Alapon

ফজরের পরে ঘুম...

সময় নষ্টের একটি কার্যকর হাতিয়ার হচ্ছে ঘুম। আর সেই ঘুম যদি হয় ফজরের পরে তাহলে তো তা শুধু সময়ই নষ্ট করে না, বারাকাহ নষ্ট করে দেয়।

আমরা সালাফী হতে চাই, সালফে সালিহীনের মানহাজ, লাইফস্টাইল অনুসরণ করার দাবী করি কিন্তু আসলে অনেক ক্ষেত্রেই করি না। তেমনি একটি ক্ষেত্র হচ্ছে ফজরের পরে না ঘুমানো। সালাফদের কেউ ফজর পড়ে এসেই ঘুমাতেন এমন দৃষ্টান্ত আমাদের জানা নাই। কিন্তু আমাদের এটা জানা আছে যে, আমদের ফজরের পরে না ঘুমালে চলেই না!

দিনের শুরুর সবচেয়ে বরকতময় সময়টুকু ঘুমিয়ে কাটিয়ে সারাদিন অলস কাটাই। সারাদিন কর্মঠ ভাব দেখালেও ভোরের বরকত না পাওয়ায় সারাদিনের কাজকর্মে বরকত হয় কম।

আজই নিয়াত করুন। সংকল্প করুন। কাল থেকে আর ফজর পড়ে ঘুমাবেন না। চেষ্টা করুন। পারবেন। ইনশাআল্লাহ। আজ আপনার স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি বা চাকরিতে হয়তো দেরিতে যেতে হয় বলে একটু ঘুমাচ্ছেন। কিন্তু এই কাজগুলোই যদি কাল থেকে ফজরের পরে করা লাগে তাহলে কী করবেন? তাই আপনি চাইলে অনেককিছু সম্ভব।

যারা ফজর পড়েন না বা পড়েলেও সময়মত পড়েন না তাদের কাছে একটাই প্রশ্ন, আচ্ছা, যে আল্লাহ না চাইলে আপনি সকালে ঘুম থেকে জাগতে পারতেন না সেই আল্লাহর আদেশ অমান্য করে দিন শুরু করে কাকে খুশি করতে চান? আল্লাহকে নাকি শয়তানকে?

ভোরে উঠে মসজিদে গিয়ে জামা'আতের সাথে ফজরের সলাত আদায় করে তাসবীহ-তাহলীল, যিকর-আযকার করে তেলাওয়াত করে দিন শুরু করুন। দেখবেন আপনার জীবনে আল্লাহর পক্ষ থেকে বারাকাহ আসবেই, ইনশাআল্লাহ। আর যার জীবনে আল্লাহর পক্ষ থেকে বারাকাহ আসে তার আর কীসের অভাব?

যে সকালের বারাকাহ থেকে বঞ্চিত সে দিনের সার্বিক বারাকাহ থেকে বঞ্চিত।

পঠিত : ১২৭৯ বার

মন্তব্য: ০