছে। ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। যে সকল প্রতিষ্ঠানের নামের মধ্যে ইসলাম ও মুসলিম লেখা ছিল সব প্রতিষ্ঠান থেকে ইসলামকে উতখাত করেছে। কওমি মাদরাসাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।

পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে চালু করলেও শেখ মুজিব আলিয়া ও কওমি উভয় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ডিগ্রীর স্বীকৃতি বাতিল করে দিয়েছে। রেডিও টেলিভিশনে সালাম, হামদ, নাতসহ সকল ইসলামী কালচারকে উতখাত করেছে। ইসলামের বিরুদ্ধে এমন কোনো ষড়যন্ত্র বাকী ছিল না যা শেখ মুজিব করেনি। মুসলিমের দেশ মূর্তি দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছিল। মূর্তি পূজারীদের নেতা ইন্দিরা গান্ধীর অনুসারী শেখ মুজিব আমাদের ঈমান নষ্ট করার কাজ করেছেন। আল্লাহ তায়ালা তাকে জাহান্নামে লাকড়ি বানিয়ে দিন। আমিন।

এই দেশকে সেই অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য জামায়াত জীবন বাজি রেখে কাজ করেছিল। ইসলামী রাজনীতির অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মুসলিম দেশে মুসলিমদের কালচার প্রতিষ্ঠার সব চেষ্টা করেছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় অবদান রেখেছে। আলাদা পাঠ্যবই, শিক্ষা বোর্ড করে শতাধিক স্কুল, শতাধিক মাদরাসা স্থাপন করেছে। ইসলামী ব্যাংকিং চালু করেছে। ইসলামী সংস্কৃতি উন্মেষ ঘটিয়েছে। বাংলায় ইসলামী সাহিত্যের বিশাল ভান্ডার জনতার সামনে খুলে দিয়েছে। যাকাত ম্যানেজমেন্ট শিখিয়েছে। লাখো মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছে।

জামায়াতের রাজনীতিতে ব্যাক করাটা ভালোভাবে নেয়নি মূর্তি পূজারীরা। তার সাথে যুক্ত হয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। ২০০১ সালে পশ্চিমাদের মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ 'ওয়ার অন টেরর'-এ যুক্ত হয়নি বাংলাদেশ। এর খেসারত দিতে হয়েছে জামায়াত ও বিএনপি। মূর্তি পূজারীরা ও পশ্চিমারা এদেশের আওয়ামী লীগকে নিয়ে আমাদের দেশ দখল করে নিয়েছে।

তাই শেখ হাসিনা তার বাবা শেখ মুজিবের মতো দ্রতই আমাদের ঈমানের ওপর হামলা করেনি বা করতে পারেনি। ধীরে ধীরে করেছে। ইসলামী রাজনীতি বন্ধ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসাগুলোতে অনৈসলামিক কালচারের চর্চা, ইসলামী ফাউন্ডেশনে নাচ গান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মুসলিম মেয়েদের পর্দা করতে না দেওয়া, বোরকা নিয়ে শেখ হাসিনার বাজে মন্তব্য, মাদ্রাসা নিয়ে জয়ের বক্তব্যসহ শত শত আওয়ামী মন্ত্রী ও নেতাদের ইসলাম বিরোধী বক্তব্য নিয়মিতভাবে তারা দিয়ে আসছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে গরুর গোশত খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা, ইফতার মাহফিলে নিষেধাজ্ঞা, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শত শত পূজা মন্ডপ বানানো, হিন্দুদের হোলি উৎসব চালু, ইফতার মাহফিলে হামলাসহ নানবিধ ইসলামবিরোধী কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী সরকার। সামনে আজান বন্ধ করলেও অবাক হওয়ার মতো কিছু থাকবে না।

যারা আওয়ামী লীগ করেন তারা নিজের দিকে তাকান। আপনারা জামায়াতের বিরোধীতা করতে গিয়ে আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। যদি পরকালে বিশ্বাস রাখেন তবে আওয়ামী লীগ করা ছাড়েন। হাসিনার কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। নতুবা জাহান্নামের জ্বালানী হওয়ার প্রস্তুতি নিন।

পঠিত : ৬৬১ বার

মন্তব্য: ০