নিষিদ্ধ করে কোনো আদর্শিক আন্দোলনকে থামিয়ে দেওয়া যাবে না
তারিখঃ ১ আগস্ট, ২০২৪, ১৮:১৯
ইসলামী আন্দোলনের পথ সর্বদাই কাঁটায় ভরা ছিল। ফুল বিছানো পথে কখনো বিজয় আসে না, যা নবী-রাসূলদের জীবনেও প্রতীয়মান হয়েছে। কায়েমী স্বার্থবাদীরা সকল যুগেই সত্যের আহবানকে প্রত্যাখ্যান করেছে, দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করেছে। কিন্তু তাতে তারা সফল হয়নি। দ্বীনের বিজয় ঠেকাতে পারেনি। ফেরাউন নিজের একচেটিয়া ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য, নিজ যমদূতের আগমন ঠেকিয়ে রাখার জন্য মিশরের হাজার হাজার পুত্র শিশুকে হত্যা করেছিল। কিন্তু আল্লাহর পরিকল্পনায় তার যমদূত মূসা (আ) তার নিজের ঘরেই লালিত পালিত হলেন, সে ঠেকাতে পারে নাই। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা মূসা (আ) এর মাধ্যমে তাকে লোহিত সাগরে ডুবিয়ে মেরেছিলেন, যে কিনা নিজেকে খোদা দাবি করেছিল!
আজকের দিনেও নব্য ফেরাউনের দল ইসলামের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য নানা কূটকৌশল অবলম্বন করছে। এহেন কোনো অপকর্ম নেই, যা তারা করছে না। এদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলেন,
"তারা চক্রান্ত করে, আর আল্লাহও কৌশল অবলম্বন করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ শ্রেষ্ঠ কৌশলী।" (সূরা আনফালঃ ৩০)
রাসূলুল্লাহ (স.) দ্বীনের যে প্রদীপ হেরা গুহায় জ্বালিয়েছিলেন, টিমটিম করে জ্বলা সেই প্রদীপ দিয়ে তিনি সারা পৃথিবীকে আলোকিত করেছিলেন। শত ঝড়-ঝঞ্ঝায়ও সেই প্রদীপ নিভে যায়নি এক মুহূর্তের জন্যও। সে প্রদীপ শিখা এতই উজ্জ্বল হয়ে দেখা দিয়েছিল যে, মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে তৎকালীন পৃথিবীর দুই সুপার পাওয়ার 'রোম' ও 'পারস্য' সাম্রাজ্য মুসলমানদের পায়ের তলায় এসেছিল। এ ব্যাপারে আল্লাহর স্পষ্ট ঘোষণা-
"তারা তাদের মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তাঁর নূরকে পরিপূর্ণ করবেনই, যদিও কাফিররা (তা) অপছন্দ করে।" (সূরা আস সফঃ ০৮)
সেই একই সত্যের মশাল হাতে আজও যারা অগ্রসর হচ্ছে, তাদেরও পরাজয় নেই। ফেরাউনেরা নিজেদের পাপসাগরে ডুবে মরবে, সত্যের পতাকাবাহীরাই বিজয়ী হবে। আল্লাহর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন-
"আর তোমরা দুর্বল হয়ো না এবং দুঃখিত হয়ো না, তোমরাই বিজয়ী হবে যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাক।" (সূরা আলে ইমরানঃ ১৩৯)

মন্তব্য: ০