Alapon

দানবদের অতীতও বর্তমান।

প্রতিটি মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে উন্নত পর্যায়ের চিন্তা, উপলব্ধি জ্ঞান ও বুদ্ধি দিয়ে। যা আর অন্য কোন সৃষ্টিকে এমন জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দেওয়া হয়নি। এমন জ্ঞানসম্পন্ন জাতি তাদের কৃতকর্ম মধ্যদিয়ে দুনিয়ার হিংস্র পশুদেরকে ও হার মানায়। একটা হিংস্র পশু নিজের ক্ষুধার খাদ্য যোগাড় করার জন্য কেবল মাত্র অন্য পশুকে শিকার করে। সে ব্যাপকভাবে পশুদের হত্যা করেনা। কাল দেখলাম মানুষ একজন অন্যজনকে মারার জন্য উন্মাদ হয়ে উঠেছে, রক্তদিয়ে যেন হলি খেলা মেতে উঠবে। অনেক দিনের না খাওয়া জন্তুজানোয়ার মত শিকার করার জন্য অনেকজনে একজনের পিছনে ছুটে চলছে। একটা জাতি ছিল যারা সৃর্য দেবতা বাঁচিয়ে রাখার জন্য মানুষের রক্তের প্রয়োজন ছিল। আসলে আমরা যদি একটু পিছনে ফিরে তাকাই তাহলে বুঝতে পারবো, এই সমাজ কখনো ভিলেনদের মনে রাখেনি। যদিও বা কেউ মনে রেখে থাকে তাহলে ঘৃণিত ভাবে স্মরণ করার জন্য রেখেছে।

আজ থেকে ১৫০০ শত বছর আগের বা তারও আগের কথা যদি বলি আবু জেহেল, আবু লাহাব, নমরুদ, ফেরাউনও সামূদ সহ আরো জারা ক্ষমতাশীল ছিল তারা মানুষের অভিশাপগ্রস্ত ধ্বংস হয়ে মাটির সাথে মিশে গেছে। কিন্তু নবী করীম স. কে ঠিকই মানুষ সম্মানজনক ভাবে মনে রেখেছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত রাখবে।

জার্মানের এডলফ হিটলারের নাৎসি বাহিনীর কর্মকাণ্ড সম্বন্ধে জানেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবেনা। এই নাৎসি সম্রাজ্য ছিল অনেক বিশাল আর অনেক বেশি ক্ষমতাশীল। এত বেশি ক্ষমতার অধিকারি ছিলেন যে এক সময় সে সারা বিশ্বকে শাষন করার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন। আর হিটলারের এই উচ্চাকাঙ্ক্ষার ফলাফল স্বরূপ বিশ্বকে উপহার দেয় ইতিহাসের সব থেকে ভয়াবহ ২য় বিশ্ব যুদ্ধ। এই যুদ্ধে হিটলার ১৯৪৫ সালের মে মাসে মিত্র বাহিনীর কাছে পরাজিত হন আর নিজের বাঙ্কারে আত্মহত্যার মাধ্যমে মৃত্যুবরন করেন। তার আগে তিনি গনহত্যায় চালিয়ে প্রায় ৪ মিলিয়ন লোক তার হাতে প্রাণ হারান।

সোভিয়েত ইউনিয়ন, কোটি কোটি মানুষ মারার দায় আছে সোভিয়ের ইউনিয়নের কমিউনিষ্টদের উপর। সারা বিশ্বে কমিউনিষ্টদের মধ্যে এরকম নিষ্টুর আচারন দেখা গেলেও সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিষ্টরা একাই মেরে ছিল নাৎসি বাহিনীর থেকে বেশি বেসামরিক মানুষ। সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিষ্ট নেতা স্ট্যালিন (Stalin)।বলা হয়ে থাকে তার নেতৃত্বে প্রায় ১০ থেকে ৬০ মিলিয়ন বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা হয়। আর এই স্ট্যালিন ছিলের সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বাধিনায়ক।

চেঙ্গিস খান কোটি কোটি নিরীহ মানুষের হত্যাকারী এক যুদ্ধবাজ বর্বর ঘাতক হিসাবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে ধ্বংস ও রক্তপিপাসু এক ভয়ংকর মানুষ রুপি পশুর প্রতিশব্দ হিসাবে আজ মানুষ সবাই তাকে চিনে।অবশেষে ১২২৭ সালে মৃত্যু হয় পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্যে বিজেতার। এসব নামধারী যুদ্ধবাজ ভয়ংকর দানব রুপী মানুষগুলো ইতিহাসে জায়গা করে রয়েছে ঘৃণিত ভাবে স্মরণ করার জন্য। জোরজুলুম করে কেউ মানুষের ভালোবাসা আদায় করতে পারেনি। এতো বড় বড় মানুষগুলো কেউ আজ নেই কিন্তু তাদের কর্মগুলো আজও কথা বলে। এই পৃথিবীটা হল শান্তির আবাসস্থল এখানে জারাই অশান্তির আগুন নিয়ে খেলা করেছে তারাই ধ্বংস হয়েছে।

বর্তমানে স্ট্যালিন, লেনিন, চীনের মাও সেতুংক ও চেঙ্গিস খান সহ এসব দানবদের মানুষ মনে রাখবে বর্বর জাতি হিসাবে। মানুষ এখন শান্তিপ্রিয় তাই কোন ভিলেন কে মনে রাখবেনা শুধুমাত্র নায়েকদের কে মনে রাখবে।

পঠিত : ১২০০ বার

মন্তব্য: ০