তারিখঃ ৩০ নভেম্বর, -০০০১, ০০:০০
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশের রিভার্জ চুরির নেপথ্যে ছিল ‘রাষ্ট্রীয় মদদ’; বলছেন ওই ঘটনার তদন্তে ফিলিপাইনে থাকা এক এফবিআই কর্মকর্তা। এ ব্যাপারে বিস্তারিত না জানালেও এফবিআই রিজার্ভ চুরির হোতাদের নাম-পরিচয় প্রকাশের খুব কাছাকাছি রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
ফিলিপাইনে মার্কিন দূতাবাসের আইন-বিষয়ক কর্মকর্তা লেমন্ট সিলার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এসব কথা বলেছেন।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের এই ঘটনার তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছে মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআই। গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়, একজন চীনা মধ্যস্থতাকারীর সহায়তায় উ. কোরিয়া এই হ্যাকিং করেছে বলে মার্কিন প্রসিকিউটররা জানতে পেরেছেন। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন তারা।
সিলার জানান, ফিলিপাইনের সরকারের সঙ্গে যথাযথ যৌথতার সঙ্গে ঘটনার তদন্ত করছে এফবিআই। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ শেষ হয়ে যায়নি। আমরা দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে চাই। এর মধ্য দিয়ে আমরা বার্তা দিতে চাই যে, এমনকী রাষ্ট্রীয় মদদে এমন বিচার হলেও সাজা ভোগ না করে উপায় নাই।’
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ সার্ভার হ্যাক করে ৬ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা (৮৭০ মিলিয়ন ডলার) ফিলিপাইনের রিজাল কমার্স ব্যাংকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু অর্থ স্থানান্তরের বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে করে ফিলিপাইন কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থ ছাড় না করার নির্দেশ দেওয়ায় বিপুল অর্থ চুরির হাত থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক রক্ষা পায়।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
পঠিত : ৫৪৩ বার
মন্তব্য: ০