আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে স্থায়ী বন্ধু রাষ্ট্র একটা ভূল তত্ত্ব
তারিখঃ ১১ নভেম্বর, ২০২৪, ০৭:০৭
আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে স্থায়ী কোন বন্ধু রাষ্ট্র বলে কিছু নেই। স্থায়ী বন্ধু রাষ্ট্র একটা ভুল তত্ত্ব। বিগত সময়ে যা অনেক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে দেশে।
সবাই চাই সবাইকে ব্যবহার করতে, নিজেদের কৌশল গত সুবিধা আদায় করে নিতে। একক ও অন্ধভাবে কাওকে বিশ্বাস করলে ঠকবেন। যেমটা বিগত বছরগুলোতে ভারত ঠকিয়েছে, যখন যেদিক থেকে যেভাবে পারছে। এজন্য চাই স্বাধীন ও ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্র নীতি।
ভারত রাশিয়া চীনের ও পাকিস্তানের সাথে কৌশলগত স্বার্থে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। কোনো একদিকে অতিরিক্ত ঝুঁকে পড়লে ভূরাজনীতির বলির পাঠা হবে বাংলাদেশ। সবার সঙ্গে বন্ধুন্ত কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের এই পররাষ্ট্র নীতির কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশ সামান্য ভুল করলেই দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় সংকটময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে৷ তাই বাংলাদেশকে প্রতিটা পদক্ষেপ সতর্কভাবে ফেলতে হবে। আশা করছি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এক্ষেত্রে বিচক্ষণতার পরিচয় দেবেন৷ পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিরতা, গার্মেন্টস শিল্পে অস্থিরতা, দেশের বিভিন্ন কাজে অস্থিরতা নতুন আশঙ্কার জন্ম দিচ্ছে। একই সাথে দেশের অর্থনৈতিক ও সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে কৌশলগত সম্পর্ক বজায় রাখার কোনো বিকল্প নেই।
আরেটা বিষয় লক্ষণীয় - দুই দুইটা পরমাণু বোমা ফেলে লক্ষ মানুষ মেরেও আমেরিকা যদি জাপানের বন্ধু হতে পারে, ২০০ বছর সীমাহীন শোষণ করেও ইংল্যান্ড ভারতের বন্ধু হতে পারে, আমেরিকার স্বাধীনতা আন্দোলনের সহযোগিতা করেও ফান্স আমেরিকার বন্ধু হতে পারেনি হয়েছে ব্রিটেন
তাহলে কোন যুক্তিতে পাকিস্তান বাংলাদেশের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক রাখলে অসুবিধা কোথায় ? পাকিস্তান যদি ৭১ সালে গণহত্যার দায় স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে চায় অসুবিধা কোথায়? এখন পাকিস্তানের সাথে সামরিক বেসামরিক লেনদেন ব্যবসা বাণিজ্য পুরোদমে চালু করা হোক।
মনে রাখতে হবে, ভারসম্যপূর্ণ সম্পর্ক অনেক কিছু এনে দিবে অপরদিকে দূর্বল পররাষ্ট্রনীতি অনেক ঝামেলার কারণ হবে।
মন্তব্য: ০