জামায়াতের ওয়েল ফেয়ার পলিটিক্স কি সাময়িক?
তারিখঃ ৩ নভেম্বর, ২০২৫, ২০:২৬
জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ওয়েল ফেয়ার পলিটিক্স নিয়ে বেশকিছু কথা আসছে। বেশকিছু রাজনৈতিক দলের পদধারী নেতারা ওয়েল ফেয়ার পলিটিক্সকে দান-খয়রাতের সাথে তুলনা করেছেন।
ইসলামী ওয়েল ফেয়ার স্টেটের যেই স্ট্রাকচার তা মূলত এমনই। এই টাইপের স্টেটে পূঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা গড়ে উঠতে পারে না। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের জীবনমান একটি এভারেজ কন্ডিশনে আনার চেষ্টা থাকে। জাকাত ও দান-ফিতরার মাধ্যমে নিম্নবিত্তদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার প্রচেষ্টা থাকে। বিত্তশালীরা সমাজের অর্থনৈতিক সমতা সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া, সেবামূলক সংস্থাগুলো পুরোপুরিভাবে সরকারী বাজেটের অর্থনৈতিক বরাদ্দের উপর নির্ভর করার প্রয়োজন হয় না। সমাজকল্যাণ কার্যক্রমগুলোও আর্থিক বরাদ্দ না পেয়ে থেমে থাকে না। ছোট ছোট এলাকাভিত্তিক ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট থাকে।
ওয়েল ফেয়ার স্টেটের অন্যতম বড় শক্তি হচ্ছে তার ব্রিজিং সিস্টেম এবং কানেক্টিং পাওয়ার। ওয়েল ফেয়ার স্টেটের প্রতিটি সেক্টর খুব সহজেই দক্ষতার সাথে যেকোনো সমস্যার সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে দ্রুত কানেক্ট হতে ক্যাপেবল। ওয়েল ফেয়ার স্টেটের মূল লক্ষ্য থাকে ভোক্তা ও সেবাদাতার মাঝামাঝি ব্রিজ তৈরি করে দেওয়া।
ওয়েল ফেয়ার স্টেট বিশেষভাবে অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সক্ষম। এমন স্টেটে কর্মকর্তাদের অর্থ আত্মসাত ও ঘুষ লেনদেনের সুযোগ থাকে না। কঠোরভাবে আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
ইসলামী ওয়েল ফেয়ার স্টেটের স্বপ্ন নিয়ে যারা রাজনীতি করে, তারা ওয়েল ফেয়ার পলিটিক্স-ই করবে, এটাই স্বাভাবিক। এটা হচ্ছে একটা প্র্যাকটিস, যা রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর আরো ব্যাপকতা লাভ করতে সক্ষম হবে। আজকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ছাত্রশিবির যেই ওয়েল ফেয়ার করছে, সাধারণ জনগণকে জামায়াতে ইসলামী যেই ওয়েলফেয়ার করছে; রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হওয়ার পরও সেই ওয়েল ফেয়ার জারি থাকবে। যেভাবে ডাকসু জেতার আগে ও পরে ছাত্রশিবিরের ওয়েল ফেয়ার স্ট্র্যাটেজিগুলো সেইম-ই আছে।
- মোহাম্মদ যায়িদ বিন ইসলাম
বায়োটেকনোলজি, সেলজুক ইউনিভার্সিটি তুরস্ক

মন্তব্য: ০