Alapon

জুলাই সনদ পাশ হলে সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর আস্থা বাদ যাবে - তথ্যটি কতটা সঠিক?

বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধানের মূলনীতি ৪টি: জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। জুলাই সনদে এই চারটি মূলনীতি বাদ দেওয়া হচ্ছে।

ইসলামপন্থীদের জন্য এটা একটা দারুণ খবর নিঃসন্দেহে। কিন্তু এই তথ্য জাতিকে জানতে দেয়নি বিএনপি। অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলাও জানাতে পারেনি।

জুলাই সনদ পাশ হলে মূলনীতি হবে: সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি।

অথচ, বিএনপি বলছে জুলাই সনদ পাশ হলে আল্লাহর উপর আস্থা বাদ দেওয়া হবে, যা সর্বৈব মিথ্যা। বর্তমান সংবিধানেই যেখানে আল্লাহর উপর আস্থা উল্লেখ নেই, সেখানে বাদটা কীভাবে দেওয়া হলো? আর জুলাই সনদ যদি পাশ না হয়, তাহলে যে গণতন্ত্র, সেকুলারিজম, সোশ্যালিজম সংবিধানে থাকছে? জানিনা, কোন রাষ্ট্রকে খুশী রাখতে তারা এসব কুফরী মতবাদ সংবিধানে রেখে দিতে চায়।

এখন প্রশ্ন হলো, জুলাই সনদে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রাখা হয়নি কেন?

জুলাই সনদ প্রণয়নকালে জামায়াতে ইসলামী এবং বিএনপি উভয় দলই মূলনীতি হিসেবে 'আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস' সংযুক্ত করার কথা বলেছিল।(১)

কিন্তু, অপরাপর রাজনৈতিক দলসমূহ সম্মিলিতভাবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি যুক্ত করার কথা বলে। যার প্রেক্ষিতে সংবিধানের মূলনীতিতে এগুলোই যুক্ত করা হয়েছে।

সনদে স্বাক্ষর করার সময় এই এই ব্যাপারে আর কোনো কথা বলেনি বিএনপি। এমনকি নোট অব ডিসেন্ট বা লিখিত আপত্তি/বিকল্প প্রস্তাবনাও দেয়নি। তারা জাস্ট একমত পোষণ করেছে। কিন্তু এই মুহুর্তে কেন এই ধর্মীয় সেন্সেটিভ বিষয়টিকে তারা মুখ্য বিষয় বানিয়ে মানুষকে জুলাই সনদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ করছে?

তার কারণ, জুলাই সনদে এমন অনেক কিছু আছে, যা পাশ হলে ক্ষমতায় এসে আর দুর্নীতি, লুটপাট আর রাষ্ট্রের সকল কিছু দলীয় নিয়ন্ত্রণে আনা যাবেনা। তাই ধর্মকে ব্যবহার করে জুলাই সনদ ঠেকানোর অপচেষ্টা করছে এই সিজনাল ধর্মব্যবসায়ী দল।

উল্লেখ্য, আসন্ন নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জামায়াতে ইসলামী/বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, তাহলে নির্বাচিত সরকার চাইলে যেকোনো সময় সংবিধানে 'আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস' যুক্ত করতে পারবে।

পঠিত : ১২০ বার

মন্তব্য: ০