ভয়ংকর একটি আয়াত
তারিখঃ ২৭ আগস্ট, ২০২৪, ১৪:০৭
নিচের এই আয়াতকে কুরআনের ভয়ংকর একটি আয়াত মনে হয় আমার কাছে, যা মনে পড়লে গায়ের প্রতিটি লোম খাড়া হয়ে উঠে। ঠাণ্ডা মাথায় একটু ভাবলে সবার-ই এমন হওয়ার কথা। আল্লাহ তা‘আলা বলছেন,
‘‘এবং অন্তরে যা আছে, তা প্রকাশ করা হবে।’’
(সূরা আদিয়াত, আয়াত :১০)
কেয়ামতের দিন যখন সবাই উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ তা‘আলা কার মনের ভেতরে কি লুকায়িত ছিল তা প্রকাশ করে দিবেন। এমনকি যে বিষয়টি আমরা প্রকাশ করি না কিন্তু মনে মনে চিন্তা করি, ধারনা করি, সেটাও কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা প্রকাশ করে দিবেন।
আমাদের অনেক কাছের বন্ধু থাকে, যাদের জন্য আমরা সব কিছু উজাড় করে দিই। উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকি নিজের জীবনকেও। এমনভাবে তাকে ভালবাসি, যেন সে ছাড়া থাকতেই পারি না। কিন্তু কোন বিষয়ে যখন তার সাথে আমাদের কোন মতের অমিল হয়, হিসেবে একটু গড়মিল দেখা দেয়, তখন সরাসরি কিছু বলতে না পেরে মনে মনে কত কিছুই না বলে ফেলি আমরা; কিন্তু কথা গুলো আমাদের সেই বন্ধুটি তখন না জানলেও কেয়ামতের দিন ঠিক ঠিক সে জেনে যাবে। তাকে আমাদের সামনে উপস্থিত করে, তার উপস্থিততেই সে কথা গুলো আল্লাহ তা‘আলা প্রকাশ করে দিবেন। একটু ভাবুন তো! তখন কি বন্ধুর সামনে আমাদের চেহারাটা দেখাতে পারব?
রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় কত ছেলে, মেয়ে আমাদের নজরে পড়ে, তখন যদি কাউকে ভালো লাগে বা খারাপ লাগে তখন মনে মনে কত কিছুই না বলে ফেলি আমরা! মেয়েদের দেখলে তো অনেক পুরুষের কুদৃষ্টি অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে যায়, শয়তান তখন সেই অশ্লীল চিন্তা গুলোকে আরো উস্কে দেয়। ফলে আমরা পাপের সাগরে হাবুডুবু খেলি। প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে বিশ্লেষণ করি।
দু’চোখ বন্দ করে একটু চিন্তা করেন তো, যাকে নিয়ে মনে মনে এসব কুরুচিপূর্ণ চিন্তা করছেন তার সামনে যখন দাঁড় করিয়ে আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সেসব কুরুচিপূর্ণ অশ্লীল চিন্তা গুলো, মনের কল্পনা গুলো প্রকাশ করে দিবেন, তখন কিভাবে তার সামনে মুখ দেখাবেন?
নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক হাদীসে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘‘হে আলী! বারবার অনুমতি নেই এমন জিনিসের প্রতি দৃষ্টি দিবে না। কারণ, তোমার প্রথম দৃষ্টি জায়িয (ক্ষমাযোগ্য) হলেও পরের দৃষ্টি ক্ষমাযোগ্য নয়। (তিরমিজি : ২৭৭৭)
কাউকে কিছু বলা একান্ত প্রয়োজন হলে তাকে ডেকে সরাসরি বলে দিন। আর প্রয়োজন না হলে বা আপনার কোন লাভ/ক্ষতি না থাকলে তবে চুপ থাকুন। মনে মনে অন্যকে নিয়ে অনর্থক কল্পনা করা বা খারাপ চিন্তা করা থেকে বিরত থাকুন। আর এটাই হওয়া উচিত মুমিনের চরিত্র।
~ইবনে মাসুদ
মন্তব্য: ০