Alapon

সীমান্তে বিজিবি সমাচার...

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত! খুব সম্ভবত সবচেয়ে অরিক্ষিত সীমান্তগুলোর একটি। একথা হয়তো কাগজে-কলমে লিখিত না থাকলেও, বাস্তবিক চিত্র তাই বলে। বিগত ১০ বছরে সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের নিস্ক্রিয়তার দরুণ এই অবস্থা হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা বলেন।

অথচ বাংলা-ভারত সীমান্তের অবস্থা সর্বদা এরূপ ছিল না। বাংলাদেশের তৎকালীন সীমান্ত রক্ষা বাহিনি বিডিআর থাকতে সীমান্তের নিরাপত্তার এরূপ অবস্থা ছিল না। পিলখানার নারকীয় হত্যাকান্ডের পরে বিডিআর-এর নাম পরিবর্তন করে যখন বিজিবি রাখা হলো, তখন পোশাক পরিবর্তনের সাথে সাথে তাদের চরিত্রেরও পরিবর্তন ঘটলো। রৌমারি সীমান্তে বিডিআর-এর সেই রোমঞ্জকর অভিযানের আজ শুধুই ইতিহাস। ভারত প্রায় দিনই সীমান্তে বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা করছে, অথচ বিজিবি নির্বিকার!

এতোদিনতো নির্বিকার ছিল, কিন্তু ইদানিং নিজ দেশের জনগনদের নিরাপত্তা দেওয়া ব্যাতিরেখে উল্টো আপন দেশের জনগনদের হত্যা করছে।

চলতি সপ্তাহে ঠাকুরগাও জেলার হরিপুর উপজেলায় বিজিবির গুলিতে ৩ বাংলাদেশি নিহত এবং ১৬ জন গুলিবদ্ধ হয়। বিজিবির অফিসিয়াল বক্তব্যনুসারে, তারা চোরাকারবারির গরু উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসী দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। এসময় জীবন বাঁচাতেই তারা নাকি গুলি চালিয়েছে।

কিন্তু গ্রামবাসীর বক্তব্যনুসারে, ‘প্রকৃত চোরাকারবারিরা বিজিবির নাকের ডগা দিয়ে ঘুষের বিনিময়ে গরু নিয়ে চলে যায়। আর আমরা বাড়ির গরু হাটে বিক্রি করার জন্য নিয়ে যাচ্ছি, অথচ বিজিবি এসে বলছে এগুলো চোরাই গরু!’

গ্রামবাসীদের এই দাবির স্বপক্ষে সত্যতা রয়েছে বলে বিশ্বাস করি। বিগত কয়েক মাস আগে পাটগ্রাম সীমান্তে বেড়াতে গিয়েছিলাম। এর আগেও কয়েকবার গিয়েছিলাম। তখন মানুষের মুখে বিডিআর বা বিজিবির প্রশংসা শুনতাম। কিন্তু তাদের মুখেই বিজিবির দুর্নাম শুনতে হলো। বিজিবির অত্যাচারে নাকি টিকে থাকাই দ্বায়!

যে বিজিবি সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা, আজ সেই বিজিবির হাতেই সীমান্তের মানুষরা জিম্মি!

পঠিত : ৬৬৩ বার

মন্তব্য: ০