Alapon

অনুভূতিতে সেরা ব্লগার প্রতিযোগিতা ১৮

যখনি জানতে পারলাম আলাপন ব্লগে ১ম হয়েছি, তখন থেকে মনে একটা উত্তেজনা কাজ করছিলো। ঢাকায় যেতে হবে চট্টগ্রাম থেকে। ভাগ্যিস রিয়াজ উদ্দীন ৩য় হয়েছেন। ২জনে মিলে, একসাথে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

কুমিল্লায় যাওয়ার পথে বাস যান্ত্রিক ক্রটির কারণে আধা ঘন্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলো। 

বাস সেহরীর জন্য কুমিল্লার একটা হোটেলে থামল। যখন শুনলাম মুরগি দিয়ে খেলে ২৪০ টাকা আর মাছ দিয়ে খেলে ২৬০ টাকা, সাথে থাকবে ডাল আর ভাজি। তখন খুবই খারাপ লাগলো। সেহরীর সময় না খেয়েও উপায় নেই। আল্লাহ এই জালিমদের অবশ্যই বিচার করবেন। চট্টগ্রাম থেকে ফেরার সময় আরো বেশী দাম মুরগি ৩০০ আর মাছ ২৮০। সেহরীর আর ১০ মিনিট বাকি, ২টা যাত্রী খেতে এলো, যখন খাবারের মূল্য বললো, তখন তাদের মুখের অবস্থা, সারা জীবন মনে থাকবে। সব মানুষের তো পকেট তো সমান থাকে না। 

যাক ঢাকায় পৌছে নীলক্ষেতে রিয়াজ ভাইয়ের বন্ধুর মেসে দুপুর পর্যন্ত ঘুমালাম। জুমার নামাজ পড়ে ঘুরতে বের হলাম। দেখলাম বইয়ের রাজ্য " বাতিঘর "। আর শুক্রবার হওয়ার কারণে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র বন্ধ ছিলো। দেখা হলো না। 

বইয়ের রাজ্য থেকে এই প্রথম ঢাকার জুম বৃষ্টি দেখা। 

এরপর আসল উদ্দেশ্য। কাটাবন মসজিদে নামাজ পড়ে "ওয়েটিং রুম & রেস্টুরেন্ট " এ গেলাম। পরিচিত হলাম অনেক সৃজনশীল মানুষের সাথে। মূলত,কোথাও গেলে, আমার প্রথম উদ্দেশ্য থাকে নতুন মানুষদের সাথে পরিচিত হবার।

পুরস্কার হাতে পেলাম। অনেক ভালো লাগলো। অবসরে লিখেও  পুরস্কার পাওয়া যায়, কি অসাধারণ না !

উপস্থিত মানুষদের কথা অনেক ভালো লেগেছে। এই কথাগুলা হয়তো জীবনের একটা না একটা সময় কাজে লাগবেই।


.

পঠিত : ৫৩৯৫৫ বার

মন্তব্য: ০