Alapon

মৌলিক কর্মে মনোযোগী হতে হবে

বিজয় আসলে মানুষ দলে দলে একত্রিত হবে, ঐক্য গড়ে তুলবে এটা তো কুরআনের বার্তা। কে বা কারা আমাদের সাথে ঐক্য করতে এগিয়ে আসছে কিংবা কারা বিরোধিতা করছে এসব নিয়ে কথাবার্তা বলে সময় নষ্ট না করে বরং ইসলামী আন্দোলনের যে মহান আদর্শ আমরা পেয়েছি তা প্রচার করতে এবং সমাজে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে মনোনিবেশ করা উচিত। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়াহ্ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শ্রদ্ধেয় অলিউল্লাহ স্যার ফেইসবুকে চমৎকার অভিমত প্রকাশ করেছেন,
“কেউ আপনার প্রয়োজনে আপনার সাথে ঐক্য করবে না। কেবলমাত্র তার প্রয়োজনেই সে আপনার সাথে হাঁটবে। আপনি যদি নিজের আদর্শের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হোন কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে ভাবার প্রয়োজন নেই। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উহুদের যুদ্ধের সময় অপ্রত্যাশিত ও আকস্মিকভাবে ৩০০ সাথীকে হারিয়েও বিচলিত হন নাই। আর কাউকে নিয়ে অহেতুক আলোচনা করে সময় ও মেধা নষ্টের বিনিময়ে তাকে জাতে উঠানোর আয়োজন করা আর যাইহোক বুদ্ধিমানের কাজ নয়।”

হিংসা আর প্রতি হিংসার আদর্শ আমাদের আদর্শ নয়। নজরুলের কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে বলতে হয়,
“উহারা প্রচার করুক হিংসা বিদ্বেষ আর নিন্দাবাদ;
আমরা বলিব সাম্য শান্তি এক আল্লাহ জিন্দাবাদ।”

আমরা হিংসা ছড়াতে চাই না বরং বুদ্ধিমানের ভূমিকা পালন করতে চাই। প্রতিহিংসা মানুষের মাঝে দূরত্ব তৈরি করে আমরা সেই দূরত্বের দেওয়াল ভেঙ্গে দিয়ে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাই। আমাদের এখন নিম্নোক্ত বিষয় গুলোর প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করা উচিত,

১. জ্ঞান অর্জন
♦ কুরআন সুন্নাহর আলোকে আদর্শ সংক্রান্ত নির্ভুল জ্ঞান অর্জন।
♦ জাহেলিয়াতের মোকাবেলায় ইসলামকে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্য তুলনামূলক রচিত কিতাব সমূহ অধ্যায়ন।
♦ জ্ঞানের সকল শাখায় বিচরণ।
♦ ইসলামী অর্থনীতি, রাষ্ট্রব্যবস্থা সহ প্রয়োজনীয় সকল বিষয়ে মৌলিক দক্ষতার অর্জন।
♦ জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানান শাখায় মুসলিমদের অবদান অবশ্যই জানতে হবে।

২. জ্ঞানের বাস্তবায়ন।
♦ নিজের মাঝে জ্ঞানের বাস্তবায়ন করতে হবে।
♦ সমাজেও ইসলাম বাস্তবায়নে জ্ঞানের প্রয়োগ করতে হবে।

৩. সার্বক্ষণিক দাওয়াতি কাজ।
♦ দাওয়াতি চরিত্র লালন করা।
♦ সবার কাছে আদর্শের দাওয়াত কর্ম ও কথার মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া।

৪. সত্যের সাক্ষী হওয়া।
♦ মৌখিক সাক্ষী দেওয়া।
♦ বাস্তব সাক্ষের নমুনা হওয়া।

৫. সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করা।
♦ অবশ্যই আদর্শ বিচ্ছেদ হয়ে কোন কিছু করার সুযোগ নেই।
♦ সর্বোচ্চ সতর্কতা ও কৌশল এর সাথে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা।

৬. সুসম্পর্ক বৃদ্ধি করে মানুষের মানুষের আস্থা ও ভালোবাসায় পরিণত হওয়া ছাড়া ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের সফলতার ভিন্ন পথে নেই।

আসুন আমরা মৌলিক কর্মে মনোযোগী হই!!

— আব্দুল মজিদ মারুফ
— ১৯.০৯.২০২৪

পঠিত : ৪৩ বার

মন্তব্য: ০