Alapon

হুজুর হইলে পাকিস্তানী তাহলে প্রভুজি হইলে কি?



আগে যখন আওয়ামী ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছিলো তখন দেখতাম সরকারি দল এর পা চাটা পান্ডারা কিছু হলেই আলেম-ওলামা দের বলতো পাকিস্তানের দোসর নয়ত তালেবানের দোসর ইত্যাদি ইত্যাদি। মোট কথা মুসলিম হলেই তাকে পাকিস্তানি ট্যাগ দিয়ে দেয়া হতো। সাথে চলতো হ্যারেসম্যান্ট। এটা আওয়ামিলীগের আমলে ছিলো জায়েজ। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, তখন আলেম-ওলামা গ্রেফতার হলেও আফগানিস্তান বা পাকিস্তান থেকে কোন বিবৃতি তো দূরে থাক কিছুই বলা হতো না।

কিন্তু চিন্ময় স্বামী যে কি না ইস্কনের নেতা, তাকে গ্রেফতারের পর ভারতের সরকার আর বিরোধী দল সবাই এক হয়ে বিবৃতি দেয়া শুরু করেছে। তারা দাবি করছে দেশে নাকি সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে। এই নির্যাতন বন্ধের জন্য দাবি জানাচ্ছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, ভারত যেদিন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে নগ্ন হস্তক্ষেপ করছে সংখ্যালঘু কথা বলে, সেদিনও ৫ জন মুসলিম হত্যা করা হয়েছে মসজিদ ভাঙার প্রতিবাদ করায়। আর মুর্শিদাবাদের তো মহান আল্লাহকে নিয়ে কটাক্ষের প্রতিবাদ করায় এক মুসলিমকে তো পিটিয়ে হত্যা করা হলো। তো ওরা মালাউনরা যে আমাদের প্রকাশ্য শত্রু, এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। আর ভারতের সেবাদাসী হাসিনার জন্য ভারত আরো বেশি সুযোগ পাচ্ছে আমাদের দেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপের!!

ভারত তাদের পারমানবিক বোমা আর হাইপারসনিক মিসাইল দিয়ে আমাদের ভয় দেখাচ্ছে! অথচ ওরা এটা খেয়াল করে নাই, বাংলাদেশের জনগণ ওদের সেবাদাসীকে বিদায় করতে কিভাবে বন্দুকের সামনে বুক পেতে দিয়েছিলো! সম্ভাব্য ২০০০ মানুষ জীবন দিয়েছে নতুন স্বাধীনতা আনার জন্য।

এখন.........

হাসিনা যতোই ভারতের সেবাদাসী হোক, ভারতের মদদে স্বৈরাচার বনে যাক, সে ছিলো বাংলাদেশী। তাকেই দেশের জনগণ টোলারেট তো করেই নাই, বরং তার সংসদের ৩০০ এমপি দেশের জনগণের ভয়ে পলাতক! কারন সে ছিলো ভারতের দালাল। এক ভারতের দালাদের উপর যদি দেশের মানুষ এতো রাগ করতে পারে, তাহলে ভাবুন ভারতের উপর কতটা জেদ থাকতে পারে!!! -- বাংলাদেশে হামলা করলে এর পরিনতি কি হতে পারে জাস্ট ভাবুন। আর পারমানবিক বোমার কথা বলে? -- আরে ভাই, আমেরিকা হলো দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র, যাদের ভারতও ভয় পায়, ওরাই আফগানিস্তানে যুদ্ধে হেরে গিয়ে একবারে দক্ষিন এশিয়া থেকে বিতারিত হলো আর সেখানে ভারত!!! যাদেরকে প্রতিবেশি রাষ্ট্রের কেউই পছন্দ করে না!!! ওরা হামলা চালালে নিজেরাই মাইর খাবে। ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। অনেক প্রদেশ যেমন অরুণাচল ( সেভেন সিস্টার্স), কাশ্মীর সহ অনেক অঞ্চল হারাবে। অনেক অঞ্চল স্বাধীন হবে। আর বাংলাদেশ পালটা হামলা তো চালাবেই।

আর ভারত তাদের পারমানবিক বোমা কোনদিনও ব্যাবহার করতে পারবে না। এর ফলাফল ওরাই ভুগবে। কি কারনে ভারত তাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রে পারমানবিক বোমা ব্যাবহার করতে পারবে না এই বিষয়ে ইনশাআল্লাহ পরবর্তী আর্টিকেলেই লেখবো। শুধু এইটুকু বললাম, আমাদের যেই অঞ্চলেই মারুক না কেন, এর রিয়্যাকশন যেমন তীব্র এসিড বৃষ্টি সহ আরো ন্যাচারাল কলামিটি ভারত সহ মিয়ানমারও ভুগবে। আর এর ফলাফল গোটা অঞ্চলে ছড়াবে। ভালোভাবেই লেখবো ইনশাআল্লাহ।

দেশে ভারতের দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে সোচ্চার হওয়ার সময় হয়েছে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলার পায়তারা করছে এরা। তাই এদের ব্যাপারে খুবই সাবধান হতে হবে। এদের জন্য সাধারণ হিন্দু ভাইদের কোন ক্ষতি করা যাবে না। কারন দেশে এখনো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আছে।

সম্প্রীতির একটা ঘটনা বলি।

আমার দাদি দীর্ঘ্যদিন শয্যাশায়ী ছিলেন। এতে করে শরীরে বড শ্যোর হয়। মানে ঘা হওয়া যাকে বলে আরকি। ড্রেসিং করাইতে হতো প্রায় প্রতিদিন। নাহলে অবস্থা আরো খারাপ হতো। তো একজন ডাক্তার, উনি এলএমএফ ডাক্তার, তো বাসায় এসে উনি দাদির ড্রেসিং করতেন। দাদি যেদিন মারা গেলেন সেদিন তিনি আন্তরিকতার সাথে খাটিয়া আনা থেকে শুরু করে অনেক সাহায্য করেছেন। দাদির লাশ কাঁধে বহনে উনিও সাহায্য করেছেন। গ্রামের বাড়িতে নেয়ার জন্য এম্বুল্যান্সে উঠান সাথে গ্রামের বাড়িতেও যান যেটার কোন দরকারই ছিলো না। কিন্তু তিনি আন্তরিকতা দেখিয়ে করেন! ভাই অত্যন্ত সহজ সরল মানুষ ছিলেন। বাসায় থাকা কালে আমি কোরআন তিলাওয়াত করছিলাম, উনি আমার বসার জন্য + সুবিধা করার জন্য কাজ করেন। উনার উদারতা সত্যিই মনে রাখার মত। অথচ উনাকে আমি বা আমরা কেউই চিনতাম না!!! ভাইকে সালাম জানাই সর্বদা।

এটাই আন্তরিকতা। এটাই সম্প্রীতি। আর এই সম্প্রীতি নষ্ট করবে ইস্কন। আর তাই ইস্কনকে নিষিদ্ধ করতেই হবে।

পঠিত : ৫৭ বার

মন্তব্য: ০