পুলিশ শুদ্ধিকরন চাই
তারিখঃ ১১ আগস্ট, ২০২৪, ১৭:০২
সাবেক সরকার নিজের ক্ষমতা টেকাতে বদ্ধপরিকর ছিলো। আর তাই রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যাবহার করে গত এক মাস সরকার জেনোসাইড চালায়। হাজার হাজার ছাত্র শাহাদাৎ বরন করে নেয়। স্বৈরাচার হাসিনা নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেয় পুলিশ। যদিও এতে তারা সফলকাম হয়নি। এমন অনেক ভিডিও দেখেছি যে তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা করেছে। ভিডিও দেখতে
এখানে ক্লিক করুন....
বাংলাদেশের ইতিহাসে জনগণের সাথে পুলিশের সম্পর্ক প্রভু-ভৃত্যের মতো। ফেসবুকে সার্চ করলে পুলিশ কর্তৃক নির্যাতনের এমন অনেক নজির আপনারা দেখতে পারবেন। ২০২২ সালের টিআইবির রিপোর্ট মতে বাংলাদেশ পুলিশ হলো সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠান। (
রেফারেন্স)
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা ছিলো সর্বাধিক প্রশ্নবিদ্ধ। তারা ছাত্রদের রাজাকার, স্বাধীনতা বিরোধী প্রভৃতি বলেও গালি দিচ্ছিলো। গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে নির্মম নির্যাতন করেছিলো। নির্দয়ের মতো গুলি করে জেনোসাইড চালিয়েছিলো। তাদের গুলি থেকে রেহাই পায়নি ছোট শিশু।
শুরুতে এই আন্দোলন কিন্তু সরকার বিরোধী আন্দোলন ছিলো না। শুরুতে ছিলো কোটা সংস্কার আন্দোলন। কিন্তু এরপরেও যে ম্যাস জেনোসাইড চালানো হয়, সেটা নজির বিহীন। এখন অনেকেই বলবে যে উপরের মহলের প্রেশার ছিলো। কিন্তু আমি বলবো এটা খোড়া যুক্তি ছাড়া আর কিছুই না। কারন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কিন্তু নীতিগত ভাবে গুলি না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। তারা সেনাপ্রধানকে বলেছিলো যে তারা গুলি চালাবে না।
পুলিশ কেন না করতে পারেনি?
কারন পুলিশকে মারাত্মক ভাবে দলীয় করন করা হয়েছিলো। পুলিশে কর্মরত অধিকাংশ অফিসারই তৎকালীন আওয়ামি সরকারের মদদপুষ্ট অথবা তাদের রাজনৈতিক দোসর। এই ব্যাপারে সন্দেহ নাই। আমি দেখতাম পুলিশ বিরোধী দলকে উদ্দেশ্য করে গালি দেয়। তাদের ভাষ্য ছিলো "সে শিবির কর্মী", "সে বিএনপির মদদে এমন করেছে", "লন্ডন থেকে উষ্কানি এসেছে" ইত্যাদি ইত্যাদি। পুলিশের বক্তব্য ছিলো রাজনৈতিক নেতাদের মতো। এমন দলীয় করন সত্যিই কাম্য নয়।
স্বৈরাচার পতনের পর আমাদের রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ স্বরুপ পুলিশ বিভাগকেও সংস্কার করতে হবে। নয়তো স্বৈরাচারের করাল গ্রাসের শিকার হয়তো আবার হতে হবে আমাদের।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাক, এই দোয়াই করি।
বারাকাল্লাহ ফি কুম।
মন্তব্য: ০