Alapon

রমজান মাস ভোগের নয়,রমজান মাস হল সংযমের :হাসান জামিল

মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি, সংযম,বিভেদ-হানাহানি, লোভ-লালসা, কাম-ক্রোধসহ সব কুপ্রবৃত্তিকে কঠোর সংযমের মাধ্যমে জয় করে নিজেকে পরিশুদ্ধ করার মাস হল পবিত্র রমজান।রমজানের অনেক গুলো শিক্ষার মধ্যে একটি শিক্ষা হল,সমাজের বা রাষ্ট্রের ধনী ও বিত্তবানদের মনে দরিদ্রের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া। কারন ধনী ও বিত্তবানেরা যেন দরিদ্রের ক্ষুধার তাড়ানা বুঝতে পারে।আর যারা বিত্তবান রয়েছে তারা যেন দরিদ্রের মাঝে ইফতার ও সেহরি দিয়ে সাহায্যার্থে এগিয়ে আসে।

কিন্তু আমাদের দেশে ঠিক ঘটছে তার বিপরীত।বিত্তবানেরা রমজান আসার পূর্বেই ব্যাগ ভর্তি করে সারা মাসের বাজার এক সাথে করে থাকে। যার কারনে দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক গুণ বেড়ে যায়। কারন উৎপাদন হচ্ছে কম বিক্রি হচ্ছে অনেক গুণ বেশি তাই দাম বেড়ে যাচ্ছে। আর যারা খুচরা ক্রেতা বা দরিদ্র তারা সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্চে,এর মধ্যে তো একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী তো রয়েছে।

আমাদের দেশে কিছু কাটমোল্লা রয়েছে,এসব কাটমোল্লা পূর্বে ও ছিল আর বর্তমানে রয়েছে। তারা ফতুয়া দিয়ে থাকে, রমজান মাসে যতো বেশি খাওয়া যায়,তার জন্য কোন হিসাব নিবেন না আল্লাহ তায়ালা।এসব কাটমোল্লা গুলো সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য খুব বিপদজনক।

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজান মাসে বেশি বেশি দান সাদকা করতেন।এবং প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ দান ছিল তাঁর উম্মতের জন্য শিক্ষা। যাতে সারা বছর দান-সাদকার পাশাপাশি রমজান মাসে বেশি বেশি দান করে। আর গরিব-দুঃখী ও অসহায় মুমিন মুসলমান সে দানে নিজেদের রোজার প্রয়োজনীয়তায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধে ব্যয় করতে পারে।

প্রতিটি মুমিন মুসলমানের জন্য রমজানের মাস হল তাকওয়া ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাস।এই মাসটি মুমিনদের দানশীল হতে শিখা,এই মাসটি মুমিনদের সহনশীল হতে শিখা,এই মাসটি মুমিনদের অন্যায় থেকে বিরত থাকতে শিখা, ন্যায়নীতির পার্থক্য বুঝতে শিখা এবং সর্বোপরি মহান আল্লাহকে চিনতে শিখা।প্রতিক্ষেত্রে সংযম প্রদর্শন করাই রমজানের মূল আদর্শ।

রমজানে ত্যাগ,সংযম,আত্মশুদ্ধির,বিদ্বেষ-বৈষম্যের,সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ব এই সমাজে রমজানের শিক্ষা সবার জন্য। প্রত্যাশা করি রমজানের মধ্যদিয়ে সমাজে রমজানের শিক্ষা ছড়িয়ে পড়বে সবার মাঝে।

পঠিত : ১৭২১ বার

মন্তব্য: ০