Alapon

ফ্রেন্ড ভালো কিন্তু বেষ্ট ফ্রেন্ড ভালো না

শিরোনামটা পড়ে অনেকেই আমার উপর রাগ করেছেন।রাগ করার কথাও।বেষ্ট তো ভালো তাহলে বেস্ট ফ্রেন্ড কেন খারাপ?হ্যা খারাপ আগে ছিল যে, বেষ্ট ফেন্ডের জন্য জীবন দিতেও রাজি ছিল অন্য ফ্রেন্ড এখনো আছে খুব কম।মেজরিটি মাস্ট বি গ্রানটেড।তাই ওটা ধরা হয় না।
আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড আর আপনি সব সময়ই এক সাথে থাকেন তাই আপনাদের পছন্দও এক হয়ে যায়।তাই দুজন মিলেই একজনকে পছন্দ করেন আর এখানে গিয়েই বাজে।দ্বিতিয় বাজে ক্ষমতা নিয়ে,তৃতীয় অর্থ।
যাক উদাহরনটা আমাকে দিয়েই দেই-
প্রাথমিক লেভেলে আমার কোন ফ্রেন্ড ছিল না।আমার প্রথম ফ্রেন্ড হইছে শাকিল নামের একজন ৭ম শ্রেণিতে।ওই ছিল আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড।ওর আর আরেকটা ফ্রেন্ড ছিল ফেরদৌস।তারপর ফেরদৌসও আমার বেষ্ট হয়ে যায়।আমরা তিনজন এমনই ছিলাম যে একজনের জন্য আরেক জন জীবন দিতে প্রস্তুত।ক্লাশ এইট এ আমাদের সাথে যোগ দিল শহিদুল।স্কুল ক্যান্ডিডেট নির্বাচন আসল।ওদের সবার অনুরধে আমি প্রার্থি হলাম।যেদিন ফর্ম জমা দেয়ার লাস্ট ডেট সেদিন ফেরদৌস আর শাকিল দেখলাম ফর্ম জমা দিল।আমি বললাম কিরে কি হইছে তোদের।ওরা একটা কথাই বললো তুই পারলে হ।আমি কিছুই বুঝলাম না।আমার ক্ষমতা আর ওদের ক্ষমতার মধ্যে পার্থক্য কি?শহিদুল আমকে বললো তুই চিন্তা করিস না তুই হবি।
হ্যা আমিই ফাস্ট হইছিলাম ওর চেয়ে অনেক ভোট বেশি পেয়ে।ক্ষতার লোভে ওখানেই আমাদের বন্ধুত্ব শেষ।আমি আর শহিদুল তারপর শাকিলকে মারছিলামও।স্কুল থেকে বাহির কইরা দিছি শাকিলকে।টিসি দিয়া পাঠাইয়া দিছি।হেডস্যারের সাথে আমার একটু খাতিল ছিল।টিসি দেওয়ার কারণ ছিল ও আমাকে মারতে চাইছে।আমি ৮ম শ্রেণিতে বসে ১০ম শ্রেণির স্টুডেন্ট শাসন করছি।এর পরের বছরও হইছি তারপর ছাইড়া দিছি।লেখা শুরু করছি ক্ষমতা ছাইড়া দিছি।ছেড়ে দিছি দুটি বেষ্ট ফ্রেন্ড।
এরপর বেষ্ট ফ্রেন্ড ছিল শহিদুল।ওর সাথে ভালো সম্পর্ক হওয়ার আর একটি কারণ সিগারেট।ওর একটি নষ্ট মোবাইল আমি সেরে চালাইতাম।ওই আমাকে দিয়েছিল।আমার ফোনটা আব্বা ভেঙ্গে ফেলেছিল।এরপর একদিন হঠাৎ ফুট বল খেলার মাঠে ওর আমার সাথে একটু কথা কথি হয়।হঠাৎ ও আমাকে মারতে আসে।শেষ পর্যন্ত মারামারি হয় না।একদিন স্কুল ছুটির পর আমকে আটকায় হঠাৎ রজ্জাক স্যার আসে সে আমাকে নিয়ে যায়।পরের দিন বিচার বসে আমি বিচারে বলে দিয়েছি গত কাল আমরা রাস্তায় মজা করছি।সেদিন আর একটি বেষ্ট ফ্রেন্ডকে ফেলে দিয়েছি হৃদয় থেকে।
এরপর আমার আরেকটি বেষ্ট ফ্রেন্ড হয় জাকির নামে একজন।আমি জীবনে কোন দিন কোন মেয়েকে সরি বলিনি।ওর জন্য ফাস্ট অরপিতা নামের একটি মেয়ের কাছে মাফ চাই।ও সেই নেয়েটিকে পছন্দ করতো কিন্তু বলার সাহস পেত না।আমি ওই মেয়েকে অনেক বলছি কিন্তু মেয়ে কিছুতেই প্রেম করবে না।তাই আমাকে ফিরে যেতে হয়েছে আগের চরিত্র।স্কুলের সবাই আমাকে মানতো মেয়েকে আমি অনেক ভয় দেখাছি বাট মেয়ে আমাকে বলে আপনি আমার ভাই আমি আপনার বোন আপনি আমার সাথে এরকম করবেন না।
তারপর ছেড়ে দিয়েছি।তারপর সবার মুখে শুনতে লাগলাম জাকির আর অরপি রিলেশন করে।তারা প্রতিদিন স্কুলের পাশের রাস্তায় বসে কথা বলে তা  আবার খুব সকলে।আমি এসব কথায় কান দিতাম না কারণ জাকিরের প্রতি আমার খুব বিশ্বাস ছিল।ও কিছু করলে আমাকে বলবে।
আমাদের হেড স্যারের বড় ছেলে নোমান ভাই মারা গেছে।স্যার আমকে খুব ভালোবাসে তাঁর ছেলের জানাজানামাজে না গেলে অনেকটাই খারাপ দেখায়।আমি যাওয়ার পর স্যার আমাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কান্না শুরু করলেন।আমিও চোখের জল ধরে রাখতে পারলাম না।হঠাৎ আমার ফোন বেজে উঠল।ফোন উঠাইতেই দিখি জাকির ফোন করেছে।
হ্যালো..
দোস্ত তুই কই?
হেড স্যারের বাড়ি।কেন কি হইছে?
আমকে সাহাব আর রিফাত মারছে!তুই স্কুলে আয়।
আমি স্কুলে গেলাম শুনলাম জাকির অরপির সাথে প্রেম কইরা ধরা খেয়েছে।অরেিকে জিজ্ঞাস করলাম কি হইছে।
আমি কিছু জানিনা আমি জানো কোন ঝামেলায় না পরি।
ফাকিং করছো তোরা ঝামেলায় পরবো কি আমি?
আপনি একখন যা করার করেন।
হ্যা আমি করেছিলাম ঝমেলা সমাধান করেছিলাম।ওই স্কুলই ছেড়ে দিয়েছি স্কুলই।শুধু যাইয়া পরিক্ষাটা দিয়া আসি।হৃদয় থেকে ঝেড়েছি আরেকটি বেষ্ট ফ্রেন্ডের নাম।

তাই বলি ফ্রেন্ড ভালো বেষ্ট ফ্রেন্ড ভালো না কারো গলায় হাত রাখবেন না।সবার সাথে সমান্তরাল ভাবে চলবেন। 

পঠিত : ১৭৮৮ বার

মন্তব্য: ০