Alapon

ইসলামিস্টদের জন্য অপেক্ষা করছে ঘন কালো রাত

রাম রাজত্ব কায়েমের পথে হাঁটছে বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার। যতই নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশ হিসেবে জোর গলায় হুংকার দেই না কেন কোন লাভ নেই। বরঞ্চ এটি দিনদিন উপহাসের শব্দ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। গেল মহিমান্বিত রমাদান মাস। ইফতার কর্মসূচিতে হামলা করে স্বাধীনতার একক ক্রেডিট দাবিদার দলটি তাদের নগ্ন আচরণ তাওহীদি জনতার নিকট উন্মোচন করে দিলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আদতে জানিয়ে দিলো তারা কোন মুসলমানদের আচার অনুষ্ঠানের অনুমতি দিতে পারবে না। কেন একথা বলছি জানেন কি! নইলে দেখুন না প্রোডাক্টিভ রমাদান সেমিনারে হামলা হলো,কোন ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু শুধু রমাদানকে স্বাগত জানিয়ে কুরআন তিলাওয়াতের আয়োজন করায় আরবি বিভাগের শিক্ষার্থীদের উপর ছড়াও হলো,সাথে আরবি বিভাগের চেয়ারম্যানকে শোকজ করেছে। এর কদিন পরে চারুকলা অনুষদ পয়লা বৈশাখের নামে কুতুকুতু খেলার আয়োজন করলো তা নিয়ে ত কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। গেল মাসে তীব্র উঞ্চতা থেকে মুক্তি পেতে ইসতেস্কার সালাত আদায়ের অনুমতি নাকচ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এগুলো কিসের ইংগিত?
শিক্ষা ব্যবস্থাকে গোবর গণেশ বানাচ্ছে দিনদিন। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দের কেউ নৈতিক কথা বললে তার উপর সাসপেন্ডের খড়গ নেমে আসে। অপরদিকে নারী শিক্ষার্থীদের কে শুধুমাত্র হিজাব,নিকাব পরে আসায় হেনস্তা করা শিক্ষকদের কিচ্ছু বলা হয়না। আরও পুরষ্কার স্বরুপ নানা আয়োজনে ব্যতিবস্ত হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ কুরআন দিবস। এদিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঘটে গেলো দুঃসহ এক মূহুর্ত। ১৯৮৫ সালের মে মাসে ভারতে কুরআন বাজেয়াপ্তের মামলার প্রতিবাদে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও তাওহীদি জনতা বিক্ষুব্ধ হয়। কিন্তু বিপত্তি সৃষ্টি করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্থানীয় প্রশাসন।
শুধুমাত্র দোয়া করে জনতাকে শান্ত করে চলে যাবো”- নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সেই আবেদনও শুনেনি ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান মোল্লা। এসময় ওয়াহিদুজ্জামান মোল্লা সেই সুযোগ না দিয়ে অকথ্য ভাষায় আগত কুরআনপ্রেমীদের গা*লি দিতে থাকে। এ সময় ইসলামী জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়লে ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান মোল্লার নির্দেশে কুরআনপ্রেমী জনগণের ওপরে গুলিবর্ষণ শুরু করে পুলিশ।
সেই ওয়াহিদুজ্জামান পরে আরও পুরষ্কার স্বরুপ বড় কর্তা বনে যায়।

বলছি ইসলামিস্টদের জন্য অপেক্ষা করছে ঘন কালো রাত। ১৯৮৫ সালে যেমন কুরআন প্রেমীদের উপর হামলা করে পার পেয়ে গেছে রাম রাজত্বের দোসররা, ঠিক ফরিদপুরে নিরীহ শ্রমিক মেরেও শান্তি পাচ্ছে ভারতীয় তাবেদার গোষ্ঠী।
এদিকে দেশীয় মৌলভীরা আছে আকিদাগত বিরোধ নিয়ে, আছে আকাবিরদের বদদোয়ার ভয় নিয়ে। তারা এখনো ঘন কালো রাত আসার পূর্ভাবাস পাচ্ছে না অথবা পেয়েও নিজেদের স্বার্থ হাসিল নিয়ে কামড়াকামড়িতে লিপ্ত।

পঠিত : ১৪৬১ বার

মন্তব্য: ০