ক্ষমা একটি মহৎ গুণ
তারিখঃ ১৫ আগস্ট, ২০২৪, ১২:৩৪
আল্লাহ তাআলার অন্যতম একটি নাম হলো গফফার। অর্থ, ক্ষমাশীল। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। বড় বড় অপরাধীকেও ক্ষমা করে দেন যদি তার কাছে ক্ষমা চায়। এমনকি অসংখ্য মানুষ হত্যাকারীও যদি আল্লাহর কাছে তাওবা করে ক্ষমা চায়, তাহলে তিনি তাকে ক্ষমা করে দেন। অথচ অন্যায়ভাবে একজন মানুষ হত্যা করাকে আল্লাহ তাআলা একটি জাতি হত্যা করার সাথে তুলনা করেছেন৷( সূরা মায়িদাহ, ৩২) তবুও তিনি এতো বড়ো অন্যায়কারীকে ক্ষমা করে দেন। কারণ, এটাই আল্লাহর বৈশিষ্ট্য। তিনি জুলুম করাকে নিজের উপর হারাম করে নিয়েছেন। এমনকি আল্লাহর ক্ষমা নিয়ে সবাইকে জান্নাতে প্রবেশ করতে হবে। তিনি ক্ষমা না করলে কোন ব্যক্তি জান্নাতেও প্রবেশ করতে পারবে না।
ক্ষমা একটি মহৎ গুণ৷ এটা সবাই অর্জন করতে পারে না। আল্লাহ তাআলা যার হৃদয়ে এই গুণ সৃষ্টি করে দেন, সে-ই মানুষকে ক্ষমা করতে পারে। তায়েফের ঘটনা আমাদের সকলের জানা। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মেরে রক্তাক্ত করার পরও তিনি তাদের ক্ষমা করে দেন। অথচ তাদের ধ্বংস করে দেয়ার জন্য ফেরেশতারা প্রস্তুত ছিল, তবুও তিনি প্রতিশোধ নিলেন না।
সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস রা. রাতে ঘুমানোর সময় সবাইকে ক্ষমা করে দিতেন বলে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবদ্দশায় তাঁকে জান্নাতের সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন।
অতএব দেশের পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে আমরা প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠলে সমাজে আরো অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করবে এবং অশান্তি বৃদ্ধি পাবে। অথচ আমাদের অসংখ্য ভাইয়েরা শহীদ হয়েছেন, জীবন দিয়েছেন, শুধু অন্যায় দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য। তাই আমাদের উচিত, ক্ষমার নীতি অবলম্বন করা। সবাইকে ক্ষমা করে দেয়া এবং অন্যায়কারীদের ভালোর দিকে নিয়ে আসা। কোনো অবস্থাতেই ধারণাবশত কারো উপর অন্যায় করা থেকে বিরত থাকা। কারণ, জালিমের সংজ্ঞা সবসময় অপরিবর্তিত থাকে। আল্লাহ তাআলা জালিমের উপর লানত বর্ষণ করেন আর মাজলুমের পক্ষে থাকেন। রাসূল সা. বলেন, তোমরা মাজলুমের বদদুআকে ভয় করো। কারণ, তাদের এবং আল্লাহর মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। (বুখারী)
তাই, প্রতিশোধ পরায়ণ না হয়ে আমাদের ক্ষমার নীতি অবলম্বন করা প্রয়োজন এবং সমাজে স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার চেষ্টা করা উচিত।
~ ইবনে মাসুদ
মন্তব্য: ০