Alapon

আমি কাজী নজরুল বলছি......

আমি কাজী নজরুল ইসলাম বলছি....চলুন আমার ..জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ঘুরে আসি..
1

আমার জন্ম অধুনা ভারতবর্ষের, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের,বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে.. 

২৫ শে মে,১৮৯৯ সালে

আমার জন্ম স্থানটির মানচিত্র নিম্নরূপ

2

এটা বর্ধমান জেলা

raspberry|23.78,87.08" data-lazy-src="http://maps.google.com/maps/api/staticmap?center=23.78,87.08&zoom=8&size=250x200&sensor=false&markers=color:blue|labelraspberry|23.78,87.08" alt="3" class="lazyloaded" data-was-processed="true" style="box-sizing: border-box; border-style: none; opacity: 1; transition: opacity 0.5s linear 0.2s;">

p লেখা জায়গাটিই হলো চুরুলিয়া

আমার বাড়ি দেখতে চান....যেখানে আমি জন্ম গ্রহণ করেছি...
তাহলে দেখুন নিচেই আছে আমার বাড়ি..

আমাকে তখনো কেও নজরুল ইসলাম বলে চেনেনা...চেনে দুখু মিয়া বলে।

আমি তখন লেটো দলে গান গেয়ে বেড়ায়....

আমার পিতামহ কাজী আমিনউল্লাহ
পিতা ফকির আহমদ
মাতা জাহেদা খাতুন
আমি পিতা মাতার ষষ্ঠ সন্তান

আমি দশম শ্রেণীতে পড়তে পড়তে ব্রিটিশ অধিনস্ত ভারতীয় সেনা বিভাগে যোগ দিই...
আমার সাহসিকতা এবং নিজ যোগ্যতায় আমি হাবিলদার পদে উন্নিত হই...
আমি তখন যুবক ২১বছর বয়স...সৈনিকের পোশাকে (হাবিলদার)আমি

5

দেখুনতো আমাকে চিনতে পারেন কিনা....

আমার(কাজী নজরুল ইসলাম) ছোট পরিবার দেখুন

7

কি চিনতে পারলেন.....?
আমি আমার ছেলে বুলবুলকে হাতে নিয়ে
আমার ডানদিকে দাঁড়িয়ে বুলবুলের নানি...
আমার ডানদিকে স্ত্রী প্রমিলা বসে আছেন.
আমার বাঁদিক বসে আছেন গিরিবালা দেবী..

আমার অন্যছবি......

এখানে আমি,স্ত্রী প্রমিলা ,দুই পুত্র সব্যসাচী এবং অনিরুদ্ধ

আমাকে আলিউর রহমান কেমন গান শোনাচ্ছে দেখুন
15

19
কবিতা পাঠ করছি আমি
20

"আমি সেই দিন হব শান্ত,
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে বাতাসে ধবনিবে না,
অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না"

আমাকে 'একুশে' মেডেল পরিয়ে দিচ্ছেন...
21

'গাহি সাম্যের গান--
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাহি, নহে কিছু মহীয়ান!"

আমি (কাজী নজরুল ইসলাম) বৃদ্ধ হয়েছি...
22

আমাকে ২৪শে মে ১৯৭২ সালে ঢাকায় নিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমন
29

আমার (কাজী নজরুল ইসলামের)কব্যগ্রন্থ গুলি:-

অগ্নিবিণা(১৯২২),দোলন চাঁপা (১৯২৩),বিশের বাঁশি(১৯২৪),চিত্তনামা(১৯২৫),সাম্যবাদী(১৯২৫),সর্বহারা(১৯২৬),ঝিঙেফুল(১৯২৭),
ফণিমনসা(১৯২৭),সিন্ধুহিল্লোল(১৯২৭),সঞ্চিতা(১৯২৮),জিঞ্জীর(১৯২৮),সন্ধ্যা(১৯২৯),চক্রবাত১(১৯২৯),প্রলয় শিখা(১৯৩০),চন্দ্রবিন্দু(১৯৩০),
নতুন চাঁদ(১৯৪৫),মরু ভাষ্কর(১৯৫৭),সঞ্চয়ন(১৯৫৫),শেষ সওগাত(১৯৫৮),ঝড়(১৯৬০)

আমার (কাজী নজরুল ইসলামের)লেখা গল্প গুলি:-
ব্যাথার দান,রিক্তের বেদনা
আমার (কাজী নজরুল ইসলামের)লেখা নাটকের নাম:-
মৃত্যু ক্ষুধা

আমি (কাজী নজরুল ইসলাম)যে যে পত্রিকার সম্পাদক ছিলাম:-
লাঙ্গল,ধূমকেতু,নবযুগ,মোসলেম ভারত

আমাকে দেখুন ,আমি রোগশয্যায়...
আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন...বঙ্গবন্ধু

25

আমি শেষ বারের মত চোখ বন্ধ করি.. ২৯ আগস্ট,১৯৭৬সালে

আমার শেষযাত্রায়...
বাংলাদেশের সমস্ত জনতা...
ঢাকার রাজপথে কেমন শেষশ্রদ্ধা জানাতে এসেছে ..

আমি আমার শেষ ইচ্ছা প্রকাশ করেছি....
আপনি কি জানতে চান?....তাহলে আমার কবিতা পড়ুন

"মসজিদেরই পাশে আমায় কবর দিয়ো ভাই,

যেন গোরের থেকে মুয়াজ্জিনের আযান শুনতে পাই।।"

আমার শেষ ইচ্ছা বাংলাদেশ সরকার পূরণ করেছেন...আমি বাংলাদেশের জাতীয় কবি...ভারতের জনপ্রিয় কবি..সকলের বিদ্রোহী কবি....

দেখুন আমি যেখানে চিরনিদ্রায় শায়িত আছি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে মসজিদের পাশে

27
ধার থেকে দেখুন

28

আমি (কাজী নজরুল ইসলাম) এখানে আমার জীবনের এক ঝলক দিলাম...
দুর্লভ কিছু মুর্হূত মাত্র...সম্পূর্ন জীবনী নয়...

শেষ কালে বলতে চাই...
গাহি সাম্যের গান-
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহিয়ান্‌ ।
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি,
সব দেশে সব কালে ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি 

পঠিত : ১১৯৫ বার

মন্তব্য: ০