Alapon

কীভাবে ঝড়ের নামকরণ করা হয়, আসুন জেনে নেই...

গত কয়েকদিন থেকে বাংলাদেশসহ ভারতে ‘ফণী’ নামক ঘূর্ণিঝড়ের কথা শোনা যাচ্ছে। যা ইতোমধ্যে ভারতের উড়িষ্যায় আঘাত হেনে, দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ফণীর আঘাতে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে প্রায় ১৫ জন নিহত এবং বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্থ হয়ে গেছে। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ক্ষতি সামান্য! কারণ, ফণী যদি তার পূর্ণরূপ নিয়ে বাংলাদেশে আঘাত করত তাহলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আন্দাজ করাই কঠিন হয়ে যেত। যাইহোক, আল্লাহপাক এ যাত্রায় আমাদের রক্ষা করেছেন।

আজ মূলত ফণী নিয়ে লিখতে বসিনি। ‘ফণী’ এই নাম নিয়ে লিখতে বসেছি। ঘূর্ণিঝড়ের নাম ফণী হল কেন? এই নামকরণ কীভাবে করা হয়? কারা এই নামকরণ করে? চলুন জেনে নেওয়া যাক!

আগে মূলত অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হিসেবে ঝড়ের নামকরণ করা হতো। যেমন বলা হতো, 3 ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ এবং ৫০ ডিগ্রী উত্তর-পূর্ব দ্রাঘিমাংশের ঝড়টি প্রবল শক্তিশালী হয়ে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এভাবে ঝড়ের প্রচার-প্রচারণা করাটা কঠিন হয়ে যায়। ঝড়ের নাম কঠিন হয়ে যায়, যার কারণে সাধারণ মানুষ মনেও রাখতে পারে না। এবং তা জনমানুষের মাঝে ছড়িয়েও পড়ে না। তাই প্রচার প্রচারণার সুবিধার্তে ঝড়গুলোর একটি নামকরণ করা হয়। যে নাম হবে সহজ এবং যা সহজেই মনে রাখা সম্ভব হয়।

১৯৭৯ সালের আগ পর্যন্ত সব ঝড়ের নামই হতো মহিলাদের নামে। ১৯৭৯ সালে প্রথম কোনো ঝড়ের নাম পুরুষের নামে রাখা হয়। এরপর থেকে নারী-পুরুষ উভয়ের নামেই ঝড়ের নামকরণ করা হয়।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা World Meteorological Organization বিভিন্ন অঞ্চলের উপর ভিত্তি করে আঞ্চলিক কমিটি গঠন করে। আঞ্চলিক কমিটিতে থাকা দেশগুলো প্রত্যেকেই ১০ টি নাম সুপারিশ করার সুযোগ পায়। সেই নামগুলো থেকে একটি নাম গ্রহণ করা হয় এবং সেই নামেই প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। 

উত্তর ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট ঝড়ের নাম এই অঞ্চলের সদস্য রাষ্ট্রগুলো ঠিক করে। এই অঞ্চলের সদস্য রাষ্ট্রগুলো হল- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড ও ওমান। 
এই দেশগুলোর আবহাওয়া সংস্থা ১০টি করে নাম প্রস্তাব করে। সেখান থেকে বাছাই করে একটি নাম গ্রহণ করা হয়। যেমন, ফণী নামটি প্রস্তাব করে বাংলাদেশ। তারপর এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম হয়ে যায় ফণী। এভাবেই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়।

তথ্যগুলো ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত।

পঠিত : ১৩০৪ বার

মন্তব্য: ০