Alapon

জাগ্রত হও!

মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের হাত দিয়েছন,মুখ দিয়েছন  কথা বলার জন্য,মস্তিষ্ক দিয়েছেন ভাবার জন্য সত্যকে বোঝার জন্য।আমরা সবই বুঝি,সবই জানি কিন্তু প্রতিবাদ করতে জানি না।এ বাংলায় কতো প্রতিবাদ হলো তবুও আজও আমরা প্রতিবাদের বুলি শিখতে পারিনি।পারিনি প্রতিবাদ করার মতো হাত তৈরি করতে।প্রতিবাদী কথা বলার মুখ আমরা গঠন করতে আজও ব্যর্থ।
আমরা অত্যাচারির শাসন মানছি, মিথ্যাবাদির কথা শুনছি।অত্যচারিকে বসাচ্ছি বিচারকের আসনে।সত্যকে ঢাকছি মিথ্যা দিয়ে।মিথ্যা যেন আমাদের সঙ্গি হয়ে গেছে নিত্য পোষাক পরিধানের মতো।পোষাক,খাদ্য,বাসস্থান,শিক্ষা,চিকিৎসা এগুলা ছাড়া আমরা যেমন চলতে পারি না তেমনি মিথ্যা ছাড়াও যেন আমরা চলতে পারি না।যেখানে আমাদের উচিত প্রতিবাদী মুখ গঠন করা সেখানে আমরা গঠন করছি মিথ্যা বলার মুখ।যে কারণে আমরা স্বাধিন দেশে বাস করেও আজ পরাধিন।ক্ষমতাবান রাজনীতিবিদরা আমাদের ভাবছে পশু।তাই তারা সেরকমভাবেই শাসন করছেন।
এদেশের করুণ ইতিহাস পড়লে আর বর্তমানকে নিয়ে ভাবলে বোঝা যায় এ দেশ,এ জাতি,আমার এ জন্মভুমি কোন দিনও শান্তি পায়নি।শান্তির ঘুম তাঁরা ঘুমাতে পারেনি।ভয়ে ভয়ে রাত কাটাতে হয়েছে এখনও হচ্ছে।কখন যেন মাদক ব্যবসায়ী বলে ক্রসফায়ার দেয়,কখন যেনো যুদ্ধ অপরাধি বলে দার করে ফাঁশির কাট ঘরে।
আমরা কি ভুলে গিয়েছি ১৯৭১?আমাদের  কি মনেপরে না স্বাধিনতার কথা?আমরা কি ভুলে গিয়েছি যে এ দেশ আমার মায়ের ইজ্জতের বিনিময়ে কেনা,আমার বোনের ইজ্জত দিয়ে কেনা,আমার ভাইয়ের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে কেনা।
তাদের ইজ্জতের,রক্তেমাখা দেহের কি কোন দাম নেই আমাদের কাছে।তাহলে কেন আমরা জাগ্রত হইনা?কেন আমরা মুখ খুলি না?কেন আমাদের হাতকে আমাদের মস্তিষ্ককে কাজে লাগাই না?এগুল তো বসিয়ে রাখার জন্য না।এগুলকে জাগাতে হবে,জাগ্রত হতে হবে আমাদের।এ দেশকে আরো একবার স্বাধিন করতে হবে।ন্যায়ের পথে,সত্যের পথে চলতে হবে সত্যের গান গাইতে শিখতে হবে।অত্যাচারির শাসন আর মানা যাবে না,অত্যাচারিকে বসানো যাবে না আর বিচারকের আসনে।মিথ্যার নিচে নিজেকে আর ডুবিয়ে রাখা যাবে না।ভয়কে করতে হবে জয়।মৃত্যুকে ভয় করে সত্যের পথ ছেড়ে দেওয়া যাবে না।আমাদের জাগ্রত হতে হবে।কাজী নজরুলের কবিতার সেই লাইনটি মনে রাখতে হবে-
  "আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে"

পঠিত : ১৬২৪ বার

মন্তব্য: ০