Alapon

জামায়াতের নতুন ন্যারেটিভ: জনমনে পরিবর্তনের ইঙ্গিত



"সব দলকেই দেখা হয়েছে, এবার জামায়াত দেখি কেমন করে!"

সাধারণ জনগণের মুখে মুখে এই কথা ছড়িয়ে দিতে পারা জামায়াতের একটি বড় ক্রেডিট। এটাই ন্যারেটিভের খেলা, আর এই ন্যারেটিভের সঙ্গে একাত্তরকে মেশানো কঠিন।

২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ ঠিক এমনই একটি ন্যারেটিভ তৈরি করেছিল— “দিন বদলের ডাক।” তারা ঘোষণা দিয়েছিল ১০ টাকায় চালের কেজি বিক্রি করবে। নির্বাচনী ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাশাপাশি এই ন্যারেটিভই তাদের স্থায়িত্ব দিয়েছিল।

জামায়াত এখন জনমনে যে ন্যারেটিভটি নির্মাণ করছে, সেটি আসলে নবগঠিত দল এনসিপির জন্য সবচেয়ে সহজ ছিল। জামায়াতের চেয়ে তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রশ্ন ছিল কম; জুলাই আন্দোলনের কারণে তারাই ছিল একচ্ছত্র ভালোবাসার পাত্র। তবে তারা জনগণের কাছে না পৌঁছে পৌঁছেছিল সচিবালয়ে। ২-৩ জন ছাত্র উপদেষ্টা পাওয়াই তাদের রাজনৈতিক সর্বোচ্চ সফলতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাকি ভাই-ব্রাদাররাও সেই উপদেষ্টাদের মাধ্যমে যথাসম্ভব আখের গুছিয়ে নিতে চেষ্টা করে গেছে।

২০২৪ সালের বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বেশি হাইপে থাকা এবং সবার চোখের মনি বর্তমান এনসিপি কেন ২০২৫ সালে, মাত্র এক বছরের মাথায়, সেই হাইপ ও শ্রদ্ধা প্রায় হারিয়ে ফেলল — আর জামায়াতে ইসলামী কিভাবে ২০২৪-এর বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে কোনো ক্রেডিটের রাজনীতি না করেও জনমনের গভীরে জায়গা করে নিয়েছে ও নিচ্ছে — এটি একটি বিশাল গবেষণার প্রশ্ন।

- মোহাম্মদ যায়িদ বিন ইসলাম
বায়োটেকনোলজি, সেলজুক ইউনিভার্সিটি তুরস্ক

পঠিত : ১৪২ বার

মন্তব্য: ০