বিরোধী মত দমনের শব্দ রাজাকার
তারিখঃ ১৫ জুলাই, ২০২৪, ০১:২২
যখন আপনি ন্যয় অন্যয় বিচার না করে। ভালো মন্দ বিচার না করে। স্বাদ ও গন্ধ বিচার না করে এক ঢালা, এক নিয়মে একই কথা বলবেন। তবে সেখানে কি ন্যয় বিচার ও আইনের শাসন আছে বলে মনে করেন?
এটা একটা দেশ ও জাতীর জন্য দুঃখ ও দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, আপনি যাকে তাকে যা-তা বলবেন।
আপনার কথা বা কাজ পছন্দ হলো না, আপনাকে রাজাকার তকমা দিয়োদিলাম। ব্যাচ, আপনাকে আমি মারবো, পিটাবো এমন কি আপনার সাথে অন্যয় করবো তবুও আমার কিছু হবে না। কারণ আপনি রাজাকার আর আমি মুক্তিযোদ্ধা নয়, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি।
তাহলে কি এই, সংবিধান, আইন আদালত, প্রশাসন সবই লোক দেখানো।
বাংলাদেশের মানুষ কি ইংরেজ প্রেতাত্মাদের ভাগকর শাসন করো নীতির বলি। নাকি হিন্দু সম্প্রদায়ের উচু বর্ণ, নিচু বর্ণ প্রথার স্বীকার। নাকি সাধারণ মানুষ এদেশের নাগরিকই নয়।
এদেশের নাগরিক হলো সরকারি দলের লোক, আর মুক্তি যোদ্ধার আত্মীয় স্বজনরা।
১৯৭১ সালে মুক্তি যুদ্ধ কি পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বৈষম্য, নির্যাতন বিরধী আর সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য ছিলো না।
সাধারণ জনগণ কি রাজাকার নাকি ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা।
হায়রে বাংলাদেশ।
দমন নিপীড়নের সহজ মাধ্যম রাজাকার তকমা।
জয়হোক নির্যাতীত মানুষের, জয় হোক জাগ্রত মানুষের।

মন্তব্য: ০