Alapon

সুশীলদের বিভ্রান্তকর স্লোগানে নিজেদের ঈমানকে বিকিয়ে দিবেন না!

গত কয়েকদিন থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দোল উৎসক তথা হোলি উৎসবের কিছু ছবি ঘোরাঘুরি করছে। এবং সেসব ছবির অধিকাংশরাই মুসলিম ধর্মালম্বীদের ছবি।

তাদের ছবি দেখে কবি আল্লামা ইকবালে একখানা কবিতার কয়েকটি চরণ মনে পড়ে গেল। কবি বলেছেন, 


‘চাল-চলনে খ্রিস্টান তুমি,


হিন্দু তুমি সভ্যতায়।


এইতো সেই মুসলিম,


যাকে ইহুদী দেখেও লজ্জা পায়।’

দেশের বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতে এতো ঘটা করে দোল উৎসব পালন করা হচ্ছে, কিন্তু এই দোল উৎসবের ইতিহাস কি এসকল উদার চেতনাধারী মুসলিমরা জানে?

তাহলে আসুন ইতিহাসটা একটু জেনে নেই, ‘ব্রক্ষ্মার আদেশে প্রথমবারের মতো কৃষ্ণর কাছে নিজেকে সমর্পণ করলো রাধা। সারারাত কামসূত্রের চৌষট্টি কলা প্রয়োগ করলেন কৃষ্ণ। আবেগাপ্লুত অবস্থায় কৃষ্ণর দাঁত ও নখের আঁচড়ে এবং শ্রী রাধার কুমারিত্ব খণ্ডনে রাধা এমন লালে লাল হলেন যে, সকালে লজ্জায় আর বাইরে বেরোতে পারছিলেন না। সমস্যার সমাধানকল্পে কৃষ্ণ তার অনুসারীদের রঙ দিয়ে খেলার নির্দেশ দিলেন। সবাই যখন রঙে রঞ্জিত তখনই রাধা রক্তাক্ত কাপড় নিয়ে বাইরে বের হয়ে এলেন এবং বাড়ি ফিরলেন। এই হলো হোলি বা দোল উৎসবের ইতিহাস।’

আজ ভাবতেও ঘৃণা হয়, এরকম একটি নোংরা বিষয় কী করে পূজনীয় কাজের অংশ হতে পারে?

তাও আবার দেশের শিক্ষিত মুসলিম তরুণ-তরুনীরা কী করে আমাদের হিন্দু ভাই-বোনদের দেখাদেখি এই উৎসব পালন করেন?

অতি সম্প্রতি একটি স্লোগান বেশ জোরেশোরে শোনা যায়! ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার।’ এই স্লোগানে মুগ্ধ হয়ে সবাই দেউলিয়া হয়ে গেছে! দুঃখিত সবাই না, মূলত আমাদের মুসলিম তরুণ-তরুণীরা দেউলিয়া হয়ে গেছে! মুসলিমদের উৎসবে কোনো হিন্দু ভাইকে দেখা না গেলেও হিন্দুদের উৎসবে মুসলিমদের অবশ্যই দেখা যায় এবং সেটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলিমকে দেখা যায়। অথচ কোনো হিন্দুকে আমাদের কোরবাণী ঈদে আমাদের সাথে আনন্দ করতে বলুন তো, করবে?ৎ

করবে না! কারণ এটা তাদের ধর্মের সাথে যায় না। ঠিক তেমনই এসব দোল বা হলি আমাদের ধর্মের সাথেও যায় না। হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি যার সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪০৩১} 

অতএব সময় থাকতে সাবধান হোন! সুশীলদের বিভ্রান্তকর স্লোগানে নিজেদের ঈমানকে বিকিয়ে দিবেন না!

পঠিত : ২৩৪৪ বার

মন্তব্য: ০