Alapon

কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা

জন্ম ১৯৬৯ সালে ঢাকার শান্তিবাগে ।
দেশ তখন স্বাধীনতার আন্দোলনে উত্তাল । শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিবিজড়িত সেই সব দিনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন,আমার জন্মের der বছর পরই মুক্তিযুদ্ধ হয়  । দেশটার জন্ম হলো ।বড় হতে থাকল । আমিও বড় হলাম । বলতে পারেন আমি আর বাংলাদেশ হাতে হাত রেখে বড় হয়েছি ।
ছোটবেলা থেকেই গান গাইতেন তিনি । ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গান গাইতেন বলে ছোট থেকেই, ঢাকার পরিবেশটা বেশ পরিচিত ছিল । তিনি বলেন,সেই সময়ের ঢাকা ছিল অনেক শান্ত । চারিদিক ছিল সবুজ আর নিরিবিলি পরিবেশ । সেই সময়ের সঙ্গে যার কোনো তুলনাই হয় না ।
এখন যেমন-ব্ল্যাক এন্ড হোয়াট সিনেমাগুলোতে যে ঢাকা দেখি,ঠিক এমনটাই ছিল সেই সময়ের ঢাকার চিত্র । রাস্তার যানবাহনের সংখ্যা কম চলো এখনকার মতো বড় বড় ভবন ছিল না । সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক বন্ধনগুলোতেও এসেছে শিথিলতা ।
একে অন্যের প্রতি দায়বদ্ধতার,শ্রদ্ধার সেই সামাজিক পরিবেশটা তিনি আর খুঁজে পান না । স্মৃতি রোমন্হন করে তিনি বলেন,আমরা পাড়ার দোকানদারদের মামা বলে ডাকতাম । আমাদের পরীক্ষার ফলাফলের  সময়  হলে,তারা আমাদের পরীক্ষার ফল জানতে চাইতো । আমরা যখন পরীক্ষা দিতাম,তখনই ভয়ে ভয়ে থাকতাম কারণ পাড়ার মোড়ের দোকানদার মামাও জিজ্ঞাসা করবে-কি রে,কত পেলি?ইংলিশে কত পেলি?এই যে একটা দায়বদ্ধতা । পাড়ার দর্জি,ফেরিওয়ালা মামা-ওনাদের কাছেও আমাদের একটা
দায়বদ্ধতা ছিল ।ওনাদের কাছেও ভালো থাকতে হবে,সেই তাগিদটা অনুভব করতাম । সেই ব্যাপারটি এখন আর নেই  এখন একেবারে পাশের বাসার ছেলেটাকেও আমরা চিনি না আর এ জন্যই কিন্তু আমাদের এখনকার ছেলে-মেয়েরা অনেক অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পরছে তাদের দায়বদ্ধতার জায়গাটাই অনেক কমে গেছে । একমাত্র মা-বাবা ছাড়া কারো কাছে দায়বদ্ধতা নেই আমাদের পাড়ার বড় ভাই ছিল ছোট ভাই ছিল ভুল নকশার জামা পরলেও বকা দিতেন । বলতেন এটা কি পড়েছিস ?যা বাসায় গিয়ে চেঞ্জ করে আয় 

 

পঠিত : ৫১৪ বার

মন্তব্য: ০