Alapon

বারবাজার মসজিদ-পনের শতকের মুসলিম স্থাপত্য শৈলির নিপুন ছোয়া

বারবাজার মসজিদ-পনের শতকের মুসলিম স্থাপত্য শৈলির নিপুন ছোয়া

অনেক দিন থেকেই চিন্তা করছি বারোবাজার ঐতিহাসিক মসজিদ নিয়ে একটু লিখবো।কিন্তু সময় ও সুযোগ হচ্ছেনা।

অবশেষে একটু সুযোগ হলো তাই লিখার চেষ্টা করছি অার কি।
একটি বিষয় জানা থাকা দরকার। মানচিত্র ও ছবিতে যে সকল মসজিদ দেখা যাচ্ছে সবগুলো মাটির নিচে চাপা পড়ে ছিলো। মজার বিষয় হচ্ছে যাদুঘরে এই সকল স্থাপত্যের একটি নকশা ছিলো। প্রত্নত্ত্ব বিভাগ জাদুঘরে প্রাপ্ত এই নকশায় মসজিদ ও অন্যান্য স্থাপনা শনাক্ত করে।
প্রত্নত্ত্ব বিভাগ সুলতানি অামলের মানচিত্র অনুসারে খনন কাজ পরিচালনা করে মসজিদ গুলো উদ্ধার করে।এর মধ্যে কিছু মসজিদ সংস্কার করা হয়েছে।এবং কিছু মসজিদ এখনও সংস্কার করা হয়নি। এর মধ্যে সাতগাছিয়া পঁয়ত্রিশ গম্বুজ মসজিদ অন্যতম। এলাকার মানুষের নিকট থেকে জানাা যায় মসজিদের পার্শ্বে কিছু কবর পাওয়া যায়।সেই সকল কংকাল অামাদের সাধারন উচ্চতা থেকে অনেক বড়। সুলতানি অামলের মুসলিম ধর্ম প্রচারকগন এই মসজিদ নির্মান করেন। 

চলুন দেখে অাসি এক নজরে শহর মোহাম্মাদাবাদ বা বারোবাজার -

ঝিনাইদহ- থেকে ২৪ কিলোমিটার দক্ষিনে। যশোর থেকে উত্তরে হাইওয়ে ধরে অাসা যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক ভালো। সহজেই যাওয়া যায়







একটি বিষয় লক্ষনিয় প্রতিটি মসজিদের সাথেই একটি করে পুকুর অাছে, এবং মসজিদ থেকে পুকুর পাড় পর্যন্ত শিড়ি করা। যার অধিকাংশই এখন ভরাট হয়ে অাছে। এথেকে বোঝা যায় এই পুকুর গুলো ওযুু করার কাজে বিশেষ ভাবে ব্যবহৃত হতো।







মসজিদ গুলাতে এখন নিয়মিত অাজান ও নামাজ হচ্ছে।





মসজিদ গুলোর নির্মান শৈলী তৎকালীন মুসলিম সমাজের স্থাপত্য শৈলির উৎকর্ষতার পরিচয় বহন করে।



সর্বশেষ চিত্রে যে স্থান টা দেখা যাচ্ছে এটা জাহাজ ঘাট নামে পরিচিত।লোক মুখে শোনা যায় এখানে জাহাজ নোংড় করা হতো এ থেকে এখানকার অবস্থা একটু হলেও বোঝা যায়। তৎকালিন সময়ে এই মোহাম্মদাবাদ শহরটা অনেক জাকজমক ছিলো।এবং মুসলিম শাসনের এই অঞ্চলের কেন্দ্র বিন্দু ছিলো।

তিন বর্গকিলোমিটার জায়গার মধ্যে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মাটি খুঁড়ে মসজিদসহ ১৫টি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের সন্ধান পেয়েছে।
এগুলো হচ্ছে সাতগাছিয়া মসজিদ, ঘোপের ঢিপি কবরস্থান, নামাজগাহ কবরস্থান, গলাকাটা মসজিদ, জোড়বাংলা মসজিদ, মনোহর মসজিদ, জাহাজঘাটা, দমদম প্রত্নস্থান, গোড়ার মসজিদ, পীর পুকুর মসজিদ, শুকুর মল্লিক মসজিদ, নুনগোলা মসজিদ, খড়ের দীঘি কবরস্থান, পাঠাগার মসজিদ ও বাদেডিহি কবরস্থান।

ঐতিহাসিক এই অঞ্চল অাপনিও বেড়িয়ে অাসতে পারেন।



পঠিত : ৭৬৯ বার

মন্তব্য: ০