Alapon

আহলুল হাদিস হইতে সাবধান



সম্পূর্ন লেখা পড়বেন। মুসলিমদের শত্রু চিনতে পারবেন। আর আমি কি বলতে চাইসি এইটাও বুঝবেন।

সোস্যাল মিডিয়ায় একটা ভিডিও দেখলাম। ভিডিওটা ফরিদপুরের। দুইজন মুসলিম ভাইকে কতটা নির্মম ভাবে পিটিয়ে মারলো হিন্দু জঙ্গীরা। কিন্তু দেশের প্রথম সারির নিউজ মিডিয়া ঠিক মতো কাভারেজ আনলো না নিউজটাতে। ৭১ টিভি তো হিসাবে নেই। কারন ওরা ইসলাম বিদ্বেষী। মুসলিম হত্যায় যে ওরা খুব বেশি বেজার হবে তা ভাবার কারন নেই।

আহলুল হাদিস বয়কটের কথা কেন বলেছি সেটা বলছি। তার আগে কিছু বিষয় বলে নেই।

ভাই, বাংলাদেশের হিন্দুরা মুসলিমদের সাথে যে খুব ভ্রাতৃত্ব পরায়ন সম্পর্ক রাখে বিষয়টা কিন্তু তা না। তবে অনেকেই আছেন ভালো। তাদের বিষয়ে কিছু বলি না। তবে আমার নিজেরই অনেক অভিজ্ঞতা আছে।

আমি বরাবরই ইস্কন নিয়ে কথা বলেছি। আগে নিজের ব্লগে লেখতাম। তেমন সাড়া পাইনি। তাই বড় বড় প্লাটফর্মে লিখা শুরু করি। ফেসবুকে পেজ ব্যানও হইসে একটা। তো এই ইস্কন নিয়ে কথা বলার জন্য ভার্সিটির হিন্দু ফ্রেন্ডদের মারত্মক রোষানলে পড়তে হয়েছিলো। সে এক তিক্ত অভিজ্ঞতা। এক হিন্দু প্রতিবেশির বাবা মালয়েশিয়ায় গেছে শ্রমিক ভিসায়। তো একদিন ওর খোঁজ নিতে যাই যে ওর বাবার কি খবর! তো সে বলে যে মালয়েশিয়া জঙ্গীদের (মুসলিম) দেশ। সে মুসলিম মানেই জঙ্গী বুঝায়। পরে খালি সরি সরি করতে থাকে। ওদের সাথে আর সম্পর্ক রাখিনি।

আরেকবার এক আড্ডায় বসেছিলাম বন্ধুদের সাথে। তখন সম্ভবত ওদের কালিপূজা চলছিলো। সবাই সাজুগুজু করে বেড় হইসে। নদীর পাড়ে আড্ডা দিচ্ছিলো। আমি আর আমার ফ্রেন্ড সেও মুসলিম বেড় হয়েছিলাম, ওদের সাথে সাক্ষাৎ হয় পথে। বসে যাই সেখানেই। শুরুতে সব ভালোমতই চলছিলো। হঠাৎ একটায় ব্যাঙ্গ করে জিজ্ঞাসা করতে থাকে যে আমরা ওযু কিভাবে করি। নামাজ কিভাবে পড়ি (দোয়ার মতো হাত তুলে দেখাচ্ছিলো)। ওরা যে ব্যাঙ্গ করছিলো সেটা ওদের মুখের এক্সপ্রেশন দেখেই বুঝা যাচ্ছিলো।

আরেক বন্ধু, সে রাজনীতি করে। কিংস পার্টির। সরাসরি দলের নাম বললাম না। সে মোদিজি মোদিজি বইলা আবেগি হয়া গেছিলো। রিজন কি? মোদিজি ৫০০ বছর পর হিন্দুদের সম্পদ হিন্দুদের ফিরায় দিছে। বাবরি মসজিদ ভেঙে রামমন্দির বানায় দিছে অযোধ্যায়। এই ভিডিও সে আমি সহ প্রায় অনেক মুসলিমদের লাউড স্পিকারে ভিডিও দিয়া দেখাইছে। সে বাংলাদেশি। জন্ম বাংলাদেশে। করে ভারত ভারত।

তো এবার আসেন যে কেন আহলুল হাদিস বয়কট করবেন!

দেশে মুসলিমদের ইউনিটির বড়ই অভাব। যার জন্য বিধর্মীরা আমাদের মেরে দিয়ে যাচ্ছে আর আমরা চুপ করে আঙুল চুষছি। বাংলাদেশে যখন প্রথম সারির আলেমরা মুসলিমদের মাঝে ইউনিটি আনতে সমর্থ্য হচ্ছেন, ঠিক সেই মুহুর্তে এক ইন্ডিয়ান বক্তা নিজ দেশ বাদ দিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন সহীহ হাদিসের দলিল নিয়ে। বাংলাদেশে কেউ কিছু পারে না, কেউ কিছু জানে না। সেই সব জানে। এমন জানাই জানছে যে খালি বাহাসের ডাক দেয়। এইসব এটেনশন সিকার দের জন্য মুসলিমরা যে বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে সেই দিকে কিন্তু কারো ভ্রুক্ষেপ নেই। দেশে মুসলিম মাইর খাচ্ছে, চন্দ্রনাথ পাহাড়ে মুসলিম প্রবেশ অলিখিত ভাবে নিষিদ্ধ করেছে হিন্দুরা এটাও চোখে পড়ে নাই। খালি চোখে পড়ে মুসলিমরা তারাবিহে ২০ রাকাত তারাবি কেন পড়বে। ওরা বেশি বেশি ইবাদত কেন করবে?

এইসব জাহেলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া উচিত। এদের ফেতনার বিরুদ্ধে আগে সোচ্চার হতে হবে। ইমাম মাহাদির আগমনের পর সর্বপ্রথম যুদ্ধ হবে মুনাফিক মুসলিম মানে সৌদির বাদশাহের সাথে। তিনি সবার সামনে আসবেন ইনশাল্লাহ কাবা ঘরের সামনে থেকে আর খিলাফতের ডাক সেখান থেকেই দিবেন আর খিলাফাহ প্রতিষ্ঠায় প্রথম যুদ্ধ হবে মুসলিম নামধারী মুনাফিকদের সাথে। এই সৌদিরাই কিন্তু এই নামাজ ২০ রাকাত কি না বা হাত কোথায় বাধবো এসব নিয়েই কথা বলে। কিন্তু ফিলিস্তিনের পক্ষে বা মুসলিম জাগরণের কথা বললেই সেই ইমামকে গ্রেফতার করে। যেমন দেখবেন কিছু দিন পর পর কাবার ইমামেরা পদত্যাগ করেন এইসব কারনে। আমি যখন গিয়েছিলাম তখন শাইখ সুদাইস পদত্যাগ করেছিলেন সাময়িক সময়ের জন্য। পরে আবার ফিরেছিলেন।

আহলুল হাদিসেরাও এসবই করছে। যখনই দেখবেন মুসলিমদের মাঝে একতা হতে থাকে, তখন এদের উদয় হয়। ওদের ভাষ্যমতে সকল মুসলিমদের দরকার নেই। মানে যারা বেদাত করছে যেমন হাদিসে নাই কিন্তু ইবাদাত করছে বা দাওয়াত দিচ্ছে ওসব মুসলিমদের দরকার নেই।

আপনি জানলে অবাক হবেন, এই আহলুল হাদিসের ফেতনায় পড়ে এক যুবক মুসলিম থেকে খৃষ্টান হয়ে গেছে



আগে এইসব আহলুল হাদিসদের বয়কট করুন। এদের ফেতনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নিন। এই লেখাটা যারা পড়বেন, তাদের কারো যদি ক্ষমতা থাকে তবে অবশই এই সকল ফেতনাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নিন।

লেখাটা পড়ার জন্য জাযাকাল্লাহ

পঠিত : ১৪৬ বার

মন্তব্য: ০