Alapon

স্বাধীনতা, শান্তিপ্রিয় মানুষ ও ইসলাম

দেশের প্রতিটি জাতীয় দিবস অত্যন্ত জাক জমকপূর্নভাবেই পালন করা হয়। নাচ,গান,আবৃত্তি,অভিনয় এইসব প্রতিযোগীতা আছেই পাশাপাশি বিভিন রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গের বক্তব্য দেওয়া হয়।আমরা জনগন শান্তিপ্রিয়, নির্যাতিত,সাধারন মানুষ এইসব কথা সবসময়ই বলে থাকি।কিন্তু আমরা জনগন যে কত কুলাঙ্গার তা আমরা বিবেকের কাছে প্রশ্ন করলেই বুঝতে পারি। আজ সাধারন জনগন কাল মন্ত্রী এমপির আস্থাভাজন পরশু দশ তলা বাড়ি ছেলে মেয়ে নর্থ সাউথে কিংবা বিদেশে লেখা পড়া করে,আগামী বছর আমেরিকা প্রবাসী এরকম ভুরি ভুরি নিউজ জানি তবুও আমরা সাধারন জনগন।

আজ স্বাধীনতা দিবস ২৬ শে মার্চ ২৫ শে মার্চ রাত্র থেকে মাইকে গান বাজনার মধ্য দিয়ে চেতনার সুন্দর বিকাশ ঘটাবার মাধ্যমে অনানুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন শুরু। এইগুলো কি সংস্কৃতির অংশ ছিলো কি না? আমার জানা নাই।তারপর ভোরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন এইসব কি আদৌ আমাদের সংস্কৃতি অংশ ছিলো কি না? প্রতিটি স্কুলের ছেলে মেয়েদের এই অনুষ্ঠাগুলোতে অংশগ্রহন বাধ্যতামূলক এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এই সংস্কৃতির সুন্দর বিকাশ ঘটছে।কুরআন পাঠের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ পাঠের দৃষ্টান্ত কিছুদিন যাবত চলছে।

ইসলাম কি বলে? ইসলাম কি চায়,ইসলাম কিভাবে পালন করতে বলে। এইসব প্রশ্ন যখন উঠনো হয়। বিশ্বাস করুন নাই করুন অবচেতনমনে অপরিচিত ব্যাক্তি বলে উঠে বেশী হুজুর হইয়েন না।
আল্লাহ পাক হাদীসে কুদসীতে সরাসরি বলেছেনঃতিনি তার বান্দাহদের শিরকের গুনাহ আর কুফুরির গুনাহ এই দুই গুনাহ যারা করবে না ওদের জন্য অবশ্যই জান্নাত। ২৫ শে মার্চ যারা জীবন দিয়েছে  তারা মজলুম অবশ্যই তবে তাদের মধ্যে যারা ঈমানদার ছিলো, আল্লাহ যেন তাদের জান্নাত দেন আমিন। আর তাদের জন্য আমরা দোয়া করতে পারি। ফুল দিয়ে,মাইকে গান বাজনা বাজিয়ে,নাচ গান করে তাদের আত্নার মাগফিরাত তো হবেই না বরং আমরা আমাদের আমলনামায় শিরকী এবং কুফরী এর মতো সবচেয়ে নিকৃষ্ট গুনাহ জমা রাখছি।
আল্লাহ আমাদের হেদায়াত দান করুন আমিন

পঠিত : ৭৩৬ বার

মন্তব্য: ০