Alapon

প্রজন্মের যারা আইকন তারাই আজ ভিলেন!

এ দৃশ্য দেখবো জানতাম। তবে এত দ্রুত দেখবো জানতাম না। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীদের দেখলে নাকি জাফর ষাড়ের হড়হড় করে বমি করতে ইচ্ছে করে। এখন আসুন হিসেব করি।

কোটা নামক বৈষম্যের শিকার তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা অন্তত প্রায় ২৭ লাখ। অর্থাৎ দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা এটি। এই বিপুল সংখ্যক তরুণ প্রজন্ম আজ বাস্তবতা বুঝে গেছে। তাই মহান সংসদে দাঁড়িয়ে মতিয়া চৌধুরীরা রাজাকার বললে এখন আর তারা অসম্মান বোধ করে না। বুকে “আমি রাজাকার” লিখে রাজপথে দাঁড়িয়ে যায়। এখন তারা চাকরির দাবি নিয়ে শাহবাগে দাঁড়ালে বিরিয়ানির বদলে মেলে কাঁদানে গ্যাস আর নির্মম বুলেট।

অথচ এই প্রজন্মই একদিন মতিয়া গংদের প্ররোচনায় তাদের রাজাকার গালির সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে শাহবাগে ‘তুই রাজাকার-তুই রাজাকার’ শ্লোগান দিয়েছিল। সেদিন তাদের জন্য পুরান ঢাকার বিরিয়ানি ছিল। এই কোদালযোদ্ধা জাফর ষাড়ই সেদিন শাহবাগে গিয়ে তাদের বাহবা জানিয়ে হয়েছিলেন তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের মানুষ, আইকন। তুরিন আফরোজদের মিথ্যাচারের গলাবাজি, সিনহা বাবুদের প্রকাশ্য ষড়যন্ত্র, সুরঞ্জিত বাবুদের আস্ফালন সবকিছু মিলিয়ে সেদিন সত্যের পক্ষে দাঁড়ায়নি এ প্রজন্মের একটি বড় অংশ। 

মতিয়া গংদের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে সেদিন যে প্রজন্ম দেশের সবচেয়ে নীতিবান রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় করতে সহযোগিতা করেছে, সেই প্রজন্ম কিভাবে মুক্তি পাবে এই মিথ্যাচারীদের হাত থেকে? তাদের কি সেই অন্যায়ের প্রায়শ্চিত্ব মোটেই করতে হবে না? তা কি করে হয়? 

এই প্রজন্মেরই একটি অংশ যারা দেশপ্রেমিক, নীতিবান, আদর্শবান ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে হত্যার ষড়যন্ত্র রুখতে গিয়ে রক্ত দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন, নিজেদের ভবিষ্যত, ক্যারিয়ার বিসর্জন দিয়েছেন তাদের এ কুরবানী কি ব্যর্থ হয়ে যাবে?

মুক্তি যদি আসে, তবে ওই ত্যাগী জীবন উৎসর্গকারী প্রজন্মের কুরবানীর কারণেই আসবে। মিথ্যার ছলাকলায় যারা বিভ্রান্ত হয়ে ন্যায়ের বিরুদ্ধে সেদিন অবস্থান নিয়েছিল, তাদের উপযুক্ত প্রাপ্য তারা পাবে। তাদের জন্য আরও অনেক জিল্লতি অপেক্ষা করছে। শহীদের রক্ত বৃথা যায় না...

পঠিত : ৯৩৫ বার

মন্তব্য: ০