Alapon

অসম রেল চুক্তি : বিনিময়ে বাংলাদেশ যা পাচ্ছে

(ব্লগটি লেখা হয়েছিল জুন মাসের শেষে এক ম্যাগাজিনের জন্য,অজানা কারনে জোর তাগিদ দিয়ে লেখা নেওয়ার পরেও ছাপেনি কর্তৃপক্ষ। তাই ব্লগে লেখাটি প্রকাশ করা।)


ছোটবেলায় মায়ের মুখে মজার মজার গল্প শুনতাম। ধূর্ত শিয়ালের পাঠশালার গল্প, বানরের পিঠা ভাগাভাগির গল্প ইত্যাদি। বয়সে ছোট হওয়াতে গল্পগুলো শুনতে বেশ ভালোই লাগতো। ভাত খেতে দেরী করলে অথবা না ঘুমাতে চাইলে সাধারণত এমন গল্প শুনিয়ে আমাদের মন ভুলিয়ে রাখতো দুষ্টুমি থেকে। মনে হতো শিয়াল,বানর এগুলো খুবই চালাক প্রাণী। আর শিয়ালের কারসাজিতে বাচ্চা হারানো কুমিরকে বোকা ভাবতাম। গল্পগুলোর শিক্ষা বা মর্মার্থ এ বয়সে এসে বুঝতে শুরু করেছি।
প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সাথে চুক্তির দিকে লক্ষ্য করলে ভারতকে ধূর্ত শিয়ালের মতো ভন্ডই মনে হবে। একতরফা নিজের স্বার্থ হাসিল করেই যাচ্ছে।
সারাদেশে গেলো জুন মাসে রাসেল'স ভাইপার নামক বিষধর সাপের আতংকের সাথে নতুন আতংক যোগ হয়েছিল ভারতের সাথে সম্পাদিত হওয়া নতুন চুক্তি। প্রতিবেশী দেশ এবং তার সাথে প্রচন্ড সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবের অধিকারী ভারত থেকে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে সবসময় লাভবান হয়ে আসছে ভারত। বিনিময়ে বাংলাদেশ কলুর বলদের মতো দিয়েই যাচ্ছে একের পর এক সুবিধা। কখনো বানরের পিঠা ভাগাভাগির গল্পের মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়। আর না হয় শিয়ালের পাঠশালার মতো কুমিরকে বোকা বানিয়ে সব কিছু মেনেজ করে নেয় ভারত। অবশ্য বলে রাখা ভালো এখানে কুমির হলো দেশের সরকার। অবস্থা দৃষ্টিতে মনে হয় একপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদিত হয়ে আসছে।
ভারতের সাথে চুক্তি নতুন কিছু নয়। স্বাধীনতার পর থেকে দেয়া-নেয়ার বহু চুক্তি হয়েছে। ফলাফল নেওয়ার। দেওয়ার মতো কিচ্ছু নেই যেন ভারতের। মনে পড়ে গেলো রবিঠাকুরের বিখ্যাত গান ❝ দেওয়ার মতো কিছু নেই,শূন্য আমি রিক্ত হস্তে দিয়ে গেলাম ভালোবাসা।❞
ভারতের ভালোবাসার বিনিময় আমরা পাই সীমান্তে লাশ, বর্ষা মৌসুমে উজানের ঢল এবং শুষ্ক মৌসুমে ফারাক্কা, তিস্তার বাঁধে পানি আটকানোর ফলে সৃষ্ট খরা।
এবার আমরা মূল আলোচনায় ফিরে যাই, গত জুন মাসে ভারত সফরে যায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ভারতের সদ্য সমাপ্ত হওয়া জাতীয় নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মোদির সাথে ঢাকা- দিল্লি চুক্তি সম্পাদিত হয়। এবারের চুক্তিতে মূখ্য বিষয় ছিল রেল ট্রানজিট। অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বাধীন ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভারতের রেল চলবে।

ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট মূলত কি :

ট্রানজিট তিনটি দেশের মধ্যে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ক,খ এবং গ দেশ বিবেচনা নিলে বলা যায় ক দেশ খ দেশের ভূখন্ড ব্যবহার করে গ দেশে যাবে। এখানে খ দেশ ট্রানজিট সুবিধা দিচ্ছে।
অপরদিকে ট্রান্সশিপমেন্ট হলো ক দেশের পন্য খ দেশের পরিবহন সেবা গ্রহণ করে গ দেশে পৌঁছে দেওয়া।

নতুন রেল চুক্তিতে যা আছে :
চুক্তি অনুযায়ী,পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার গেদে থেকে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রাজ্যটির আলিপুরদুয়ার জেলার ডালগাঁও পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রেন চালানোর প্রস্তাব দিয়েছিল ভারতের রেল বোর্ড। সে অনুযায়ী, পরীক্ষামূলক যাত্রায় পণ্যশূন্য ভারতীয় রেলগাড়ি গেদে থেকে বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় আসবে। সেখান থেকে পাবনার ঈশ্বরদী, নাটোরের আব্দুলপুর, দিনাজপুরের পার্বতীপুর, নীলফামারী সীমান্তবর্তী চিলাহাটী স্টেশন হয়ে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ী স্টেশনে যাবে। সেখান থেকে যাবে ডালগাঁও স্টেশন পর্যন্ত। ডালগাঁওকে ভুটান সীমান্তবর্তী স্টেশন বলেছিল ভারত। যদিও সেখান থেকে ভুটানের ফুয়েন্টশিলং স্থলবন্দরের দূরত্ব শত কিলোমিটারের বেশি।
আর বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রস্তাব ছিল, ভারতীয় রেল বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ডালগাঁও নয়, সেখান থেকে জয়পুর হয়ে ভুটান সীমান্তবর্তী হাসিমারা পর্যন্ত যাক। এ বিষয়ে রেল সচিব জানান, সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী ভারতীয় ট্রেন হাসিমারা পর্যন্ত যাবে। এর মাধ্যমে ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হবে।(সমকাল:২৮জুন,২০২৪,শুক্রবার)

বর্তমানে পাঁচটি রুটে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ট্রেন চলে। তিনটি যাত্রীবাহী ইন্টারচেঞ্জ, বাকি দুটি পণ্যবাহী।
এ রেল সুবিধা ট্রান্সশিপমেন্টের আওতায় পড়ে। অর্থাৎ, ভারতীয় ট্রেন সীমান্তে আসার পর বাংলাদেশি ইঞ্জিনে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসে। বাংলাদেশি চালক তা চালিয়ে আনেন। ফিরে যাওয়ার সময়েও একই নিয়ম অনুসরণ করা হয়।

ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে ছয়টি আন্তসীমান্ত রেলসংযোগ রয়েছে; কিন্তু এই রেলসংযোগ চুক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে ভারতের বিভিন্ন অংশের মধ্যে ট্রানজিট পাওয়া যাবে। এই রেল ট্রানজিটের অংশ হিসেবেই আগামী মাসের কোনো এক সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের পথ ব্যবহার করে গেদে-দর্শনা থেকে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি ক্রসবর্ডার ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট পর্যন্ত একটি পণ্যবাহী ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে। (ট্রান্সক্রিপ্ট অব স্পেশাল ব্রিফিং বাই ফরেন সেক্রেটারি অন স্টেট ভিজিট অব প্রাইম মিনিস্টার অব বাংলাদেশ টু ইন্ডিয়া, ২২ জুন ২০২৪, মিনিস্ট্রি অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স, ইন্ডিয়া)।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা দুই দেশের সরকার প্রধানের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ভারত আগে থেকেই এটা চেয়েছিলো। এটা কীভাবে বাস্তবায়ন হবে তারও একটি পরিকল্পনা এরই মধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে,(বিবিসি বাংলা, ২৪ জুন,২০২৪)
মি. কোয়াত্রা আরও জানান এই ট্রানজিট চালু হলে সেটা উভয় দেশের মানুষের জীবন ও অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।


নতুন রেল চুক্তিতে কার লাভ
সাধারণত দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে উভয় দেশ সমান ভাবে লাভবান হয়। তবে বাংলাদেশ-ভারত চুক্তিতে এটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। স্বাধীনতার পরে বহু ঐতিহাসিক চুক্তি হয়েছে ভারতের সাথে। এসব চুক্তিতে বাংলাদেশের লাভের হার আশংকাজনক ভাবে কম। ফারাক্কা বাঁধ, তিস্তার পানি, চট্টগ্রাম বন্দরের করিডোর সুবিধা কোনটিতেই বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণ হয়নি।
❝ দর্শনা-চিলাহাটি রেলপথটি বেশ পুরোনো এবং এই পথে এখনই সক্ষমতার চেয়ে বেশি ট্রেন চলছে। রেলপথটির ৬টি সেকশনের মধ্যে ৩টিই ওভারলোডেড। এর মধ্যে আবদুলপুর-সান্তাহার ও সান্তাহার-পার্বতীপুর সেকশনে বর্তমান সক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত ১৪টি এবং পার্বতীপুর-চিলাহাটি সেকশনে সক্ষমতার চেয়ে ১টি ট্রেন বেশি চলছে।
তা ছাড়া এই রেলপথের বেশির ভাগ অংশই পুরোনো। এমনিতেই বাংলাদেশের ব্রডগেজ রেলপথের ভারবহনের ক্ষমতা (২২ দশমিক ৫ টন) ভারতের রেলপথের ভার বহনের ক্ষমতার (২২ দশমিক ৮২ টন) চেয়ে কিছুটা কম। দর্শনা-চিলাহাটি রেলপথের বেশির ভাগ অংশ পুরোনো হয়ে যাওয়ার কারণে এই ভার বহনের ক্ষমতা আরও কমেছে। এ রকম অবস্থায় ভারতীয় মালবাহী ট্রেন নিয়মিত চলতে শুরু করলে বাংলাদেশের অংশের রেলপথ তার ভার কতটা বহন করতে পারবে, সেই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।❞ (পুরোনো রেলপথ, চলছে সক্ষমতার চেয়ে বেশি ট্রেন, বণিক বার্তা, ২৪ জুন, ২০২৪)

❝যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের রেলপথ ব্যবহার করে ভারত বেশি লাভবান হবে। অন্য দিকে বাংলাদেশের লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। তারা বলছেন, এর আগে নৌ করিডোর নিয়ে চুক্তি হলেও বাংলাদেশ খুব একটা লাভবান হতে পারেনি। আবার ট্রেনে যাত্রী পরিবহনে বাংলাদেশ লাভ করলেও পণ্য পরিবহনে খুব বেশি লাভ করতে পারবে না।
পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক বিডি রহমত উল্লাহ রেল ট্রানজিটের বিষয়ে গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেছেন, রেল ট্রানজিট নয়, এটা রেল করিডোর। কারণ ভারত বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে করে রেলের মাধ্যমে তাদের এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে মালামাল ও যাত্রী বহন করবে। এ ট্রেন বাংলাদেশের কোনো মানুষ ব্যবহার করতে পারবে না। এখানে বাংলাদেশের কারো কোনো প্রবেশাধিকার থাকবে না। সুতরাং ভারত বাংলাদেশকে করিডোর হিসেবে ব্যবহার করবে। তিনি মনে করেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ভূমি, রেললাইন সংস্কার, রেলের সিগনাল ব্যবহারের মূল্যও আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী তারা পরিশোধ করবে না। তিনি গণমাধ্যমের প্রকাশিত এক খবরের উল্লেখ করে বলেন, আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী কোনো দেশের ভূমি ব্যবহার করে কোনো ট্রানজিট নিলে যে পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হয়, ভারত পরিশোধ করবে তার এক তৃতীয়াংশ অর্থ।❞ (রেল চুক্তি : বাংলাদেশের লাভ নিয়ে সংশয়, দৈনিক নয়া দিগন্ত, ২৯ জুন,২০২৪)


❝২০২২ সালে ভারত বাংলাদেশকে বিনা মাশুলে তাদের স্থলবন্দর, বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য পরিবহনের প্রস্তাব দিয়েছে৷ এতে করে বাংলাদেশের পণ্যবাহী ট্রাক ভারতের নির্দিষ্ট স্থলবন্দর ও পথ হয়ে নেপাল ও ভুটানে যেতে পারার কথা। কিন্তু সে সুবিধা এখনো পায়নি বাংলাদেশ। তাছাড়া ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল (বিবিআইএন) মোটরযান চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও কার্যকর হয়নি এখনো।
ট্রানজিট নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার একটি নীতি আছে। যদি এ-দেশ চায় বি-দেশের ওপর দিয়ে সি-দেশে পণ্য পরিবহন করবে, তাহলে বি ট্রানজিট দিতে বাধ্য। কিন্তু যদি এ-দেশের আরেকটি অংশে যেতে যদি বি’র ওপর দিয়ে যেতে হয় হয় তাহলে বি ট্রানজিট দিতে বাধ্য নয়।❞
(ভারতকে ট্রানজিট দিয়ে বাংলাদেশের লাভ না ক্ষতি?, www.somoynews.tv,২৯ জুন,২০২৪)
অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম ইনকিলাবের কাছে মন্তব্য করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লী সফরে ভারত যা চেয়েছে তার সবই পেয়েছে, বাংলাদেশ কিছুই পায়নি। ভারতের রেল ট্রানজিটের চেয়ে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা এবং তিস্তার পানিচুক্তি বাংলাদেশের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এসব প্রসঙ্গ এড়িয়ে ভারতের পক্ষ থেকে প্রাসঙ্গিক আলোচনায় ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি ব্যবস্থাপনার মূলা ঝুলানো হয়েছে।(রেল ট্রানজিটে ভারতের লাভ, বাংলাদেশের ঝুঁকি, দৈনিক ইনকিলাব,২৭ জুন,২০২৪)

রেল চুক্তি ভারতের নির্বাচনে প্রার্থীদের ইশতেহার!
সম্প্রতি ভারতের লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে। বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া ভারতের জলপাইগুড়ি আসনে ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রার্থী তার নির্বাচনী ইশতেহারে তেঁতুলিয়া করিডোর বাস্তবায়ন করার কথা বলেছিল।
ভারতে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জলপাইগুড়ি আসনের প্রার্থী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, তারা আবার জিতে ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের কাছ থেকে এ করিডোরের অধিকার আদায় করেই দেখাবেন।(তেঁতুলিয়া দিয়ে ট্রানজিটের নতুন যে দাবি ভারতে ভোটের ইস্যু,বিবিসি বাংলা, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪)

আসলেই ভারতের সাথে এযাবৎ কালের সব চুক্তিই অসম। পানির নায্য হিস্যা থেকে বাংলাদেশ বারবার বঞ্চিত হচ্ছে। ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর আচরণ হিংস্র থেকে হিংস্রতর হচ্ছে। একতরফা এভাবে অনায্য চুক্তির ফলে বাংলাদেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। নতুন রেল চুক্তির মাধ্যমে ভারত তাদের বিভিন্ন রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে সৈন্য পাঠাবে। এতে বাংলাদেশ ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়বে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এমনিতেই ঋণে জর্জরিত বাংলাদেশ। বহুমুখী সমস্যা নিয়ে নাগরিকদের জীবন যায়যায় অবস্থা। বলা চলে অসম রেল চুক্তিতে বাংলাদেশ কিছুতেই লাভবান হবে না। ভারতের প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরিতে বাংলাদেশের অবস্থা মড়ার উপর খড়ার ঘা হয়ে দাঁড়াবে।

পঠিত : ৯৩ বার

মন্তব্য: ০