Alapon

সমগ্র মুসলিম উম্মাহর যে চারটি কাজ সর্বাগ্রে করতে হবে

১। لاحياء في العلم তথা জ্ঞানের পুনর্জাগরণ। 
এখানে আমাদের মনে একটি প্রশ্নের উদয় হতে পারে জ্ঞান কি মৃত্যু বরণ করে নাকি যে আমরা তাকে পুনরুজ্জীবিত করব?

এর উত্তরে বলব যে, হ্যাঁ জ্ঞান মৃত্যু বরণ করে। একটি জ্ঞান বা জ্ঞানের ধারা যখন তার সভ্যতাকে ধারণ করতে না পারে, উদ্ভূত সমসাময়িক সমস্যাকে সমাধান করতে না পারে তাহলে বুঝতে হবে যে সেই জ্ঞান মৃত্যু বরণ করেছে!

কিভাবে পুনরুজ্জীবিত করব? ইসলামী সভ্যতার সাথে সম্পর্কিত জ্ঞান অনেক বেশী গতিশীল বিগত ১৪০০ বছরে গড়ে উঠা জ্ঞানের মহাসমুদ্রকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আমাদের এখন যে বিষয়টি প্রয়োজন সেটা হল, সেই সকল জ্ঞানকে আধুনিকায়ন করে যুব সমাজের সামনে তুলে ধরা। বর্তমান যুগের মানুষ যে ভাষায় কথা বলে, যে ভাবে চিন্তা করে তার আলোকে সেই সকল বিষয়কে সহজবোধ্য করে তুলে ধরা। 
এক কথায় বলতে গেলে এখন যা প্রয়োজন তা হল, 
تجديد خطاب الدين
তথাঃ দ্বীনী ভাষা বা বক্তব্যের আধুনিকায়ন।

২। تجديد في الفكر তথা চিন্তার আধুনিকায়ন।

চিন্তার আধুনিকায়ন করব কিভাবে? সর্বদায় অধ্যয়ন করার মাধ্যমে। কোন এক ব্যক্তির উপর নির্ভর করে নয়, রাসূলে আকরাম (সঃ) এর ওফাতের পর মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের উপর রহম করে যে সকল মহা-মনীষীগণকে পাঠিয়েছেন তাদেরকে পড়া, তাদের সময়কালকে পড়া ও সমসাময়িক যুগ বা কালকে ভালো হৃদয়ঙ্গম করা। 
এই ক্ষেত্রে কোন একজন মাত্র ব্যক্তি নয়। সকল মহামনিষীকে ভালো ভাবে পড়া। সর্বোপরি, স্থায়ী (বাকী) ভবিষ্যৎকে অস্থায়ী (ফানী) ব্যক্তির উপরে নির্ভর করে গড়ে না তোলা।

৩। الإصلاح في المنهج তথা পদ্ধতির বা পন্থার সংশোধন।

কোন একটি মুতলাক বা অপরিবর্তনীয় পন্থার উপর স্থিতিশীল না থাকা। রাসূলে আকরাম (সঃ) ও নবীগণের সংগ্রামের পন্থার ভেতরে থেকে যুগের সমস্যাকে সমাধান করার জন্য পন্থা বা পদ্ধতির পরিবর্তন আনা। যুগ-জিজ্ঞাসার জবাবকে ইসলামের শাশ্বত বিধানের আলোকে উদ্ভাবন করা।

৪। الانشاء في الأخلاق তথা আখলাকের পুনঃনির্মাণ।

ইসলামী আখলাকের বিনির্মাণ ব্যতীত ইসলামী সভ্যতার ভবিষ্যৎ অকল্পনীয়। আখলাককে শুধুমাত্র আদাবে মুয়াশারাত (ব্যক্তিগত আখলাক) কিংবা পাশ্চাত্য দর্শনের আলোকে গড়ে উঠা Hedonsim তথা বৈষয়িক সুখ-শান্তি নয়, আখলাকের ইসলামী ধারণাকে পুনঃনির্মাণ করা।

পঠিত : ১৩১৪ বার

মন্তব্য: ০