Alapon

ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার সমাচার!!

প্রতিটি দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ হল সে দেশের এলিট শ্রেণী এবং শিক্ষিত লোকগুলো। এসব শিক্ষিত শ্রেণীগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে রাষ্ট্র দিনদিন করে গড়ে তুলে,কারন তারা একদিন রাষ্ট্রকে তার বিনিময় সেবা দিয়ে যাবে।এটা প্রতিটি মেডিকেল কলেজ,পাবলিক ইউনিভার্সিটি,প্রকৌশলী ইউনিভার্সিটি সহ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা আওতাধীন ছাত্রছাত্রীদের কাছে রাষ্ট্রের চাওয়া পাওয়া।প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর পিছনে এই দেশের কৃষক শ্রমিক ও খেটেখাওয়া মানুষের ঘামে ঝরা পারিশ্রমিক রয়েছে।এটা অস্বীকার করার কারো সাধ্য নেই।

দিনশেষে দেখা যায়,বড় একটা সিংহভাগ উচ্চ শিক্ষার সম্মানসূচক ডিগ্রি বা থিসিসের জন্য বিদেশ গেলে আর দেশে ফিরে আসেনা।হয়ত কিছু ফিরে আসে,তার সংখ্যাটা খুব কম ৫% (চলতি বছর ঢাকা মেডিকেল এর একটা পরিসংখ্যান)। এরা তখন এই দেশের বেড়ে উঠা,দেশের সকল প্রকার সুযোগসুবিধা এবং সুজলা সুফলা,শস্য-শ্যামলা ও মাটিকে অস্বীকার করে।দেশের মানুষের দায়িত্ববোধ টুকুও ভুলে যায়।আর যারা রয়েছে তারা সব কিছু ভুলে মানুষের উপর শোষণ করতে থাকে,উদাহরণ হিসাবে ডাক্তারের কথা বলা যায়।

ডাক্তার সাহেবগণ,ডাক্তারির নাম করে গলা চুরি বসিয়ে সম্পদহারা করে দিচ্ছে মানুষকে। আর স্বনামধন্য ইঞ্জিনিয়ারেরা তো রডের পরিবর্তে জনগণকে বাঁশ দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।তবে স্রোতের বিপরীতেও কিছু রয়েছে,তাদের জন্য রইল প্রতিটি মানুষের অফুরন্ত দোয়া।

জনগণের টাকা দিয়ে পড়াশুনা করে আজ জনগণের সাথে সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা করছে এই দেশের বেশিরভাগ স্বনামধন্য ও মানবপেশার ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার গুলো।

দেশের মেধাবী শিক্ষাবিদ,বিজ্ঞানী,প্রযুক্তিবিদ,ডাক্তার, বিশেষজ্ঞ এবং দক্ষ জনশক্তি গুলো যদি দেশত্যাগ করে,তাহলে এই দেশকে কারা সামনে নিয়ে যাবে?
আমাদের সত্যিকারের দেশপ্রেম জাগত হোক,শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।

পঠিত : ৫৯৫ বার

মন্তব্য: ০