Alapon

মুসলিমদের জনসংখ্যা কমাতে ইহুদীবাদী ও সেকুলার গোষ্ঠীর চক্রান্ত


একজন শিশু যখন জন্মগ্রহণ করে তখন সে তার রিযিক নিয়েই পৃথিবীতে আসে। অথচ অধিক সন্তান জন্ম দিলে এই সমস্যা হবে সেই সমস্যা হবে ও অভাব-অনটনের ভয় দেখিয়ে ইহুদীবাদী ও সেকুলার সমাজ সাধারণ মানুষকে ২-১ টা সন্তানের বেশি সন্তান না নিতে উৎসাহিত করছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাধ্যও করছে। অথচ একজন মানুষের রিযিক তো আল্লাহই নির্ধারণ করে রেখেছেন। তবে যে ব্যক্তি অলস ও গুনাহগার তার কাছে তার নির্ধারিত রিযিক সহজে পৌছায় না।
.
.
এখন আমি কিছু বিষয়ে কথা বলবো যা আমাদের খুব ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে। দেশে যখনই কোনো সরকার আসে তারা প্রত্যেকেই একদম সর্বোচ্চ লেভেলের দুর্নীতি করে। কেউ ৪০০-৫০০ সুটকেস নিয়ে আরবে যায়, বিদ্যুৎ দেয়ার বদলে খাম্বা পুতে রাখে, দুর্নীতি তে চ্যাম্পিয়ন হয় আর কেউ বা আবার উন্নয়নের কথা বলে উপমহাদেশের সবচেয়ে ব্যায়বহুল রাস্তা-ঘাট, রেল বানানোর নামে হাজার হাজার কোটি টাকা মারে, রিজার্ভ চুরি করে, শেয়ারবাজারে ধ্বস নামায় ইত্যাদি । অথচ জনগণকে সবসময় অভাবের কথা বলে, দরিদ্র দেশ হওয়ার দোহাই দিয়ে বলা হয় যে তোমরা বেশি সন্তান নিয়ো না, তাইলে দেশের অগ্রগতি স্থবির হয়ে যাবে, আমরা পিছিয়ে পড়বো। অথচ মুদ্রার অপর পিঠে রাষ্ট্র পরিচালনাকারীরা অমানুষের মত লুটপাট চালাতেই থাকে। যাকে অধিক সন্তানের ভয় দেখানো হয়েছিলো তার ঘাড়ে চাপে রাষ্ট্রীয় ঋণের বোঝা। আর এভাবেই মুসলিমদের জনসংখ্যা কমানোর টিপিকাল প্লান খুব সুন্দরভাবে কাজ করে যাচ্ছে সেকুলার গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে।
.
.
আরো একটা পয়েন্ট মাথায় রাখবেন, সেটা হলো সমাজের প্রতিটা স্তরে স্তরে দুর্নীতি যা রাষ্ট্রের শাসকরা ইচ্ছা করে নিয়ন্ত্রণ করে না। একজন নারীর পেট আপনি সর্বোচ্চ কয়বার কাটবেন? অথচ নরমাল ডেলিভারি হলে একজন নারী ১০ টা বাচ্চাও পরপর সার্জারি গত সমস্যা ছাড়া জন্ম দিতে পারে যার উদাহরণ আপনার আমার নানী দাদীরা। এভাবে দেশের প্রত্যেকটা স্থানে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে অসংখ্য হাসপাতাল ও সেখানকার ডক্টরেরা সিজার ছাড়া নরমাল ডেলিভারি করেই না। আমাকে এখন কেউ বলতে পারে, আরে ভাই আজকালকার মানুষিই তো রিস্ক নিতে চায় না তাই তারাই সিজার করতে চায়। থামেন ভাই, এই ভয়টা এইসব দুর্নীতি গ্রস্থ ডাক্তার ও চিকিৎসকের কারণেই হয়েছে। বাংলাদেশে কয় দশক আগে থেকে এরকম ঢালাওভাবে সব প্রেগনেন্ট মহিলাকে সিজার করার ট্রেন্ড ছিলো? অধিক টাকা কামানোর জন্য যখন কিছু স্বার্থবাদী ডাক্তার ও হসপিটাল রুগীদেরকে "সিজার না করলে ক্ষতি হতে পারে" এই ভয় নিয়মিত দেখানো শুরু করেছে তখন থেকে মানুষও বাধ্য হয়েছে এতে অভ্যস্ত হতে। এরপরেও অনেক সৎ ও নিঃস্বার্থ চিকিৎসক দেশে আছেন যারা নরমাল ডেলিভারি করানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে তাদের সংখ্যা অনেক কম। এই দুর্নীতির কারণে মানুষ আজকাল অধিক সন্তান নিতে ভয় পায়। এটাও সেকুলার সমাজের চক্রান্ত্রের একটা অংশ।
.
.
মুসলিমদের মনে রাখতে হবে যে, একজন মানুষের রিযিক আল্লাহ কর্তৃক পূর্ব নির্ধারিত। আপনি ২ টার জায়গায় ৫ টা সন্তান নিলে যে আপনাকে ২ জনের খানা ৫ জনকে খাওয়াতে হবে তা নয়। ৫ জন দুনিয়াতে আসলে ৫ জনই তাদের রিযিক নিয়ে আসবে। আপনার নির্ধারিত রিযিক আপনার নিকট ঠিকভাবে পৌছাবে না তখন যদি আপনার পূর্বে করা গুনাহের জন্য আপনি অধিক তওবা না করেন আর এর জন্য আপনাকে বেশি বেশি ইস্তিগফার করতে হবে। আর আপনি ১০ টা বাচ্চা জন্ম দিয়ে যদি সারাদিন ঘরে শুয়ে বসে থাকেন তাহলে রিযিক তো আর ঊড়ে ঊড়ে আসবে না। তবে যে ব্যক্তি পাপ থেকে দূরে থাকে, ইবাদতে অবহেলা করেনা ও ফজরের পর থেকে রিযিকের সন্ধান করে আল্লাহ তাকে হতাশ করেননা। আমাদের কাছে রিযিক মানে অনেক অনেক খানা, ৩ বেলাই পেট পুরে খেতে হবে এমন রিযিক চাই আমরা অথচ রাসূল (সা) আর সাহাবীদের জীবনী পড়লে বুঝতে পারবেন তারা খাওয়ার জন্য কত কম খাবার পেতেন, খেয়ে না খেয়ে কত কষ্টে তাদের জীবন চলেছে তবুও তাদের অভিযোগ কখনও আমাদের মত পেট পুরে খাওয়া অকৃতজ্ঞ বান্দাদের মত ছিলোনা। আমরা কি পেট ভরতেই দুনিয়াতে এসেছি? আমরা এসেছি পরীক্ষা দিতে, পরীক্ষা শেষ হলেই আমরা চলে যাবো।
.
.
তাই কখনও অভাবের চিন্তা করে ইহুদী ও সেকুলারদের চক্রান্তে পড়ে নিজের অধিক সন্তান নেয়ার ইচ্ছাকে কবর দেবেন না। সন্তান যদি নেককার হয় তাহলে ৫ টা নেককার সন্তানের ইবাদত আপনাকে জান্নাতের কোন লেভেলে পৌছে দেবে তা আপনি ভাবতেও পারবেন না। আসুন মানুষকে বুঝাই। রাষ্ট্রের কর্তারা আমাদের মুলা দেখিয়ে, আমাদের ঋণের গল্প শুনিয়ে, উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে, দারিদ্রতার ভয় দেখিয়ে নিজেরা ঠিকই হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে খাচ্ছে। পাকিস্তানের শাসকেরা আমাদের সাথে বেঈমানী করেছিলো, আর পাকিদের থেকে উদ্ধার হওয়ার পর থেকে আমাদের নিজেদের শাসকরাই আমাদের সাথে দৈনিক বেঈমানি করে যাচ্ছে। এইসব বেঈমান ইহুদীবাদী সেকুলার সমাজকে অনুসরণ করা তাই আমাদের এখন থেকেই বন্ধ করতে হবে। মনে রাখবেন, নিজেরা হাজার কোটি টাকা মেরে আপনার হাতে ১০ টাকার জন্ম নিয়ন্ত্রণের ট্যাবলেট ধরিয়ে দিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে বলা লোকগুলোই আসল কালপ্রিট, এদেরকে চিনে রাখতে হবে। আমাদেরকে সর্বদা ও সর্বক্ষেত্রে আল্লাহ ও রাসূলের (সা) বিধানকে অনুসরণ করতে হবে, রিযিকের দুশ্চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে তওবা, ইবাদত ও হালাল রুজির সন্ধান করতে হবে। আল্লাহ আমাদের তাওফীক দিন।

ধন্যবাদ,,,, Muhammad Fahim Hasan।
হয়তো আমি জানতামি না তুমি না আলোচনা করলে।


 আরো ধন্যবাদ রইলো,,,, Morsad Alom কে।।।।
বিষয়টি নিয়ে ঘাটাঘাটি করার জন্য।।

পঠিত : ৮৪১ বার

মন্তব্য: ০