???? “চিপ-এবং-পিন পাসপোর্ট” আসলে কী?
তারিখঃ ৫ জুলাই, ২০২৫, ২২:৪৫
আপনি যে “চিপ-এবং-পিন পাসপোর্ট” কথাটি বলেছেন, সেটা আসলে দুইটি ভিন্ন প্রযুক্তির মিশ্রণ:
---
১️⃣ ই-পাসপোর্ট (চিপ পাসপোর্ট)
আধুনিক বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট—যা ই-পাসপোর্ট নামেও পরিচিত—এতে একটি মাইক্রোচিপ (RFID) থাকে যেখানে ব্যক্তির বায়োমেট্রিক তথ্য (ছবি, আঙ্গুলের ছাপ, ডিজিটাল স্বাক্ষর ইত্যাদি) সেভ থাকে।
এই চিপে এনক্রিপশন এবং ডিজিটাল সিগনেচার ব্যবহার করা হয় যাতে ডেটা কপি বা পরিবর্তন না করা যায়।
---
২️⃣ চিপ-এবং-পিন (ব্যাংক কার্ড)
এটি একটি ব্যাংক কার্ড প্রযুক্তি, যেখানে চিপ এবং পিন দিয়ে টাকা উত্তোলন বা লেনদেন করা হয়।
এটি পাসপোর্টের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
---
❓ তাহলে কি “চিপ-এবং-পিন পাসপোর্ট” আছে?
সরাসরি বলতে গেলে, না, এমন কোনো পাসপোর্ট নেই। কিন্তু কিছু ভুয়া ই-পাসপোর্ট (যেখানে চিপ ক্লোন করা হয়) তৈরি করার চেষ্টা হ্যাকাররা করেছে।
???? কীভাবে ভুয়া চিপ পাসপোর্ট তৈরি হয়?
✅ হ্যাকাররা বৈধ পাসপোর্টের চিপ থেকে ডেটা কপি করে একটি ফাঁকা চিপে প্রোগ্রাম করে।
✅ তারপর সেই চিপটি একটি ভুয়া পাসপোর্টের মধ্যে বসিয়ে দেয়।
✅ কিছু দেশে বর্ডার স্ক্যানার সেই ভুয়া পাসপোর্টকে বৈধ ভেবে গ্রহণ করে, কারণ স্ক্যানারগুলো সবসময় ডিজিটাল সিগনেচার যাচাই করে না।
⚠️ কেন এটা বিপজ্জনক?
যদি বর্ডার কন্ট্রোল সিস্টেম সঠিকভাবে চিপের সিগনেচার যাচাই না করে, তবে ভুয়া চিপ দিয়ে তৈরি পাসপোর্ট ব্যবহার করে সীমান্ত পার হওয়া সম্ভব।
---
✅ উপসংহার
“চিপ-এবং-পিন পাসপোর্ট” বলে কিছু নেই—এটি আসলে ব্যাংক কার্ডের পদ্ধতির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে।
তবে ভুয়া ই-পাসপোর্ট (যেখানে চিপ ক্লোন বা তৈরি করা হয়) বাস্তবে আছে এবং সাইবার অপরাধীরা এটি চেষ্টা করেছে।
এখন অনেক দেশই শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবহার করছে, যাতে এমন ভুয়া পাসপোর্ট শনাক্ত করা যায়।

মন্তব্য: ০