Alapon

একটি সত্যনিষ্ঠ দলের প্রয়োজন, সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদুদী

একটি সত্যনিষ্ঠ দলের প্রয়োজন




                                    সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদুদী




 




পৃথিবীতে বর্তমানে একটা মহা প্রলয় চলছে |   এর উদ্দেশ্য কি কেবল বিশ্ববাসীকে তাদেরা কৃতকর্মের শাস্তি দেয়া অথবা প্রলয়ের
পর ভালো একটা কিছু সৃষ্টি করা- তা আমরা জানিনা
তবে বাইরের লক্ষণ দেখে আচ করা যায়, এ যাবৎ যে সভ্যতার
ধ্বজাধারীরা মানব জাতির নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে, তাদের আয়ুষ্কাল ফুরিয়ে এসেছে
|   তাদের পরীক্ষার মেয়াদ শেষ হয়ে আসেছে|   আল্লাহর শাশ্বত বিধান অনুযায়ী তাদেরকে ও তাদের এ জাহেলী সভ্যতাকে পৃথিবীর
ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব থেকে হটিয়ে দেয়ার সময় আগত প্রায়
|   পৃথিবীতে তাদের দায়িত্ব পালন করার যেটুকু সুযোগ পাওয়ার দরকার ছিল তা তারা পেয়েছে নিজেদের
যাবতীয় গুণপনা এবং
সমস্ত প্রচ্ছন্ন যোগ্যতা ও প্রতিভাকে তারা
সম্পুর্নরুপে কাজে লাগিয়েছে
|   তাদের ভিতর হয়তো  এমন আর কিছুই অবশিষ্ট নেই যা প্রকাশ পায়নি|   তাই মনে হচ্ছে খুব শিগগীর পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চ থেকে তারা অপসারিত হবে| বিশ্বব্যাপী তাদের এ ব্যাপক পরাজয়ের মহড়া সম্ভবত এ জন্যই চলছে, যাতে করে তারা
নিজেদের মৃতদেহ সৎকারের ব্যাবস্থা নিজেরাই করে যেতে পারে
| এরপরে  সারা দুনিয়ায় আবার একটা অন্ধকার
যুগও এসে যেতে পারে, যেমন সর্বশেষ ইসলামী আন্দোলনের পতন ও বর্তমান জাহেলী সভ্যতার
মধ্যবর্তী সময়ে এসেছিল
|   আবার এ ভাঙ্গার ভেতর দিয়ে নতুন
করে গড়ার একটা পালাও শুরু হতে পা
রে




 




পূজিবাদী গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদী সমাজতন্ত্র এবং কমিউনিজমের
যে শক্তিগুলো আজ পরষ্পর সংঘর্ষে লিপ্ত, তারা আসলে আলাদা আলাদা সভ্যাতার ধারক নয়
|   তাই তাদের মধ্য হতে বাছাই করে ভালোটিকে রাখার প্রশ্নই আসেনা |   আসলে তারা একই সভ্যতার তিনটা শাখা |   বিশ্ব প্রকৃতি ও মানুষ সম্পর্কে এদের সকলের দৃষ্টিভঙ্গি অভিন্ন |   একই জীবন দর্শন ও একই নৈতিক আদর্শের ভিত্তিতে এদের কাঠামো তৈরী হয়েছে|   মানুষকে পশু মনে করা, বিশ্বজগতকে স্রষ্টাবিহীন ঠাওরানো, প্রকৃতি-বিজ্ঞান থেকে
মানব জীবন পরিচালনার জন্য আইন আহরণ করা এবং অভিজ্ঞতা, স্বার্থপরতা ও প্রকৃতির
লালসাকে নৈতিক ভিত্তিরুপে গন্য করা- এসবই হলো এ তিনটি সংঘর্ষশীল আদর্শের সাধারণ
উপাদান
|   এদের মধ্যে পার্থক্য শুধু
এতটুকু যে, এ জাহেলী সভ্যতা সর্বপ্রথমে ব্যাক্তি স্বাধিনতা ও জাতীয় স্বাতন্ত্রের
বীজ বপন করেছিল
| তার ফলে জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্র ও
পুজিবাদী গণতন্ত্রের উদ্ভব ঘটে এবং দীর্ঘকালব্যাপী মানবজাতি এর হাতে নিষ্পেষিত ও
নির্যাতিত হতে থাকে
|   এ যুলুম ও নিষ্পেষন যখন মাত্রা
ছাড়িয়ে যেতে থাকে তখন ঐ একই সভ্যতা সমাজতন্ত্রকে তার প্রতিকারের উপায় হিসেবে পেশ
করে
কিন্তু এ প্রতিকার যে
মূল রোগের চেয়েও মারাত্নক তা অল্প দিনেই প্রকাশ হয়ে পড়ে
|   অবশেষে সেই একই সভ্যতার পক্ষ থেকে ফ্যাসিবাদ, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র নামে
প্রতিকারের দ্বিতীয় উপায় উপস্থাপন করা হয়
|   কিন্তু কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, জাহেলিয়াত জননীর এ
সর্বশেষ সন্তানটি নাশকতা ও বিপর্যয় সৃষ্টিতে আগের দুই সন্তানকেও হার মানিয়েছে
 




 




এভাবে যে সভ্যতা মানুষকে লাগামহীনভাবে বিচরনশীল পশু মনে করে
দুনিয়ার বুকে আপন দায়িত্ব পালন করতে শুরু করেছে এবং মানুষকে পররাজ্য গ্রাস থেকে
শুরু করে জঘন্যতম নৃশংসতা পর্যন্ত কোনো মানবতা বিধ্বংসী ব্যাধী উপহার দিতে বাদ
রাখেনি,- তাকে পরীক্ষা করে দেখার আর কোনো অবকাশ নেই
|   এ সভ্যতা বাস্তবিক পক্ষে তার সকল শাখা-প্রশাখা সমেত স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধির শেষ
প্রান্তে উপনীত হয়েছে
|   তার পরীক্ষা-নিরীক্ষার মেয়াদ
শেষ হয়ে গেছে, তার কাছে এমন কোন দাওয়াই অবশিষ্ট নেই, যা সে মানবজাতীর সমস্যা
সমাধানের জন্য দিতে পারে
|   তবুও যদি ধরে নেয়া যায় যে,
নিজের আয়ুষ্কাল বাড়িয়ে নেয়ার জন্য সে আর একটা ‘ইজম‘ বা মতবাদ হাজির করবে, তাহলেও
আল্লাহ নিজের গড়া পৃথিবীটাকে নৈরাজ্য দিয়ে ভরে তোলার আরো সুযোগ তাকে দেবেন, তা মনে
হয়না
|   হতে পারে, বর্তমান সংঘর্ষের পর
এর শাখা-প্রশাখা গুলোর মধ্যে কোনোটা অবশিষ্ট থেকে
|   তবে তা যে খুব ক্ষণস্থায়ী হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই |   সেই শাখা-প্রশাখার মধ্য থেকেই শিগগীরই আগুনের শিখা বের হবে এবং সেই আগুনেই সে
পুড়ে ছাই হয়ে যাবে
|   




 




 







এখন প্রশ্ন হলো, এ সভ্যতা ধ্বংস হয়ে
যাওয়ার পর দুনিয়া
তে কি আবার কোনো অন্ধকার যুগ শুরু হবে, না নতুন কোনো গঠন প্রক্রিয়া দানা
বাঁধ
বে? এ প্রশ্নের মীমাংসা নির্ভর করে দুটি জিনিসের পর


 


প্রথমত, বর্তমান নিরেট জাহিলিয়াতের ব্যর্থতার
পর আগে
কাভ্রান্ত মতবাদগুলোর চেয়ে ভালো কোনো মতবাদ মানুষের হস্তগত হবে কিনা, মানুষ যার কাছ থেকে
কল্যাণ লাভের আশা করবে
|   যার ভিত্তিতে একটি শক্তিমান ও জীবন্ত সভ্যতা
গড়ে ওঠা সম্ভব হবে


দ্বিতীয়ত, একটি নতুন মতাদর্শের ভিত্তিতে
নতুন সভ্যতা বিনির্মানের উদ্দেশ্যে সর্বাত্নক জীহাদ পরিচালনার যে যোগ্যতা ও
ক্ষমতা প্রয়োজন এবং প্রখর ধীশক্তি ও উদ্ভাবনী শক্তির দরকার সেই শক্তি ও যোগ্যতা
সম্পন্ন একটি মানব গোষ্ঠির আবির্ভাব ঘটবে কিনা
|   এ মানব গোষ্ঠির নৈতিক গুণাবলী বর্তমান
ক্ষয়িষ্ণু সভ্যতার ধারকদের ঘৃন্য চারিত্রিক বৈশিষ্টের তুলনায় অনেক ভালো ও
সম্পূর্ন ভিন্ন ধরনের হবে
|   


এ ধরনের কোনো একটা মতাদর্শ যদি সত্যিই
সময়মত হস্তগত হয়ে যায় এবং তার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়নের জন্য একটি অভিপ্সিত
সত্যনিষ্ঠ দল তৎপর হয়ে উঠে তাহলে অবশ্যই মানব জাতি আবার একটা অন্ধকার যুগের খপ্পরে
পড়ার হাত থেকে নিষ্কৃতি পাবে
|   অন্যথায় এ অন্ধকারের অতল গহব্বরে নিক্ষিপ্ত
হওয়ার হাত থেকে তাকে রক্ষা করার ক্ষমতা কারোর নেই


আজ মানব জাতি এক অবর্ণনীয় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে
|   মানুষ মানুষের সাথে বন্য
পশুর চেয়েও হিংস্র আচরণ করছে
|   আদিম ও অসভ্য যুগেও মানুষ এ ধরনের নির্মমতা
ও নৃশংসতার আশ্রয় নেয়নি
|   মানুষের আজকের নিষ্ঠুরতা ও হৃদয়হীনতার নজির
বন্য পশুদের মাধ্যেও পাওয়া যাবেনা
|   জ্ঞান-বিজ্ঞানের চরোমঠকর্ষের ফল দাঁড়িয়েছে
বোমা মেরা দেশের পর দেশ জ্বালিয়ে দেয়া এবং ট্যাংক চালিয়ে নিরীহ জনগণ কে পিষ্ট
করা
|   মানুষের সাংগঠনিক যোগ্যতা কে আজ সভ্যতা
বিধ্বংসী আগ্রাসী সেনাবাহিনীর সংগঠনের কাজে লাগানো হচ্ছে
| ভয়াবহ মারণাস্ত্র তৈরি
আজকের শিল্পোন্নতির অন্যতম ফসলে পরিগণিত হয়েছে
|   প্রচার যন্ত্রগুলো পৃথিবীব্যাপী মিথ্যা
রটনা ও জাতিতে জাতিতে রেষারেষি, হিংসা ও বিদ্বেষ সৃষ্টির চরম পরাকাষ্ঠা দেখাচ্ছে
এসব কিছু মিলিয়ে আজ যে বিভীষিকাময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তা কোনো মানুষকে
হতাশার গভীর আবর্তে তলিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট
|   এ অবস্থা মানুষকে ভগ্নহৃদয় করার এবং নিজের
সমস্ত যোগ্যতা ও প্রতিভা সম্পর্কে তাকে চরম নৈরাশ্যে নিমজ্জিত করা ক্ষমতা রাখে
|   আর এ নৈরাশ্যের
অবশ্যম্ভাবী ফল হিসেবে মানবজাতি চরম বিতৃষ্ণায় বহু শতাব্দীকালের জন্য
তন্দ্রাচ্ছন্ন ও অচেতন হয়ে যাবে
|   


আমি আগেই বলেছি যে, এহেন শোচনীয় ও
বেদনাদায়ক পরিণতি থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করার একমাত্র উপায় হলো, একটি গঠনমূলক
মতাদর্শের সক্রিয় হয়ে ওঠা ও একটি সত্যনিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর আবির্ভাব


সেই সম্ভাব্য  মতাদর্শ- যা পরিবেশের সাফল্যমন্ডিত হতে
সক্ষম- কোনটি?


এ ক্ষেত্রে যদি আদিম অংশিবাদী জাহেলিয়াতের
কথা পর্যালোচনা করা যায়, তাহলে দেখা যাবে যে, প্রাচীন যুগে বহু বড় বড় সভ্যতা
জন্ম দেয়া সত্বেও তা এখন মৃত
|   এর পুনরুজ্জীবনের আর কোনো সম্ভাবনা নেই |   শিরক বা অংশীবাদী
নির্মূল হয়ে গেছে
|   অজ্ঞ মানুষের জীবনে এর কিছু প্রভাব থাকলেও
বুদ্ধিমান ও জ্ঞানীজনদের এখন আর এতে বিশ্বাস নেই
|   বিশ্বজগতের পরিচালনায় অনেকগুলো মাবুদ
নিয়োজিত রয়েছে এবং দেবদেবী বা আত্নাদের হাতে মানুষের কল্যাণ-অকল্যাণ চাবিকাঠি
নিহিত রয়েছে এমন অলীক খেয়ালে তারা আর মত্ত থাকতে প্রস্তুত নয়
|   তাছাড়া অংশীবাদী
ধ্যান-ধারণা দ্বারা মানব জীবনের জটিল সমস্যাবলীর সমাধান হতে পারে না, এটা একটা
বাস্তব সত্য
|   সমাধান তো দূরের কথা এর ফলে সমস্যা গুলো
আরো জটিল হয়ে পড়ে
|   আজকের দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সমস্যা
মানবজাতির মধ্যে ঐক্য ও সংহতির অভাব
|   অংশীবাদ 
এ সমস্যার কোনো সমাধান তো করেই না বরং তা অধীকতর অনৈক্য ও বিভেদ
সৃষ্টিতেই নিয়োজিত
|   সুতরাং কোন অংশীবাদী মতাদর্শের আজকের
বিশ্বে প্রতিপত্তি ও আধিপত্য লাভের কোনই অবকাশ নেই


এরপরে আসে বৈরাগ্যবাদের সম্ভাব্য ভূমিকার
কথা
|   বৈরাগ্যবাদ কোন শক্তি বলে গণ্য হয়নি, এখনো
হতে পারেনা
|   জন্মান্তরবাদ, অহিংসবাদ, সর্বেশ্বরবাদ
ইত্যাকার মতবাদগুলোর- যা মনবাত্নাকে হিমাগারে পাঠিয়ে দেয়, সাহস ও উৎসাহকে
স্তিমিত ও নিস্তেজ করে করে এবং মানুষের চিন্তা শক্তিকে অলীক কল্পনার উন্মত্ততায়
মাতিয়ে রেখে অকর্মন্য ও নির্জীব করে রাখে- এতটা জীবনী শক্তিই নেই যা পৃথিবির
কর্তৃত্ব, নেতৃত্ব ও পরিচালনার গ্রহণে সক্ষম কোনো সভ্যতা জন্ম দিতে পারে
|   কোনো যাদুকর এগুলোর
মৃতদেহে প্রাণ সঞ্চারের হাজারো চেষ্টা করলেও এগুলো কখনো জ্ঞান, তাপস্যা ও
ত্যাগের স্তর ছাড়িয়ে একটি গৌরবোজ্জ্বল সভ্যতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উপনীত হতে
পারবে না
কাজেই এসব মতবাদের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া একমাত্র মৃত ও পতনোন্মুখ জাতির পক্ষেই
সম্ভব
|   কোন জীবন্ত ও উদীয়মান জাতি এর প্রতি কোন
রকম আকর্ষণ অনুভব করতে পারে না
|   


আর নিরেট জাহিলিয়াতের (যা আদৌ কোনো
আধ্যাত্মিকতা ও অতিপ্রাকৃতিক সত্তায় বিশ্বাস করে না এবং জীবনকে সম্পুর্ণরুপে
বস্তু নির্ভর করে) পর্যালোচনায় গেলে এ সিদ্ধান্তেই উপনীত হয় যে, এ সম্পর্কে
বিশ্ববাসীর এতবেশী তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে যে, তারা অচিরেই এ থাকে চূড়ান্তভাবে
নিরাশ হয়ে যাবে
|   নিরেট জাহেলিয়াতের দরুন মানুষ নিজেকে পশু
ভাবতে শিখেছে আর সে জন্য পশুদের জীবন থেকেই আহরণ করেছে সে বেঁচে থাকার জন্য
সংগ্রাম, প্রাকৃতিক নির্বাচন এবং যোগ্যতমের বাঁচে থাকার অধিকার ইত্যাকার মতবাদ
নিজেকে পশু ভাবার কারণেই বস্তুগত স্বার্থ
উদ্ধার ও জৈবিক লালসা চরিতার্থ করাকে সে জীবনের পরম ও চরম লক্ষ হিসেবে নির্ধারন
করেছে, অভিজ্ঞতা ও স্বার্থ সিদ্ধিকে গ্রহণ করেছে নৈতিকতার উৎস ও ভিত্তি হিসেবে,
আর মানুষের চেয়ে উচ্চতর কোন সার্বভৌম শক্তির কর্তৃত্ব না মানাই হয়েছে তার নীতি
|   এর ফল যা হবার তাই
হয়েছে এবং তা অত্যন্ত বিষময় হয়েই দেখা দিয়েছে
|   এসব মতবাদের দরুণ মানুষের মধ্যে জাতীয় ও
বর্ণগত আভিজাত্য ও একদেশদর্শীতার প্রসার ঘটেছে
|   জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্ম হয়েছে
|   সাম্রাজ্যবাদ আধিপত্যবাদ ও অর্থনৈতিক
শোষণের মতো মারাত্মক আপদ মাথা তুলেছে
| নিজস্ব ব্যাপারে ব্যক্তি থেকে শুরু করে বড়
বড় জাতী ও সাম্রাজ্য পর্যন্ত নৈতিকতার কোন তোয়াক্কা করেনা
|   সবচেয়ে বিপজ্জনক
ব্যাপার এই যে, মানুষ সত্যি সত্যি পশুর মত কাজ করা শুরু করেছে এবং অন্যান্য
মানুষের সাথে পাশবিক ও যান্ত্রিক আচরণে প্রবৃত্তি হয়েছে
| এসব মতবাদ সমাজে হয়
গণতন্ত্রের নামে একজনের উপর আরেকজনের অত্যাচারের, অবৈধ আয়ের এবং অশ্লীলতা ও
বেহায়াপনা করার স্বাধীনতা দিয়েছে, নয়তো সমাজতন্ত্র ও কমিউনিজমের নামে মানুষকে
ছাগল ভেড়ার পালের মতো একটি স্বৈরাচারীদের দলের হাতে সপে দিয়েছে যেন তাদেরকে
যেদিকে খুশি তাড়িয়ে নেয়া যায় অথবা তাদের সাহায্যে যেমন খুশি স্বার্থ উদ্ধার করা
যায়
|   এ মতবাদগুলোর এই যে পরিণতি দেখা দিয়েছে তা
কোনো আকস্মিক ভুলভ্রান্তির ফল নয় বরং ঐ বিষবৃক্ষেরই স্বাভাবিক বিষফল
|   সুতরাং মানুষ যেমন এ
যাবত এগুলো থেকে কোন কল্যাণ লাভ করতে পারেনি, তেমন ভবিষ্যতেও পারবে না
|   

পঠিত : ১২১৪ বার

মন্তব্য: ০