Alapon

তারাবিহ সালাতের ডাইরি, নিজে জানুন এবং বিতর্ক মুক্ত জীবন গড়ুন...

- রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কিছু সংখ্যক সাহাবী নিয়ে প্রথম তারাবীহ, জামায়াতের সাথে পড়লেন।

- দ্বিতীয় তারাবীহতে আরো বেশ কিছু সংখ্যক সাহাবী জামায়াতে যুক্ত হয়।

- তৃতীয় তারাবীহর জামায়াতে মসজিদ পরিপূর্ণ হয়ে যায়।

- চতুর্থ তারাবীহতে মসজিদ পুরো হয়ে বাহিরে চলাচলের রাস্তা মুসল্লিদের দখলে চলে যায়।

- পঞ্চম তারাবীহতে মুসল্লিরা অপেক্ষায় থাকলেও রাসুল (সাঃ) নিজ ঘরেই তারাবীহ আদায় করলেন।

রাসুল (সাঃ) প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেন তিনি তারাবীহ সালাতের জামায়াতে আর আসছেন না? উত্তরে রাসুল (সাঃ) জানালেন,

"তিনি ভয় পাচ্ছিলেন যে, আল্লাহ এই সালাতটিকে না জানি আবার ফরজ করে দেন এবং সেটা করা হলে তাঁর উম্মত এটা পালনে অক্ষম হয়ে যাবে।"

আসুন কয়েকটি পয়েন্ট নিয়ে বিশ্লেষণ করি:

- এই সালাত সর্ব প্রথম চালু হয়েছিল, জামায়াতের সহিত।

- এটি একটি সুন্নাত সালাত, কেননা রাসুল (সাঃ) নিজে তা পড়েছেন।

- রাসুল (সাঃ) এবং তাঁর সাহাবী (রাঃ) গন তারাবিহ সালাতকে পছন্দ করেছেন।

- উম্মাত এটা পালনে অক্ষম হতে পারে এই শঙ্কায়, তারাবির সালাতের কিছু বাধ্যবাধকতা শিথিল করেছেন।

- সর্বোপরি রাসুল (সাঃ) উম্মতের সক্ষমতার প্রতি বিবেচনা করে এই সালাত পালনে কিছুটা দয়ার্দ্র ভূমিকা রেখেছেন।

রাসুল (সাঃ) এর রাতের সালাতের ধরন:

- রাসুল (সাঃ) রাতের নফল সালাত গুলো দীর্ঘক্ষণ ধরে পড়তেন।

- উল্লেখ আছে কখনও এক রাকায়াত সালাতে তিনি পবিত্র কোরআনের চার পারা পর্যন্ত পড়েছেন!

- রুকুতে থাকার পরিমাণ, কখনও দাঁড়ানোর সময়ের সমান হয়ে যেতো, কখনও বা তার অর্ধেক।

- সেজদায় সময়ের পরিমাণ, একটি লম্বা রুকুর অর্ধেকের মত হত।

- কখনও তিনি লম্বা সেজদা করতেন, সাহাবীরা ভাবতেন রাসুল (সাঃ) হয়ত উঠার কথা ভুলে গিয়েছেন।

- দীর্ঘক্ষণ সালাতে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে, তাঁর পা দুটো ফুলে ভারী হয়ে উঠত, ব্যথায় ঠন ঠন করত।

- তাঁর অসহ্য কষ্ট দেখে তাঁরই স্ত্রী, আয়েশা (রাঃ) বলেন, "হে রাসুল (সাঃ) আপনার আগে-পরের সকল গুনাহ গুলো ক্ষমা করা হয়েছে, তাহলে কেন এত কষ্ট করেন"?

- উত্তরে রাসুল (সাঃ) বলেন, "গুনাহ মাফ হবার কারণে কি আমি আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব না"?

- অর্থাৎ গুনাহ মাফ হবার কৃতজ্ঞতার জন্য তিনি সালাতকে আরো দীর্ঘ, আরো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতেন।

- যদিও তিনি গুনাহের কাজ করতেন না, এসব থেকে মুক্ত থেকেছেন।

- উম্মাতেরা যাতে গভীর রাতের দীর্ঘ সালাতের গুরুত্ব ও মর্ম উপলব্ধি করে, সে কারণে নিজের জীবনে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।

সাহাবীদের আচরণ:

- সাহাবী (রাঃ) গন কখনও রাসুলের (সাঃ) সাথে ব্যক্তিগত ভাবে নফল সালাতে শরীক হতেন।

- তাঁরা দেখেছেন রাসুল (সাঃ) তারাবীহ সালাতকে লম্বা সময় নিয়ে পড়তেন।

- রাসুল (সাঃ) প্রতি রমজানের সালাতে পবিত্র কোরআন পুরোটাই পড়তেন অর্থাৎ খতম দিতেন।

- তাঁর জীবনের শেষ রমজানে এক খতম কোরআন জিব্রাইল (আঃ) কে শুনিয়েছেন আবার এক খতম কোরআন তিলাওয়াত রাসুল (সাঃ) নিজে জিব্রাইল (আঃ) থেকে শুনেছেন।

- এ থেকে বুঝা যায়, রমজান মাসের সালাত কত দীর্ঘ হত।

আসুন মুল পয়েন্ট গুলো বিশ্লেষন করি:

- রমজানের রাত্রে দীর্ঘ নামাজ তথা কিয়ামে মগ্ন থাকাই ইসলামের মূল স্পিরিট।

- ত্রিশ বছর আগেও সৌদি মনিষীরা দুঃচিন্তা প্রকাশ করে বলেছেন, এটা কেমন তারাবীহ? যা তিন ঘণ্টায় শেষ হয়ে যায়!

- এতে করে এই নামাজটি নষ্ট হয়ে যাবে, ফলে এই নামাজ উম্মাহর কোন কল্যাণে আসবে না বলে, আশংকা প্রকাশ করেছেন।

- বর্তমান সময়ে আরব দেশের অনেক মসজিদে আট রাকায়াতের তারাবিহ শেষ হচ্ছে মাত্র এক ঘণ্টারও কম সময়ে।

- আবার বর্তমানে আমাদের দেশের অনেক স্থানে ২০ রাকায়াত তারাবীহ শেষ হচ্ছে, তাও এক ঘণ্টারও কম সময়ে।

- আট আর বিশ রাকায়াত যাই বলি না কেন, সালাতের মধ্যে সময় ব্যয় করার পরিমাণ আশঙ্ক্ষাজনক ভাবে কমেছে।

- মূলত, রাসুল (সাঃ) যে লক্ষ্যে তারাবীহ পড়েছেন, উম্মতেরা সে লক্ষ্যে তারাবীহ না পড়ে উল্টো রাকায়াত সংখ্যা নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিভক্তিতে মেতেছে!

- যেহেতু নফল সালাতে কোন বিদয়াত নাই, তাই অনেক বেশী রাকায়াত সালাত পড়লেও যেমন দোষের কিছু নাই, আবার কম রাকায়াত পড়লেও তিরস্কৃত হবার সুযোগও কম।

তারাবীহ সালাতের রাকায়াত সংখ্যা:

অনেকেই বলে থাকেন তা বিশ রাকায়াত; আবার অনেকেই বলছেন তা মাত্র আট রাকায়াত! আবার অনেকে আরো ভিন্নমত পোষণ করেছেন। সেগুলো তেমন উচ্চবাচ্য হয়না তবে, আট আর বিশ রাকায়াতের দ্বন্ধ প্রকাশ্যে দেখা মিলে।

তারাবিহ আট রাকায়াত; স্বপক্ষের দলীলগুলো দেখে নেই।

- রাসুল (সাঃ) এর পরিষ্কার হাদিস দ্বারা এই সালাতের রাকায়াত সংখ্যা সুনির্দিষ্ট নয়।

- কেউ বলেছেন আট রাকায়াত।

- কেউ বলেছেন দশ রাকায়াত।

- কেউ বলেছেন বার রাকায়াত।

- কেউ বলেছেন তের রাকায়াত

- এবং তের রাকায়াতের শেষটি হল বিতর।

ইমাম মালিকের (রহ) উদ্ধৃতি:

[ইমাম মালিক বিন আনাস (রহ) রাসুল (সাঃ) এর মৃত্যুর প্রায় ৮৩ বছর পরে মদিনাতে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানেই তিনি শিক্ষালাভ করেন। তাঁর জমানায় সারা দুনিয়ায় তিনি শ্রেষ্ঠতম ইসলামী পণ্ডিত হিসেবে বিবেচিত ছিলেন। তিনি পশ্চিমের বহু দেশে মুবাল্লিগ হিসেবে দ্বীন প্রচার করেছিলেন। ফলে, আজো তিনি সমগ্র আরব ও পশ্চিমের প্রায় সকল মুসলিম দেশেই তিনি সমাদৃত, গ্রহণযোগ্য ও বরণীয়।]

- তিনি তাঁর হাতে লিখিত 'মুয়াত্ত্বা' গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, তারাবীর সালাত মূলত ১১ রাকায়াত।

- তাঁর এই লিখিত কথাটি, দলীল হিসেবে উপরোক্ত আট রাকায়াত সালাতের পক্ষে জোরালো ভিত্তি দেয়।

- আবার, তাঁর লিখিত নির্দেশনার উপরও অনেকে দ্বিমত পোষণ করেছেন, যেমন;

* কেউ বলেছেন, সেই ১১ রাকায়াতের মধ্যে এক অথবা তিন রাকায়াত বিতর।

* আরবীতে বিতর শব্দের অর্থ 'বেজোড়'। এক-তিন রাকায়াতের বেজোড় দিয়েই সালাতটি শেষ করতে হয়।

* কেউ বলেছেন ১১ রাকায়াত দ্বারা তাহাজ্জুদ নামাজের কথা বুঝিয়েছেন।

* কেননা রাসুল (সাঃ) ৮ রাকায়াত তাহাজ্জুদ পড়তেন আর ৩ রাকায়াত পড়তেন বিতরের জন্য। সর্বমোট ১১ রাকায়াত হয়।

- বর্তমান জমানায় বিতর নামাজকে তারাবীহ কিংবা এশা সালাতের শেষেই পড়া হয়।

- সাহাবীদের জমানায় বিতর নামাজকে তাহাজ্জুদের পরেই পড়া হত।

- তখনকার দিনে প্রায় সবাই তাহাজ্জুদ সালাত পড়তেন। তাই বিতর সালাত শেষেই পড়া হত।

- সুতরাং বিতর তথা বেজোড় নামাজের কথা যখন যোগ হয়েছে, সেহেতু তাদের দাবী এই নামাজটি তাহাজ্জুদই হবে।

- তারাবীহ ১১ রাকায়াত, এই মতের পক্ষে বর্তমান দুনিয়াতে প্রবল জনমত রয়েছে।

[উনবিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠতম ইসলামী চিন্তাবিদ শায়খ আবদুল্লাহ বিন বা'য (রহ) এই মতের অনুসারী ছিলেন। তিনি তাঁর যুগের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠতম ইসলামী ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচিত ছিলেন। মক্কা ও মদিনার বর্তমানের অনেক ইমাম সরাসরি তাঁর ছাত্র। তাঁর ছাত্র হতে পারাও একটা গৌরবের বিষয় ধরা হয়।]

বিশ রাকায়াত তারাবীহর পক্ষের দলীল

- ওমর (রাঃ) জমানা থেকেই ২০ রাকায়াত তারাবীহ চলে আসছে।

- ওসমান ও আলী (রা) যুগে ২০ রাকায়াত নামাজ অব্যাহত ছিল।

- ওমর (রাঃ) রাসুলের ইন্তেকালের ২ বছরের মাথায় খেলাফত প্রাপ্ত হন।

- তিনি ছিলেন জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত সাহাবী, ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা এবং রাসুল (সাঃ) এর অন্তরঙ্গ জীবন্ত সাথী।

- ওমর (রাঃ) রাসুল (সাঃ) এর প্রতিটি পদক্ষেপের অনুসরণকারী ব্যক্তি ছিলেন।

- তিনি নিজেও রাসুল (সাঃ) এর সাথে জামায়াত আদায়কারী ব্যক্তিদের একজন।

- তিনি সকল গুরুত্বপূর্ণ সাহাবীদের সাথে পরামর্শ করে, ২০ রাকায়াত তারাবির স্থায়ী নিয়ম চালু করেন।

- তাই শত শত বছর ধরে এই পদ্ধতি পৃথিবীর দেশে দেশে চালু আছে।

বিশ রাকায়াতের পক্ষে-বিপক্ষে মতামত:

- অনেক ইসলামী চিন্তাবিদ ২০ রাকায়াতের বিপক্ষে মত পোষণ করেছেন।

- ২০ রাকায়াত নামাজের পক্ষেও প্রচুর উক্তি, প্রমাণ, দলীল বিদ্যমান।

- ২০ রাকায়াত তারাবিহ মসজিদুল হারামাইনে আজো পড়া হয়।

- অন্যদিকে কেউ বলেছেন, যে সব ব্যক্তিদের উদ্ধৃতি দিয়ে বিশ রাকায়াত সালাতের বন্দোবস্ত করা হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই মিথ্যুক।

- এমনকি, যাদের উদ্ধৃতিতে বিশ রাকায়াত সালাত পালন করা হয়, তাদের মধ্যে কয়েকজন ব্যক্তির আদৌ কোন অস্তিত্বই নেই!

- তাঁদের আরো দাবী, বিশ রাকায়াতের প্রমাণ গুলো দুর্বল, গ্রহণযোগ্যতার মাফকাঠিতে বিবেচনায় নেওয়ার মতও নয়।

- অধিকন্তু এসব ব্যক্তিদের কারো মর্যাদা ইমাম মালীকের কাছাকাছিও নয়।

- কেউ বলেছেন ওমর (রাঃ) প্রণীত ২০ রাকায়াত নামাজের ধারনাটিই সত্য নয়।

- অর্থাৎ, ওমর (রাঃ) ২০ রাকায়াত সালাতের নিয়ম চালু করেছেন, ব্যাপারটি পুরাই মিথ্যা।

- অনেকেই বলেছেন, ২০ রাকায়াতের নিয়ম শত শত বছর ধরে পালিত হয়ে আসছে।

- কোন যোগসূত্র ছাড়াই কি এত মানুষ এত বছর ধরে ভুল নিয়মই অনুসরণ করেছে!

নূতন মতবাদ,

- অনেকে দাবি করেন ২০ রাকায়াত তারাবির সিষ্টেম ছিল বলেই মসজিদে হারামে আজো ২০ রাকায়াত তারাবীহ পড়া হয়।

- কেউ বলেন হারামে ২০ রাকায়াত হয়না, দুই জন আলাদা ইমাম ১০ রাকায়াত করে দু'টি নামাজ পড়ান!

- কিন্তু ভিডিও দেখে প্রমাণিত হয় যে, হারামে আসলে ২০ রাকায়াত নামাজ পড়ানো হয়।

- কখনও দুই জন আলেম একই নামাজকে ভাগ করে পড়ান।

- আসল কথা হল, মসজিদুল হারামাইন তথা মক্কা ও মদিনায় বিশ রাকায়াত সালাত হয়। সে সালাতে হাজির হবার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল।

- আবার অনেকে বলেন, মসজিদুল হারামের কাজ তো দলীল নয়!

- আবার কেউ বলেন, অবশ্যই দলীল; কেননা হাদিসে রাসুলে আছে, কোন ফাসিক হারামাইনের ইমাম হতে পারবেন না।

- অনেকে বলেছেন, হারামের ২০ রাকাতের পিছনে অন্য আরেকটি কারণ লুকিয়ে আছে!

[বাদশাহ আবদুল আজিজের আমলে বহু বিদায়াত বন্ধ করা হয়। তাঁরা পাকা কবর, রাসূল (সাঃ) কবর তাওয়াফ ধ্বংস করা সহ অনেক কাজে হাত দেন। অনেকে সেটাকে ওয়াহাবী মতবাদের বিভ্রান্ত কাজ বলে থাকেন। তার আগে থেকেই হারামে ২০ রাকায়াত তারাবিহ চলত। ঐ সময়ই হারামের পরিচালকেরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, হারামে ২০ রাকায়াতের সুন্দর বিদায়াতের যে পদ্ধতিটা আগে থেকেই চালু হয়ে আছে সেটাকে যথাস্থানে রেখে; যাঁদের তেলাওয়াত সুন্দর, সাবলীল, হৃদয়গ্রাহী তাঁদের কে দিয়ে তারাবীহ ২০ রাকায়াতই চালু থাকবে। কেননা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কিছু স্পেশাল এবাদতের জন্য হাজিরা ওমরাহ করতে আসেন। দীর্ঘ রাকায়াতের নামাজ তাদের উপকৃত করবে, কোরআন শুনতে অনুপ্রাণিত হবে। সেই থেকেই হারামে ২০ রাকায়াত পদ্ধতির পরিবর্তন না করে যেভাবে ছিল সেভাবে আজো চালু আছে। ওমর (রাঃ) পক্ষে বর্ণিত প্রসিদ্ধ নিয়মের কারণে নয়।]

সুপ্রিয় পাঠক,

এটি একটি ডায়েরী। তথ্যগুলো বিভিন্ন বই, ভাষণ, আলোচনা ও উপাত্ত থেকে সংগ্রহ করা। দুই পক্ষের মুমিন ভাইয়েরা হরহামেশা যা বলে যাচ্ছেন তারই সারমর্ম মাত্র। বর্ণিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে পয়েন্টগুলো আমি সন্নিবেশ করেছি।

আমার এতটুকু আহবান থাকতে পারে, আসুন আমরা শ্রদ্ধা করি যারা ২০ রাকায়াত তারাবীহ পড়েন তাঁদেরকে এবং আন্তরিক ভালবাসতে শিখি যারা ৮ রাকায়াত তারাবীহ পড়ে তাঁদেরকে। উম্মতের সুবিধার্থেই রাসুল (সাঃ) এই নামাজের রাকায়াত কে খোলাসা করেন নি। আমরা সে সুযোগ নিতেই পারি। তবে খুবই জলদি করে নামাজ পড়ার প্রবণতা ইসলামের মূল ভিত্তিমূলে আঘাত করবে। যে কারণে তারাবীহ নামাজ সাহাবীরা (রা) পড়তেন, সে নামাজ বর্তমান সময়ের ৮ রাকায়াত কিংবা ২০ রাকায়াত পড়া ওয়ালাদের অনেক স্থানেই হক পুরা হয়না। নামাজ ৮ রাকায়াত হউক কিংবা ২০ রাকায়াত; আমরা যেন দীর্ঘক্ষণ নামাজের সুযোগ নেই। আমরা যেন সে হক পুরো করতে পারি, সেই তৌফিক আল্লাহর কাছে কামনা করছি।

লিখেছেন: নজরুল ইসলাম টিপু

পঠিত : ৩১৪৪ বার

মন্তব্য: ০