তারিখঃ ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৭:৪৫
হায় ! যৌতুক, তোমায় দিয়ে, কি সুখ?
যৌতুক, তুমি করো কৌতুক, জীবনেরে লয়;
পৃথিবীর সবচেয়ে অমূল্য রত্নটি,
সে দিলো, তোমার হাতে যে তুলি,
তবু জিজ্ঞেস করে তুমি কয়?
তোমায় ছাড়া হয় না এখন,
নারীর জীবনে সুখ।
নারীর গুণ কি, তাহা প্রয়োজন নাহি,
তুমি সাথে আসিলেই,যেন চুপ।
তুমি কি জানেো, তোমার জন্য,
ভেঙ্গেছে কতো নারীর সুখ।
প্রাণ দিতে হয়েছে কত নারীর,
কতো বাবার ভেঙ্গেছে বুক।
কন্যার সুখ কিনতে গিয়ে,
যৌতুক দিলো ঘর ভরিয়ে।
কিছু দিন শেষ হতে না হতেই,
যৌতুকের সুখ গেলো যে মুছে।
একদিন স্বামী বললো হেসে,
যৌতুক আরো পাওনা আছে?
এতো কম কি মূল্য তাহার?
জমি-জমা আরো দরকার।
বাবার বাড়ি ঘুরে আসো,
যা পাও তা নিয়ে এসো।
মেয়ের মুখের দিকে দেখে,
বাবা দিলেন সবই লিখে।
শশুড়বাড়ির সবাই বলে,
এই গুলোকে যৌতুক বলে?
সহ্য করে বুকটি বেধে,
অশ্রু তখন নিরব ঝরে।
যাইবো কেমনে যৌতুক চাইতে?
যা ছিলো তা দিলো লিখে।
বাবা আমার নিঃস্ব হয়ে,
থাকে এখন পরের ঘরে।
এমন কথা শোনার পরে,
মাথায় যেন আগুন চড়ে।
যা ছিলো তা হাতের কাছে,
ভাঙলো তা পিঠের মাঝে।
পুরো শরীর দাগটি করে,
গেলাম শেষে বাবার ঘরে।
বাবার নিজের কষ্ট দেখে,
বুকটি আমার গেলো ফেটে।
খালি হাতে গেলে ফিরে,
স্বামী তখন বললো রেগে।
নতুন বউ আনবে ঘরে,
যৌতুক ছাড়া চলবে না রে।
শশুড়-দেবর সবার দাবি,
সংসার ছেড়ে চলে যাবি।
খাবার সাথে কি যে দিলো,
গলা জ্বলে ছাই যে হলো।
মেয়ের সুখতো, বাবার সুখ,
তা ভেবে বাবা রইলো চুপ।
সুখটি তার কিনতে গিয়ে,
মেয়ে গেলো বাবার আগে হারিয়ে।
কারিয়া নিলো প্রাণটি তাহার
আনিতে জীবনে সুখ।
যৌতুক নেশা মেটাতে গিয়ে,
খালি হলো কতো বাবার বুক।
পঠিত : ৫৯৭ বার
মন্তব্য: ০