Alapon

হোমনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তিনটি এক্স-রে মেশিন পাচ বছর যাবৎ বিকল

মো.বাহারুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি:

কুমিল্লার হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিনটি এক্স-রে মেশিন পাঁচ বছর ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে রোগীরা। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা । কমপ্লেক্সে এক্স-রে মেশিন না থাকায় বাধ্য হয়ে কয়েক গুণ বেশি টাকা দিয়ে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে এক্স-রে করাতে হচ্ছে।



সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন ২০০-৩০০ রোগী স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসে। উপজেলা কমপ্লেক্সে ৩টি উন্নতমানের এক্স-রে মেশিন ছিল । প্রথম প্রথম ভালোভাবে মেশিন ৩টি চললেও পাঁচ বছর ধরে এটি বিকল হয়ে পড়ে আছে। কর্তৃপক্ষ একাধিক বার চিঠি চালাচালি করলে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না ।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীরা জানায়, আগে ৬০-৭০ টাকায় এ হাসপাতালে এক্স-রে করানো যেত। কিন্তু এক্স-রে মেশিন না থাকায় বিভিন্ন ক্লিনিকে গিয়ে ৩০০-৫০০ টাকায় এক্স-রে করাতে হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন রোগীরা সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে আর্থিকভাবেও ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে।

মধ্যকান্দি গ্রামের মহসিন মিয়া বলেন, একটি হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন থাকাটা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে মেশিন বিকল থাকায় রোগীরা চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।



মঙ্গলকান্দি গ্রামের শারমিন আক্তার নামের একজন রোগী বলেন, চিকিৎসা নিতে এসে দেখি এখানে এক্স-রে মেশিন নাই। খিদমা ডায়েগনেষ্টিক সেন্টারের এক লোক বাহির থেকে এক্স-রে করতে ৪০০টাকা লাগছে ।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো.সরফরাজ হোসেন খান বলেন আমি এখানে মাত্র কয়েক মাস আগে যোগদান করছি। এসে জানতে পারি, তিনটি এক্স-রে মেশিনটি নষ্ট। মেশিনটি সচল করার জন্য কয়েকবার চিঠি দিয়েছি কিন্ত অফিস থেকে জানানো হয়েছে । এটি মেরামত করলে লাভ জনক হবে না । তবু নতুন মেশিনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।



এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান বলেন, হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিনটি এক্স-রে মেশিন নষ্ট, এটি মেরামত করলেও চলবে না । আমরা নতুন মেশিনের তালিকা প্রেরণ করেছি আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন এক্স-মেশিন পেতে পারে। এতে রোগীদের ভোগান্তি ক‌মে যা‌বে।



সোহাইল আহ‌মেদ, বি‌ডি নিউজ২৪

পঠিত : ৬৭১ বার

মন্তব্য: ০