১৫ এবং ৩৮,গৌরবমণ্ডিত ও সংগ্রামী দুইটি শব্দ।
তারিখঃ ১৭ জুলাই, ২০১৮, ০৪:১৯
এই ভূখণ্ডের ইতিহাস এক দীর্ঘ পরাধীনতার ইতিহাস। ইতিহাসের কোন স্হানে নিজেদের স্বশাসনের নজির নেই। এই সর্ববৃহৎ ভূখণ্ডে অনেক শাসকের শাসন পরিচালিত হয়েছে বা এখনো হচ্ছে যেমন, এদেশে কখনো পালদের শাসন চলছে, কখনো সেনদের, কখনো পাঠানদের,কখনো মোগলদের, কখনো ব্রিটিশদের এবং এখন চলছে হাতুড়ি মামুনদের।যদি ও ১৯৭১ সালে এই দেশ শোষণ-বৈষম্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে স্বাধীন হয়েছে কিন্তু এখনো সাধারণ মানুষ শাসকদের শাসন থেকে বাহির হতে পারেনি।ইতিহাস সাক্ষী, মানুষ কখনো এসব শাসকদের মনে রাখেনি এবং ঘৃণিতভাবে তাদেরকে এখনো স্মরণ করে। তবে শ্রদ্ধার সাথে মনে রেখেছে হাজী শরীয়াতুল্লাহ,শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে।
ইতিহাস সাক্ষী, যারা গণবাহিনীও রক্ষীবাহিনী প্রতিষ্ঠা করে মানুষের উপর স্টিম রুরাল চালিয়েছে এবং নিজের প্রভাব বিস্তার করেছে তাদেরকে ও মানুষ ঘৃণা করেছে।একসময় তারাই এসব বাহিনীর হাতে লাঞ্ছিত ও অপদস্থ হয়েছে।
ক্ষমতার লোভে এই দেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা জননেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে যারা সে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সুপরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে এবং যারা বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছে তারা কেউ শান্তিতে বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারেনি। তাদের বেশিরভাগ ক্ষমতার জন্য লড়াই করে ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮১ সালের মধ্যে তারাও খুব অমানবিক ভাবে অন্যদের হাতে নিহত হয়েছে। এর থেকে প্রমাণিত হয় যে, অত্যাচারীদের ধ্বংস অনিবার্য।
অতীতে প্রতিটি রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকগণ জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। যেমন ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান চির স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। অন্যায়ের প্রতিবাদী হয়ে দাঁড়িয়েছে এসব ছাত্রসমাজ এবং ন্যায়ের পক্ষে হুংকার দিয়ে জয় করে নিয়েছে সকল ন্যায়। কখনো তাদের পরাজয় হয়নি ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে ও হবেনা।
জয় হোক ১৫ টাকা এবং ৩৮ টাকা ওয়ালা ছাত্রদের।
প্রতিযোগিতা জুলাই -২০১৮
মন্তব্য: ০