গাজ্জাহকে যেন ভুলে না যাই !!!
তারিখঃ ২৯ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:২২
গাজ্জাহকে যেন ভুলে না যাই !!!
.
.
বাংলাদেশের সমস্ত মুসলিম ভাই-বোনদের উদ্দেশ্যে বলছি- গাজ্জাহকে ভুলে যাবেন না। ১৮ জুলাই থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত আপনারা কিছুটা হলেও গাজ্জাবাসীর মতো রক্তাক্ত দিন পার করেছেন। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার একান্ত অনুগ্রহে আপনারা সেই বিভৎস রক্তাক্ত পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেয়েছেন। সুতরাং এই নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করুন। এই রক্তাক্ত আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ান, যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসায় সহায়তা করুন। গাজ্জায় আপনাদের ভাইবোনেরা দীর্ঘ একবছর যাবৎ এরচেয়েও হাজার গুণ ভয়াবহ সময় পার করছে। সুতরাং নির্ভরযোগ্য সংস্থাগুলোর মাধ্যমে সাধ্যমত গাজার জন্য সাহায্য প্রেরণ করা অব্যাহত রাখুন। গাজায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত সাহায্য পাঠানো বন্ধ করে দিবেন না।
.
যু'দ্ধটা দীর্ঘ হওয়ায় অনেকেই আমরা গাজ্জাহকে ভুলে গেছি, কিংবা আগের মতো করে অনুভব করছিনা। অনেকেই আর আগের মতো সাহায্য-সহযোগিতা পাঠাচ্ছেন না। এটা মোটেও সমীচিন নয়। প্রতি মুহূর্তে গাজ্জাহ যেন আমাদের কাছে জীবন্ত থাকে, গাজ্জার প্রতি আমাদের কর্তব্য যেন সর্বদা আদায় হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
.
একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে গাজার একজন সম্মানিত আলেম একটি পোস্ট করেছেন, যেখান থেকে বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা অনুভব করা যায়। পাঠকদের জন্য লেখাটির বাংলা অনুবাদ তুলে ধরা হল-
.
"অত্যন্ত পরিতাপের সাথে বলছি- গাজার প্রয়োজনগ্রস্থ মানুষদের জন্য ত্রান ও সাহায্য পাঠানোর কার্যক্রমে আগের তুলনায় অনেক ভাটা পড়ে গেছে। অথচ গাজাবাসী বর্তমানে এমন এক সময় পার করছে যখন কিনা বহির্বিশ্ব থেকে ত্রান পাঠানোর প্রয়োজন আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি, এমনকি যু'দ্ধের প্রথম মাসগুলোর চেয়েও বেশি। কারণ তখন গাজ্জার অনেকের কাছে আগের সংরক্ষিত কিছু টাকা-পয়সা ও জিনিসপত্র ছিল। বড় বড় কিছু সংস্থার মাধ্যমে সাহায্য পৌঁছার ব্যবস্থা ছিল, দ্রব্যমূল্য তুলনামূলক স্বাভাবিক ছিল, জনগণের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার অবস্থা বর্তমানের তুলনায় কম ভঙ্গুর ছিল।
.
এখন তো সংরক্ষিত সমস্ত কিছুই নিঃশেষ হয়ে গেছে। সাহায্য আসাও অনেকাংশে বন্ধ হয়ে গেছে।প্রয়োজন আরো বেড়েছে, জীবন ও জিবিকার মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোরও প্রচন্ড সংকট তৈরী হয়েছে..
.
গাজ্জাবাসীকে সাহায্য করা সমস্ত মুসলমানদের উপর ফরজ। যদি অস্ত্র দিয়ে যু'দ্ধ করার মাধ্যমে গাজাবাসীকে সাহায্য করা সাধ্যে না কুলায় তাহলে কমপক্ষে তো সম্পদ দিয়ে, সাহায্য পাঠিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো জরুরী। এটাই কুরআনের নির্দেশ, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ, এবং উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর তরীকা।
.
পথ একটু দীর্ঘ হওয়ায় আমরা যেন থেমে না যাই, দমে না যাই। কারণ, ইমান ও সততার অন্যতম আলামত হলো দ্বীনের পথে নিরন্তর পথচলা অব্যাহত রাখা। আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত আর কোনো ইলাহ নেই"
মন্তব্য: ০