Alapon

ডেসটিনি ডিজরাপ্টেড

এহসান ভাই মাঝে মাঝে ইনফর্ম করে চলেছেন, কেন এই সময় ডেসটিনি ডিজরাপ্টেড পড়ছি? এখন তো এই বই পড়ার সময় নয়। বাসায় যেয়ে অনেক সময় পাওয়া যাবে তখন পড়া যাবে এখন মন দিয়ে . . .  কিন্তু মন যে পড়তে চায়। চটুল বইপোকা মন সময় খুঁজে খুঁজে বই পড়া শুরু। পড়তে যেয়ে মনে হচ্ছিল খুব কাছ থেকে পৃথিবীর ইতিহাসটা দেখছি। 

তারপরও এহসান ভাইয়ের কথা আমলে নিয়েই মাঝে মাঝে বিরতি দিয়েই পড়া শুরু… কখনও শুয়ে কখনও বসে কখনও ঘুমে(!) ডুবে গেলাম ডেসটিনি ডিসরাপ্টেড এর মধ্যে....শুরু হল কল্পনার চোখে পৃথিবীর ইতিহাস দেখা। তারপর . . .

ইসলামের প্রাক ঐতিহাসিক কাল থেকে শুরু করে এই বইয়ের ইতিহাস শুরু। নির্ভেজাল চোখে পৃথিবীর ইতিহাস কে না পড়তে চায়? প্রথম অধ্যায়গুলো স্বাভাবিক রকমের বোরিং লাগবে। তারপর ধূমায়িত রোমাঞ্চ শুরু হবে নিশ্চয়ই। চোখ দেখবে ঘুমন্ত পৃথিবীর জীবন্ত ইতিহাস। 



বইটিকে আসলে ইসলামের ইতিহাসের বই না বলে সত্যের চোখে পৃথিবীর ইতিহাস বললে ভুল হবে না। কারণ লেখক তৃতীয় পক্ষের হয়ে লিখতে চেষ্টা করেছেন। সেখানে ইসলামের ইতিহাসের সমালোচনার সাথে সাথে পাশ্চাত্যের উন্নতির কারণও তুলে ধরেছেন। মনের মধ্যে গেড়ে বসা অযথা কিছু মিথ্যা শিকড় উপড়ে যাবে বইটি পড়লে। 

লেখক একজন ইসলামিক লেখক হিসেবে বইটি লেখেননি আবার পাশ্চাত্যের ভক্ত হিসেবেও বইটি লিখেননি বলে মনে হয়েছে। যার কারণে কাউকে সমালোচনা কিংবা ভুল ধরতে দ্বিধাবোধ করেননি।  যাকে বলা চলে আপন আলোয় উদ্ভাসিত ইতিহাস। 

সুফ থেকে সুফিবাদের জন্ম কেন হয়েছে? মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় কেন এর জাগরণ শুরু হয়েছিল? আবার ক্রমান্বয়ে ক্ষয়ে যাওয়ার কারণ কী?  নারীর মর্যাদায় বাইজান্টাইন বা সাসানিদ শাসনের ঐতিহ্য কী ছিল? ইসলাম যেটাকে আবার ফিরিয়ে আনে। যদিও ইসলামের মূল স্প্রিট থেকে ভিন্ন সে মর্যাদা। অন্যান্য ক্ষেত্রেও সাসানিদ শাসনের নিয়ম ফিরিয়ে আনা হয় আব্বাসী/ উমাইয়া শাসনামলে। কেন কী ‍ছিল সেই সাসানিদ শাসনের বৈশিষ্ট্য?

ইমাম গাজ্জালির “দ্য রিভাইভাল অফ দ্য রিলিজিয়াস সাইন্স”, “দ্য আলকেমি অব হ্যাপিনেস” কেন কোন প্রেক্ষাপটে লেখা হয়েছিল? তার প্রথম বই “দ্য এইমস অফ দ্য ফিলোসোফার্স”, দ্বিতীয় বই “দ্য ইনকোহেরেন্স অফ দ্য ফিলোসোফার্স” বা 'দার্শনিক অসংগতি কেন পাশ্চত্যে ব্যপক জনপ্রিয় হয়েছিল'? জানতে হলে বইটি পড়া আবশ্যক। 

কবি ফেরদৌসের শাহনামা যার ইংরেজি নাম “দ্য বুক অব কিংস” সম্পর্কে অজানা কথা বলা আছে এখানে। যা যে কাউকে শিহরিত করবে। সাহিত্য জগতে এতো পদধ্বনি থাকলেও শিল্পে মুসলিম জগত ঢের পিছিয়ে ছিল। যা এখনও আছে। কেন এখনও সে অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাচ্ছে না? অথচ কতো আবিষ্কার যে মুসলিমরা করেছে তার ঠিক ইয়াত্তা নেই। 

ফরাসি শব্দ ক্রাইসেড থেকে ক্রুসেড। ইউরোপের উঠে আসার নিরবিচ্ছিন্ন ইতিহাস জানতে আর আধা-আধা ইতিহাস থেকে পুরো ইতিহাস জানতে অবশ্যই পড়তে হবে ডেসটিনি ডিজরাপ্টেড। ভুল থেকে বাস্তবে নিয়ে আপনার আমার ইতিহাস জানার থার্মোমিটার। ধর্মের পারদ গলে চলে আসবে বাস্তবের ইতিহাসে। 

প্রথম ক্রুসেডের সময় কীভাবে মুসলিমদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল ক্রুসেড? বারবিকিউ হত্যা কাকে বলা হয়? বারবিকিউ হত্যার ভয়াবহতা কেমন ছিল? এত রক্তের বন্যা কেন বইয়ে দিয়েছিল ক্রুসেডাররা? বিপরীতে গাজী সালাহউদ্দিনরা কেন এতটা বিনয়ী ছিল? শুধুই কি ইসলামের পরশ পাথরের কারণে? বিস্তারিত পাবেন এখানেই...

১৬ শতকে কেন হঠাৎ করে ইসলামিক স্কলারদের উত্থান? তাদের একেকজনের মতবাদ কেন একেক রকম? সমসাময়িক প্রেক্ষাপট খুব সুন্দরভাবে উঠে এসেছে ডেসটিনি ডিজরাপ্টেড বইতে।  জালালুদ্দিন রুমির “স্প্রিচুয়াল মানুস্ক্রিপ্ট”, ইমাম গাজালি, ইমাম ইবনে তায়মিয়ারা কেন এত বিখ্যাত? বিশ্ব কেন এখনও মাথা নোয়ায় তাদের কাছে? কী ছিল তাদের সংগ্রাম আর মতবাদের মূল ভিত্তি? তাদের জীবনের বিভিন্ন দিক ক্রমান্বয়ে সাবলীল ঝংকার স্থান পেয়েছে বইতে।

মঙ্গলদের আবির্ভাবের কারণ, নির্মম হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা যে কাউকে অশ্রুপাত করাতে বাধ্য করবে। তবে কেন তারা এত হিংস্র ছিল? বিশাল মোঙ্গলরা কেন গুটি কয়েক মুসলিমের কাছে আত্মসমর্পন করে মুসলিম হয়েছিল? কী ছিল গোপন রহস্য? ভারতীয় উপমহাদেশই বা কেন, কেমনে এলো  মোঙ্গলরা?

১৬০০ সালের দিকে মোঘল সাম্রাজ্য, অটোম্যান সাম্রাজ্য, সাসানিদ বা রোম বা ইরানি সাম্রাজ্য কাপিয়ে দিয়েছিল ইউরোপকে। এতো বৃহৎ সাম্রাজ্য কীভাবে ধসে গেল এত স্বপ্ল সময়ে? শুধু কি ইউরোপের কুটনৈতিক চাল? নাহ! শিল্প বিপ্লব একটা বড় কারণ ছিল। প্রযুক্তির মূল্যায়ন আর অবমূল্যায়নের ইফেক্ট কত সুদূরপ্রসারী হতে পারে আজ অবধি মুসলিমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। সুন্দর পরিচ্ছন্ন ইতিহাসের সেই হাড্ডির কথা বলা আছে এখানে।


শিকাগো বিশ্ববুদ্যালয়ের ইতিহাসবিদ মার্শাল হজসন বলেন, ষোড়শ শতাব্দীতে যদি মঙ্গলগ্রহ থেকে কোন পর্যটক পৃথিবীতে নেমে আসতেন তাহলে তার মনে হত যে গোটা পৃথিবীই বোধ হয় মুসলমান হয়ে গেছে। তবে ততদিনে ইউরোপিয়ান সভ্যতার উত্থান শুরু হয়ে গিয়েছিল। কী ছিল তার নেপথ্যে? অথচ উনিশ শতকে শেষের দিকে আসলে মঙ্গল গ্রহের সেই পর্যটকরা নিশ্চিত ভুল বুঝতো। কারণ ততদিনে মুসলিম সাম্রাজগুলো যে ভেঙ্গে খান খান হয়ে গিয়েছে। 

নানক শাহ, আকবর,  বাবরদের রকমারি রাজ্য শাসনের বৈশিষ্ট্য, রাজ্য শাসনের গোপন ষড়যন্ত্র, ভারতীয় উপমহাদেশে উত্থান সম্পর্কে নিরেট কলমে লেখা হয়েছে এই বইতে। আকবর, বাবরদের গোপন অভিলাষ আর দ্বন্দ্ব যে কাউকে বইটি পড়তে রসদ যোগাবে। 

মার্কিন লুথার কিং এর গোপন স্বপ্নের ব্যখ্যা কীভাবে বাস্তবে ধরা দিল? স্বপ্ন থেকেই কি এই আন্দোলন?  মর্কিন লুথার কিং কেন চার্চের, পোপদের বিরুদ্ধে লেগেছিলেন? কেন তিনি প্রোটেস্ট্যান্ট সংস্কার বা ধর্মীয় আন্দোলন শুরু করেছিলেন? এর একঝাঁক সত্য ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে এখানে. . .

ফ্রান্সিস বেকন, রেনে দেসকার্তে, এরিস্টটল, গ্যালিলিও, কোপার্নিকাস এসব পৃথিবীর বিস্ময়দের আদর্শ কী ছিল? আসলেই তারা ছিল জিনিয়াস। ছোট করে দেখলে অবিচার করা হবে নিশ্চিত। আপনি কালোগ্লাস দিয়ে দেখতে পারেন কিন্তু লেখক কিন্তু সাদা গ্লাস দিয়েই দেখতে চেয়েছেন। লিখেছেন অকপটে অবিচ্ছিন্নভাবে। পাশ্চাত্যের মত ইতিহাসকে বিকৃত করেননি । এজন্যই পাশ্চাত্যে ব্যপক জনপ্রিয় হয়েছিল বইটি। 

জাতি রাষ্ট্রের সৃষ্টি কীভাবে? ষোড়শ শতাব্দীতে কেন ইউরোপের ঘুরে দাঁড়ানোর সময় মুসলিম সাম্রাজ্যগুলির কোনো খবর ছিল না? মুসলিম শাসকরা তখন নাকে তেল দিয়ে ঘুমে বেহুশ।  আমেরিকা আবিষ্কার, স্পেনে মুসলিম শাসনের শেষ, ইউরোপের ক্রমান্বয়ে সামনে এগিয়ে চলা ইত্যদির ক্রমান্বয়ে ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে বইতে।

বিজ্ঞানের যুগান্তকারী মুসলিম আবিষ্কারগুলো কেন ইতিহাসে জায়গা করে নিতে পারেনি? আবার কেন মুসলিম আবিষ্কারগুলো বিকৃতি হয়ে অন্য নামে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে? শুধু অভিযোগের সুরে কথা বললে নিজেদের দুর্বলতা ঢাকা হবে কিন্তু সমাধান আসেবে না। দারুল হিকমাহ বনিয়েছে ঠিকই কিন্তু বাস্তব প্রয়োগ সঠিক সময়ে আমরা করতে পরিনি। আমাদের ভুলগুলি কোথায়? এত আবিষ্কার মুসলিমদের কিন্তু ব্যবহার করেছে ইউরোপ। ফুলে ফেঁপে উঠেছে ইউরোপ। কে দেবে জবাব? জি! জবাব পাওয়া যাবে এ বইতেই।

অটোম্যান সম্রাজ্যের পতনের গোপন কারণ কী  ছিল? শুধুই কি অর্থনৈতিক দূরাবস্থা নাকি অন্য কিছু? রোম বর্তমান ইরানের উঠে আসার ঐতিহাসিক কারণ কী ছিল? তাদের খোমেনি প্রজাতন্ত্রের মূল ভিত্তি কী? কখন থেকে কীভাবে এসেছে? শিয়া মতবাদ কীভাবে এতটা প্রভাব বিস্তার করে এখনো টিকে আছে? 

আব্দুল ওয়াহাব থেকে ওহাবী আন্দোলনের শুরু। জন্ম, প্রসার ও তত্ত্ব সম্বন্ধে বিস্তারিত ব্যাখ্যা আছে এখানে। সৈয়দ আহমদের আলীগড় আন্দোলনকে বলা হয়েছে ধর্মনিরপেক্ষ আন্দোলন।  কেন বলা হল এমন? অভিজাত পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন তিনি। তার “দ্য কসেজ অফ দ্য ইন্ডিয়ান রিভল্ট”, কিংবা আয়ান “একাউন্ট অফ দ্য লয়াল মোহামেডানস অব ইন্ডিয়া” বইয়ে ব্যাখ্যা এসেছে এখানে। কী চেয়েছিলেন তিনি? আলেম সমাজ কেন তাকে ভালভাবে নিতে পারেনি? 

জামাল উদ্দিন আফগানীর চিন্তাধারা কী? তার উঠে আসা, সংগ্রামী জীবনের বিবরণ পাওয়া যায় এখানে। তার “ রেপিউটেশন অফ দ্য ম্যাটেরিয়ালিস্টস” বইটির কারণ ও মূলতত্ত্ব আছে এখানে। তার “দ্য ফরমেস্ট বন্ড” পত্রিকার মাধ্যমে তার প্যান ইসলামিজমের নির্যাষ প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্রোহ গোছের এই মানুষটি কোনো রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না কিন্তু তাঁর আদর্শ ছিল গোটা বিশ্বব্যাপী। মিশরের ইমাম হাসানুল বান্নাকে বলা হয়েছে তার আদর্শে লালিত পরবর্তী প্রজন্ম।

মূলত মুসলিম বিশ্বের নানা সমস্যার সমাধানের জন্য ৩টি মতবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। যার মধ্যে সেক্যুলার বা আহমদের মতবাদটি রাজনৈতিক মর্যাদা পায়। বাকীগুলি টিকে আছে ঠিকই কিন্তু সক্রিয়ভাবে নয়। 

আঠার শতকের শিল্প বিপ্লবের সময় মুসলিম বিশ্বের পিছিয়ে থাকার কী কারণ থাকতে পারে। মুসলিম বিশ্ব থেকে আবিষ্কার হওয়া যন্ত্রপাতি নিয়ে ইউরোপ উন্নতি করেছে ঠিকই কিন্তু মুসলিমরা বের হতে পারিনি গণ্ডির মধ্য থেকে। অর্থনৈতিক দুরবস্থা খাদের কিনারে নিয়ে গিয়েছে মুসলিম সাম্রাজ্যকে। অটোম্যান সাম্রাজ্যের বিশাল সেনাবাহিনী চালাতে প্রায় অপারগ হয়ে পড়ে অটোম্যান নায়করা। সেই সুলতান মাহমুদের রেখে যাওযা সাম্রাজ্য সময়ের সাথে টিকে রাখতে পারেনি কেন পরবর্তী নেতারা?  প্রায় ২০০ বছর পরে যেয়ে মুসলিমরা বুঝতে পারে তাদের দুর্বলতা। কিন্তু ততদিন অনেক পানি গড়িয়েছে।


জাতীয়তাবাদের আবির্ভাব, মুসলিম ও ইউরোপে এর প্রভাবের কারণ কী? অস্ট্রিয়ান সাংবাদিক থিওডর হার্জেলের নতুন গোলক থিউরির আগে প্রায় ২০০০ বছর পরে ইহুদিরা তাদের স্থায়ী আবাস নিয়ে ভাবতে শুরু করে। শুরু হয় নতুন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন বিষফোঁড়া। আজ অবধি আছে সেই টকটকে লাল বিষফোঁড়া। যা ক্রমান্বয়ে গ্যাংগ্রিন আকারে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বে। তবুও কেন মাথা ব্যথা নেই বিশ্ব মোড়লদের? থাকবেই বা কেন?

গেল রমজানের শেষ ১০ দিনে ইতেকাফে বসেছিলাম ঢাকাতে। তখন মূলত বইটি পড়া। এহসান ভাই বলতেন, এতেকাফে কুর'আন বেশি পড়া দরকার। সে কারণেই থেমে থেমে পড়েছি আর ছোট ছোট নোট নিয়েছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ! ইতিকাফেই বইটি পড়া শেষ করতে পেরেছি। 

ঈদের পরে বাড়ি থেকে এসেই কারেকশনে হাত দিলাম। তারপর এই ... আলহামদুলিল্লাহ! এখন মোটামুটি বিশ্ব ইতিহাসের উপর মোটামুটি ধারণা তৈরি হয়েছে। সেই সাথে অনেকগুলি ভুলও ভেঙ্গেছে। জানা হয়েছে নিত্য নতুন ইতিহাসের অলিগলি। যা খু্বই জানা দরকার মুসলিম দাবী করা প্রতিটি প্রাণীর। পড়বেন তো আপনি?

ধন্যবাদ মাবরুর ভাইকে বাংলায় সুন্দর একটি বই ট্রান্সেলেট করার জন্য। সাথে গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্‌স অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার দাবী রাখে। বইটির মূল লেখক তামিম আনসারী। লেখকের আছে প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য সম্পর্কে যথেষ্ঠ ধারণা। লেখকের ছোট বেলার ঘটনাগুলি অনুপ্রেরণা হতে পারে যে কারোর জন্য। ছোট থেকেই ইতিহাসের বইপোকা হওয়াটা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি চেইঞ্জ করে দিতে পারে। আল্লাহ আমাদের ভাল কাজগুলি কবুল করুন। 

হান্টিংটনের “ক্লাস অফ সিভিলাইজেজশন” এবং তারেক আলীর “ক্লাস অফ ফান্ডামেন্টালিজম” এর মৌলিক পার্থক্যটা কোথায়? কী বলতে চেয়েছে দুই থিউরিতে? পশ্চিমা জগত ও ইসলামী জগতের সে সভ্যতার দ্বন্দের কথা নাইন এলিভেন থেকে এসেছে তার ভবিষ্যত কী? কেন হঠাৎ এই দ্বন্দের মাঝেই সভ্যতার যুদ্ধ?

৪৩২ পৃষ্ঠার এই বইটিতে ১৬ অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে।  রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর জন্মের সাল ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে শুরু করে ২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে হামলার ঘটনা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৪শত বছরের ঘটনাবলীকে এখানে অত্যন্ত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। নতুন তবে ঐতিহাসিক সত্য নিরপেক্ষ দৃষ্টির ইতিহাস পড়তে গেলে আগেই পড়া দরকার “ডেসটিনি ডিজরাপ্টেড”। 

২০১০ সালে বইটি নর্দান ক্যালিফোর্নিয়া বুক অ্যাওয়ার্ড লাভ করে। মূলত পশ্চিমাদের জানা ইতিহাসের বাইরে এই বইটিতে ভিন্ন এক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব ইতিহাসকে তুলে ধরা হয়েছে। পশ্চিমা বিকৃত ইতিহাস নয় বরং ঘটনার শেকড়ে গিয়ে সত্যিকারের ইতিহাসকে নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।


… তো পড়ে ফেলেন না! দেরি কেন???

পঠিত : ২২০৪ বার

মন্তব্য: ০