ট্রাম্প ও সালমানের কাল্পনিক কথোপকথন
তারিখঃ ১১ নভেম্বর, ২০১৮, ১১:৩৮
ট্রাম্পঃ আমেরিকার সহযোগিতা ছাড়া সৌদি দুই সপ্তাহও টিকবেনা
সালমানঃ শায়েখ ট্রাম্প এইডা আপ্নে কোন কাম করলেন! এইভাবে দুনিয়ার সামনে অপমান না করে হোয়াই হাউজে নিয়া জুব্বা জুব্বা খুইল্যা আচ্ছামত পেটাতেন তাও ভালো ছিলো
আরে আমাদের বিশ্বাস তো আপনাদের রুবুবিয়াতের হাত উঠিয়ে নিলে আমরা দুই সপ্তাহ কেন দুইদিন না দুই ঘণ্টাও টিকবোনা। হুজুর, সেটাওনা আসল কথা হইলো আমরা তো এখানে শুধুমাত্র আপনাদের খিলাফতের প্রতিনিধি।
ট্রাম্পঃ তুমি ঠিক কইছো কিন্তু মানুষকে স্বরণ করিয়ে দেওন লাগে নইলে ভুলে যায়। দেখনা তোমাদের আলেমেরা বারবার ওয়াজ করে আল্লাহ্ পরকালের কথা স্বরণ করিয়ে দেয়।
সালামানঃ দেখুন হুজুর! আপনাদের কোন এজেন্ডা আগা বাড়িয়ে বাস্তবায়ন করিনি! আপ্নেরা ইরানীদের বিরোদ্ধে নানাবিদ হুমকী ধমকী অর্থনৈতিক অবরোধ দিয়েও যতোনা অসুবিধায় পেলতে পেরেছেন, তার চাইতে বেশি কোণঠাসা হয়ে যায় আমাদের ভাড়া করা শায়েখদের ফাতয়া তীর বর্ষন আর প্রোফাগান্ডায়।
ট্রাম্পঃ তা তুমি ঠিক কইছো । আমি নিজে সাক্ষী অনেক মুসলিমকে দেখেছি যারা ইরানীদের মুসলিমই মনে করেনা। হুম আমি খুশি, তুমি শায়েখদের আমার পক্ষ্য থেকে কিছু ভাতা দিও।
সালমানঃ আরে আমার পুতকে তো আপনার চোখেই পড়লোনা। দেখলেনা ও ফাতয়া দিলো, পাকিস্তানে কোন আসল মুসলমানই নেই।
ট্রাম্পঃ হাহাহা! হুম বাতিজার পুতরে এজন্যেই এতো আপন মনে হয় । কিন্তু ভয়ও লাগে
যখন দেখি ওর সাথে সাদ্দাম হোসেনের সাথে মিলে যায়। একসময় সাদ্দামও আমাদের অনেক এজেন্ডা উসাহের সাথে সম্পুর্ন করেছে কিন্তু আখের তো সবারই জানা ।
সালমানঃ শায়েখ এবার কিন্তু মেলানিয়া ভাবীকে নিয়ে ইয়ামেনে আসবেন, সেখানে লক্ষলক্ষ বনি আদমের কলিজা থেকে কলকল করে বয়ে যাওয়া খুনে মরুভূমির বুকে এক রক্ত দরিয়ার সৃষ্টি হয়েছে, নিহত নারী-শিশুদের হাড়ের স্তূপে তৈরি হয়েছে পাহাড়। মন চায়তো হাড় পাহাড় থেকেও দূর্ভিক্ষ পীড়িত হাড়ড়িসার শিশুদের আত্মচিতকার ইনজয় করতে পারবেন।
আবার চাইলে প্রমোদ তরীতে করে ঘুরেঘুরে রক্তের ঘ্রানও শুকতে পারবেন।
তবে ইভাঙ্কা বাতিজির থেকে শুনছি আপনি নাকি সাঁতারে অতো পারদর্শি নন, তাই লাইফ জ্যাকেট টাও সাথে রাইখ্যেন, কখন আবার অভিশাপ ঝড়ের কবলে পড়ে যদি রক্ত দরিয়ায় ডুইব্যা যান তার তো ঠিক নাই !
ট্রাম্পঃ এইডা কি কইলা! তোমার বাড়াটে শায়েখদের কাম কি তাহলে , ওদের ঝাড়-ফুতেও কাম হবেনা? বুইজ্জালাইছি তুমি মিয়া নিজেও ওদের বিশ্বাস করনা...
সালমানঃ এই যে দেখেন মিশরে হাজার বছর পর জনগণের স্বতস্ফুর্ত সমর্থনে ইখওয়ান ক্ষমতায় আসে কিন্তু আপ্নেরা ও ইজরাইল চিন্তা করার আগেই মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে মুরসিকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে ইহুদীপুত্র সিসিকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেই। ফলে ইসলাম কায়েমের স্বপ্নও মুছে দেই।
সাথেসাথে আমাদের দরবারের আলেম ও কা'বার ইমামরাও বসে থাকেনি তারাও নিরলসভাবে ইখওয়ানের নেতা-কর্মীদের বুকে ফাতওয়ার কামান দাগিয়েছে। এইবলে যে, "ইখওয়ানের আক্বীদা খারাপ, ইখওয়ান খারেজী, ইখওয়ান সন্ত্রাস,কাফের,শিয়া " আরো আরো...
হুজুর আপনি যদি দেখতেন রাবেয়া স্কয়ারে হাফেজা আসমা বেলতাগী, হাবিবা, ও ইঞ্জিনিয়ার আম্মার সহ হাজার হাজার ব্রাদারহুড নেতা-কর্মীদের রক্তে নীল দরিয়ার পানি লাল হয়ে গেছে। কত মায়েদের বুক খালি করেছি, কত সন্তানকে এতীম করেছি, কত স্ত্রীদের বিধবা করেছি তার ইয়ত্তা নেই।
তারপরেও কি নেক নজর দিয়ে তাকাবেন না হুজুর !
- দেখলেন তো কয়েকদিন আগে কাতারকে দিলাম অবরোধ। তাদের পশুদেরকেও আমাদের চারণ ভূমি থেকে বের করে দিলাম। অবরোধের কারণে কাতারকে লোকসান গণতে হচ্ছে লাখলাখ ডলার।
-লেবাননের হারিরিকে দিয়ে চেয়েছিলা গৃহযুদ্ধ বাধিয়ে দিয়ে, ইজরাইলের চিরশত্রু হিজবুল্লাহকে শেষ করে দিতে । কিন্তু এই যাত্রায় পোলাডা [ মুহাম্মদ বিন সালমান] এইবার সফল হয়নি।
ট্রাম্পঃ হুম আমি বেশ খুশি। তবে বেশিবেশি সিনেমা হল বানাতে হবে। প্রয়োজনে মুফতিদের দিয়ে সিনেমার পক্ষে ফাতওয়া দিতে হবে। আর যে বীচ প্রস্তুত হচ্ছে তাতে যেন বিকিনি পরেও অবকাশযাপন করা যায় সেটা নিশ্চিত করবা।
সালমানঃ আচ্ছা হুজুর !
মন্তব্য: ০